আর্থিক অনিয়মে কুষ্টিয়ার ডিসিকে শোকজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ আর্থিক অনিয়ম, অদক্ষতা ও বরাদ্দকৃত অর্থ নয়-ছয়ের অভিযোগে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনকে শোকজ করেছে। সেখানে কড়া ভাষায় আর্থিক অনিয়মের বিষয়টিও জানতে চাওয়া হয়েছে। 

সম্প্রতি ইকো পার্কের উন্নয়নে পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দকৃত ৯০ লাখ টাকা নয়-ছয়ের অভিযোগ ওঠে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেনের বিরুদ্ধে। এসব আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করছে বিভাগীয় কমিশনার অফিস। গত সপ্তাহে জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন চিঠির জবাবও দিয়েছেন বলে জানা যায়।

গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) কুষ্টিয়া এসে সরেজমিনে পার্কের কাজসহ বিষয়টি তদন্ত করেছেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563191115951.PNG
খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তদন্তে আসেন

 

জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে, পর্যটনের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে সাবেক জেলা প্রশাসক জহির রায়হান একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। সেই মোতাবেক মন্ত্রণালয় থেকে ৯০ লাখ টাকা অর্থ বরাদ্দ দিয়ে তিনটি ইকো পার্কের উন্নয়নের জন্য প্রথমে একটি চিঠি পাঠানো হয়। এরপর বদলি হয়ে যান জেলা প্রশাসক মোঃ জহির রায়হান। সেখানে তার স্থলে যোগ দেন মোঃ আসলাম হোসেন। তিনি ইকো পার্কের উন্নয়নের জন্য একটি রূপরেখা তৈরি করে টেন্ডার আহ্বানসহ কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেন।

অন্যদিকে স্থানীয়দের সহায়তায় নির্মাণ করা কুমারখালীর পৌরসভার ইকোপার্কটি উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটন মন্ত্রণালয় ২০ লাখ টাকার লে-আউট প্রাক্কলনসহ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণের অনুরোধ করেন। অথচ সেই ইকোপার্ক উন্নয়নের কোন অর্থই বরাদ্দ পায়নি তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563191184036.PNG
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থের অনিয়ম হয়েছে কি না তার তদন্ত চলছে  

 

কুমারখালী পৌরসভার কাউন্সিলর এসএম রফিক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, গতবছরে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া এই ইকোপার্ক পরিদর্শনে আসলে তাকে আমরা অনুদানের জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তিনি পর্যটন মন্ত্রণালয়কে ২০ লাখ টাকার দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। অথচ এ পর্যন্ত সরকারি কোন বরাদ্দ পায়নি।

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোঃ আসলাম হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। প্রথমে ৯০ লাখ টাকা কয়েকটি ইকো পার্কের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়। কুষ্টিয়া-৪ আসনের এমপি মহোদয় মন্ত্রণালয়ের চিঠি দিয়ে এই অর্থ কুঠিবাড়ির উন্নয়নের অনুরোধ করেন। পরে মন্ত্রণালয় থেকে শুধুমাত্র কুঠিবাড়ির উন্নয়নের নির্দেশ দেয়া হয়। 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563191738151.PNG
একইসঙ্গে নতুন ইকো পার্কের কাজ ঠিকমতো চলছে কিনা দেখতে আসেন 

 

তিনি আরও বলেন, অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এর আগেও মন্ত্রণালয়ের দু'জন যুগ্ম সচিব বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করেছেন। তারা আর্থিক অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। অনিয়মের অভিযোগ ওঠার কারণে মন্ত্রণালয় থেকে কাজ শুরুর নির্দেশ দেয়া হচ্ছে না।

এদিকে, কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের গড়াই নদীর ধারে বালুর চরে একটি ইকো পার্কের উন্নয়নের কাজ চলছে। সেখানে সড়ক নির্মাণ, বেঞ্চ ও ছাতা নির্মাণের জন্য ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সাড়ে ৪ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে। কাজ শেষে ঠিকাদার চূড়ান্ত বিল নেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন।

কুমারখালী কুঠিবাড়ির কস্টোডিয়ান মোখলেচুর রহমান বলেন, আমি টেন্ডার কমিটির সদস্য। তবে টেন্ডারের বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। খুলনা থেকে তদন্ত টিম এসেছিল। সেখানে আমার বক্তব্য জানিয়েছি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/15/1563191874726.PNG
তদন্তের বিষয়টি গোপন রাখা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কমিটির প্রধান  নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার

 

তদন্ত কমিটির প্রধান নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার বলেন, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থের অনিয়ম হয়েছে কি না তা তদন্ত চলছে। তদন্তের স্বার্থে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। প্রয়োজনে পরে জানানো হবে।

কুষ্টিয়া ৪ আসনের সাংসদ সেলিম আলতাফ জর্জ বলেন, কুঠিবাড়ির উন্নয়নের জন্য আমি একটি ডিও লেটার দিয়েছিলাম। অর্থও বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে কাজ শুরু হয়েছে কিনা জানিনা। আমাকে কেউ এ বিষয়ে অবহিত করেনি। কোন অনিয়ম হয়ে থাকলে মন্ত্রণালয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে। তবে কাজের বিষয়ে স্বচ্ছতা থাকবে হবে। বিষয়টি আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;