ঘুষ নিয়ে লাইসেন্স দিচ্ছেন ফরিদপুরের ড্রাগ সুপার



রেজাউল করিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ফরিদপুর
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর

  • Font increase
  • Font Decrease

ফার্মাসিস্ট পাস করা যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের ওষুধ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়ার কথা থাকলেও ফরিদপুরে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষের বিনিময়ে শতাধিক অবৈধ লাইসেন্স দিয়েছেন ড্রাগ সুপার সুলতানা রিফাত ফেরদৌস। 

আর তার এই ঘুষ বাণিজ্য চলে মূলত অফিস সহকারী শরীফের মাধ্যমে। এই শরীফই লাইসেন্স প্রত্যাশীদের সাথে সব রকম দর-দাম মেটান। আশানুরূপ টাকার অঙ্ক মিলে গেলেই লাইসেন্সে স্বাক্ষর করেন ড্রাগ সুপার।

এভাবে জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপদাান- ওষুধের ব্যবসা চলে যাচ্ছে অযোগ্যদের হাতে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে শহর গ্রামের এমন অনেক দোকানের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা টাকা দিয়ে লাইসেন্স নিয়েছেন।

শহর-গ্রামের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠছে একের পর এক ওষুধের দোকান। এসব দোকানে সার্বক্ষণিক একজন ফার্মাসিস্ট থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ দোকনেই ফার্মাসিস্ট নেই। ড্রাগ সুপার মাঝে মধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিলেও ফার্মাসিস্ট থাকা না থাকা বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেন না।

শুধু ফরিদপুর জেলায় দুই হাজার ৩৯টি ড্রাগ লাইসেন্স ইস্যু করা আছে, যার মধ্যে ফরিদপুর সদরে রয়েছে ৭০৯টি। এদের মধ্যে ঘুষের বিনিময়ে হওয়া লাইসেন্সগুলোর কিছু নমুনা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যেসব লাইসেন্স টাকার বিনিময়ে হয়েছে সেসব দোকানের মালিকেরা ফার্মাসিস্ট নয়। তারা ড্রাগ সুপারের কার্যালয়ে যোগাযোগ করে অন্য কারো নামে লাইসেন্স করে তা গোপনে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে নিজের করে নিয়েছে।

এভাবেই চলছে অধিকাংশ ওষুধের দোকানের ব্যবসা। এর বাইরে ড্রাগ সুপারের কার্যালয়ে শরীফের সাথে যোগাযোগ করলে ড্রাগ লাইসেন্স সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যার সমাধান করে থাকেন তিনি। তাই ফরিদপুরের ভুক্তভোগী সচেতন মহল দ্রুত অবৈধ লাইসেন্সধারীদের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

বিষয়টি নিয়ে জেলার সতেচন নাগরিক নারী নেত্রী অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সমাজের সচেতন মানুষ হয়তো দোকান থেকে তার ওষুধটি বুঝে আনতে পারেন। কিন্তু সুবিধাবঞ্চিত, কম পড়ালেখা জানা মানুষ অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ীদের হাতে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। তাই সরকারি বিধি অনুযায়ী শিক্ষিত ও প্রকৃত ফার্মাসিস্টদের ছাড়া ওষুদের দোকান যেন করতে না পারে, সেদিকে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।

Faridpur Drug

তিনি বলেন, অনেক সময় ছোটখাটো অসুখের জন্য সাধারণ মানুষ ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধের দোকান থেকে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। একজন ফার্মাসিস্ট দোকানে না থাকলে এসব ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে।

ফরিদপুর ড্রাগ অ্যান্ড কেমিস্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিবন সাহা আকাশ বলেন, সামান্য একটু ভুলে মানুষের জীবন চলে যেতে পারে। ওষুধের মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা, যার তার হাতে দিলে তা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য খারাপ হবে। প্রকৃত ফার্মাসিস্ট ছাড়া ওষুধ ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। টাকার বিনিময়ে কোনো লাইসেন্স দিয়ে থাকলে আমরা তা খতিয়ে দেখে কেন্দ্রে জানাব।

ফরিদপুর ড্রাগ অ্যান্ড কেমিস্ট সমিতির সহ-সভাপতি মাজাহারুল আলম চঞ্চল বলেন, ওষুধের সহজ প্রাপ্যতা দরকার আছে। তবে সেটা নিয়মানুযায়ী হতে হবে। ওষুধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই বিষয়ে যার কোনো জ্ঞান নেই, সেধরনের লোক ব্যবসায় প্রবেশ করলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।

ফরিদপুরের ড্রাগ সুপার সুলতানা রিফাত ফেরদৌস তার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। বলেন, আমি কোনো টাকা-পয়সা নিয়ে লাইসেন্স দিই নাই। তবে অফিসের কেউ এমন কাজে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফার্মাসিস্ট না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, জেলায় ২০৩৯টি লাইসেন্স রয়েছে। এর মধ্যে অনেকে ফার্মাসিস্ট আবার অনেক দোকানে ফার্মাসিস্ট নেই। তারা অন্য কোনো ফার্মাসিস্টের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। আমাদের লোকবল সংকট থাকায় সব সময় সব বিষয়ে তদারকির সুযোগ হয় না।

প্রসঙ্গত, সুলতানা রিফাত ২০১৩ সালে ফরিদপুরে ড্রাগ সুপার পদে যোগদান করেন। সে সময় তিনি গোপালগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ আট বছর ফরিদপুর ড্রাগ সুপার হিসেবে রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে দু’দফায় ছয় মাস করে তিনি ফরিদপুরে ছিলেন না। বর্তমানে ফরিদপুরের পাশাপাশি তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রাজবাড়ীর দায়িত্ব পালন করছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;