পাবনায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পাবনা
প্রধান সড়ক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবহন করা হচ্ছে এলপিজি গ্যাস, ছবি: সংগৃহীত

প্রধান সড়ক দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবহন করা হচ্ছে এলপিজি গ্যাস, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাবনায় জ্বালানি তেল বিক্রির দোকান, মুদি দোকান, সাইকেল মেকারের দোকান, ভুষির দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকানসহ যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। যদিও এসব দোকানের সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্স নেই। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আবাসিক খাতে গ্যাস ব্যবহারের বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের নীতিমালা রয়েছে। তবে সে নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না ব্যবসায়ী ও গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি হিসাবে এসব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহাত হচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকার কতিপয় ব্যবসায়ী যততত্র এই সিলিন্ডার বিক্রি করছেন।

পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোড, বড় বাজার, রাধানগর, গাছপাড়া, মালিগাছা, মনোহরপুর, টেবুনিয়া, সীড গোডাউন, কালিকাপুর, দাশুড়িয়া, দেবোত্তর, আটঘরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এসব এলাকার দোকানের ভেতরে সিলিন্ডার মজুদ রাখা হয়েছে।

কয়েকজন সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ী জানান, ভালো মানের সিলিন্ডার নিয়ে আসি। ঝুঁকিমুক্ত তাই বিক্রি করছি। তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আমাদের কোনও বাঁধা দেওয়া হয়নি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562861104569.JPG

এলাকার সচেতন নাগরিকরা জানান, বিধিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া আটটি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদ করা বা বিক্রি করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মজুদ রাখতে হবে। স্থাপনা প্রাঙ্গণে দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোনো বস্তু বা সরঞ্জাম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছাকাছি আলো বা তাপের উৎস থাকা যাবে না। তবে এসব আইনের তোয়াক্কা না করে যততত্র লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।

বিস্ফোরক পরিদফর সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলায় বিস্ফোরক পরিদফতর কর্তৃক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য লাইসেন্স ছিল ২০২ জনের। এর মধ্যে নবায়ন না করায় ৪৮টি লাইন্সেস বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ১৫৪ জনের লাইসেন্স রয়েছে। অন্যদিকে ৪৯ জন লাইসেন্সের জন্য আবেদ করেছেন, যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণভাবে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এসব সিলিন্ডার। পরে ট্রাক থেকে এসব সিলিন্ডার ছুঁড়ে নিচে নামানো হয়। এতে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তবে লাইসেন্সবিহীন এলপিজি গ্যাস বিক্রি বন্ধে পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া, আমিনপুর থানা গ্যাস ডিলার মালিক সমিতির পক্ষে রাজশাহী-রংপুর বিভাগের বিস্ফোরক পরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।

রাজশাহী-রংপুর বিভাগের বিস্ফোরক পরিদর্শক ড. আসাদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে পাবনার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। খুব শিগগিরই অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;