ঝুঁকির মুখে পঞ্চগড়ের করতোয়া সেতু



মোহাম্মদ রনি মিয়াজী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, পঞ্চগড়
ছবি. বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি. বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় জেলা শহরের বুকে নির্মিত করতোয়া সেতুটি দিন দিন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন তেঁতুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা শত শত ট্রাক পাথরসহ বিভিন্ন মালমাল ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অধিক পরিমাণে বহন করে সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করায় ঝুঁকির মুখে পড়ছে পঞ্চগড়ের এ সেতুটি।

সরেজমিন দেখা গেছে, ভারী মালামাল বোঝাই ট্রাকের যাতায়াতে খসে পড়ছে সেতুটির পলেস্তরা, উঠে যাচ্ছে ওয়ারিং কোর্স, সেতুর প্রতিটি পোল জয়েন্টের ব্যবধান ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেতুর কোনো কোনো জায়গায় রড বেরিয়ে যাচ্ছে। এদিকে সড়ক বিভাগ বারবার পাথর ও বিটুমিন দিয়ে ঝুঁকি চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সেতুটির বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562810617489.jpg

জেলা শহরে প্রবেশের একমাত্র পথে দাঁড়িয়ে থাকা ২৭৫ মিটারের সেতুটি ১৯৮৮ সালে শহরের বুকে প্রবাহিত করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত হয়। ফলে পঞ্চগড়ের সাথে দেশের অন্য প্রান্তের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এ করতোয়া সেতু।

জেলার বিভিন্ন জায়গাসহ দেশের চতুর্থ স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা থেকে প্রায় ৬ থেকে ৭ শতাধিক পাথর ও বালি বোঝাই ট্রাক ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত মালমাল নিয়ে এ সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করায় হুমকির মুখে সেতুটি।

সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সেতুটির সক্ষমতা অনুযায়ী দুই এক্সেল ৬ চাকার ট্রাক সর্বোচ্চ ২০ টন, তিন এক্সেল ১০ চাকার ট্রাক সর্বোচ্চ ৩০ টন ও চার এক্সেল ১৪ চাকার ট্রাক সর্বোচ্চ ৪০ টন মালমাল নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে পরিবহন করার নির্দেশনা থাকলেও একেকটি ট্রাক ৪০-৫০ টন মালামাল নিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে পরিবহন করছে।

‘পঞ্চগড়বাসী’ নামে স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের সদস্য আরিফ হোসেন জানান, সেতুর ওপর দিয়ে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন বন্ধ না হলে সেতুর অবস্থার আরো অবনতি ঘটবে।

পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী ইভা রহমান বলেন, অনেক আতঙ্ক ও ভয়ে সেতুর ওপর চলাচল করতে হয়। কোনো ভারী যানবাহন উঠলে সেতুটি কাঁপতে থাকে।

আল মামুন নামে এক ট্রাক চালক জানান, সেতুর ওপর উঠলে সেতুটি কেঁপে উঠছে কিছুদিন থেকে। ব্যবসায়ীদের চাহিদা মতোই মালমাল পরিবহন করতে হয় তাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/11/1562810651048.jpg

এদিকে, বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে সেতুটি পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমি, পুলিশ সুপার ইউসুফ আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলামসহ জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এনামুল হক প্রধান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পঞ্চগড়ে ওভারলোড নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু ব্যবসায়ীদের লাভ জড়িত থাকায় পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে সবার সহযোগিতা পেলে আমরা শত ভাগ ওভারলোড নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

পঞ্চগড় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা করতোয়া সেতুটি পরিদর্শন করেন। সেতুটির মূল কাঠামো এখনো ঠিক আছে বলে তারা জানিয়েছেন। তবে উপরের ওয়ারিং কোর্স নষ্ট হয়ে গেছে। সেটি মেরামত করতে হলে ৩ দিন সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল বন্ধ রাখতে হবে কিন্তু এই সেতুর ওপর তা বন্ধ রাখা অসম্ভব তারপরো তারা হয়তো কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। তবে আমরা সড়ক বিভাগ কর্তৃক অতিরিক্ত মালামাল নিয়ে যাতায়াত না করতে বিলবোর্ড লাগিয়েছি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;