তালতলীতে ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ৪৭টি, বৃষ্টিতে বন্ধ ২৮টি



মো. খাইরুল ইসলাম আকাশ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বরগুনা
বরগুনার তালতলীতে স্কুলের বেহাল দশা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বরগুনার তালতলীতে স্কুলের বেহাল দশা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় ৭৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৭টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। আর এর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ও বৃষ্টি হওয়ায় বন্ধ রয়েছে ২৮টি স্কুল। এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয় ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, নির্মাণাধীন ভবন, অস্থায়ী টিনশেড ভবন এবং খোলা মাঠে। কিন্তু বৃষ্টি শুরু হওয়ায় এসব স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বাকি স্কুলগুলোতে আতঙ্কের মধ্যে চলছে পাঠদান। সম্প্রতি এসব ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা করে জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকিপূর্ণ অধিকাংশ বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ। ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ছে, চালের টিন ছিদ্র হয়ে গেছে, ছাদ ছুঁইয়ে পানি পড়ছে। আবার কোনও কোনও ভবনে দরজা-জানালা নেই। ফলে বিদ্যালয়ে নিরাপদ ভবন ও শ্রেণিকক্ষ না থাকায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উত্তর কড়ইবাড়িয়া ও মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ২৮টি বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া হয় খোলা আকাশের নিচে। বৃষ্টির সময় এই সব স্কুল বন্ধ থাকে।

সোমবার তালতলী উপজেলার লালুপাড়া সরকারি স্কুলে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষকরা আসলেও শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসেনি। বৃষ্টি শুরু হলেই স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে এসব স্কুলের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

অভিভাবকদের অভিযোগ, এভাবে সরকারি স্কুল চলতে থাকলে গ্রামের ছেলে-মেয়েরা পড়াশুনা করবে কিভাবে। নিরাপদ ভবন না থাকায় স্কুল বন্ধ রাখতে হয়েছে।

উপজেলার পঁচাকোড়ালিয়া, কলারং, উ. পঁচাকোড়ালিয়া, পঁচাকোড়ালিয়া স্লুইজ, গাববাড়িয়া, জেভি মনসাতলী, হুলাটানা, চরপাড়া, সুন্দরিয়া, সরদারিয়া, হেলেঞ্চাবাড়িয়া, বেহেলা, ঝাড়াখালী, ছাতনপাড়া, তালুকদার পাড়া, ছোটভাইজোড়া, উত্তর চাতনপাড়া, পাজ্রাভাঙ্গা, সওদাগারপাড়া, বড়ভাইজোড়া, পশ্চিম লালুপাড়া, নিদ্রারচর, লাউপাড়া, কবিরাজপাড়া, মেনিপাড়া, মৌরুভী, ঠাকুরপাড়া, নলবুনিয়াগোড়াপাড়া, ছোটবগী পিকে, মেীপাড়া, নলবুনিয়া, চাউলাপাড়া, শারিকখালী, কচুপাত্রা, পশ্চিম বাদুরগাছা, হরিনবাড়িয়া, উ. কড়ইবাড়িয়া, আলিরবন্দর, বেহেলা আদর্শ, দ. ঝাড়াখালী, হেলেঞ্জাবাড়িয়া শেরেই-বাংলা, উত্তর ঝাড়াখালী, বড় অংকুজানাপাড়া, নলবুনিয়া আগাপাড়া, তাঁতীপাড়া, খোট্টারচর বড় অংকুজানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ।

লালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টিতে শিক্ষকরা আসলেও শিক্ষার্থীরা আসতে পারেনি। তবে শিক্ষার্থীরা আসলেও ক্লাস নেওয়া সম্ভব হতো না। কারণ দুই মাস আগে স্কুলের ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এতদিন গাছের নিচে ক্লাস নিলেও আজ বৃষ্টির কারণে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল পরিচালনা কমিটির অর্থায়নে স্কুলের পাশে একটি টিনশেড তৈরির কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে ক্লাস নেওয়া যাবে।’

তালতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) কাজী মনিরুজ্জামান রিপন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা করে উপজেলা এলজিইডিতে পাঠানো হয়েছে। এসব স্কুলে পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিগগিরই এসব স্কুলের ভবন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;