পুলিশের তাড়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের মৃত্যু
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পুলিশের তাড়া খেয়ে বড়াল নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আজিজুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে দয়ারামপুর ইউনিয়নের চন্দ্রখইর এলাকায় বড়াল নদীতে এ ঘটনা ঘটে। পরে বড়াইগ্রাম উপজেলার রামাগাড়ি এলাকা থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশের দাবি, শেওলায় জড়িয়ে এই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত আজিজুল ইসলাম উপজেলার চন্দ্রখইর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সেখের ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে পানিতে ঝাঁপ দেওয়ার খবর পেয়ে দয়ারামপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা গিয়ে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশও সেখানে উপস্থিত ছিল।
এ ঘটনার পর স্থানীয় জনগণ পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করলে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে ঘটনাস্থলে নাটোর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ২টার দিকে বাগাতিপাড়া থানার পুলিশ চন্দ্রখইর এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানোর সময় আজিজুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী বিদ্যুৎ নগর বাজার থেকে ঐ পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় পুলিশ মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকা নিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে। কথোপকথনের এক পর্যায়ে আজিজ দৌড়ে পালানোর চেষ্টায় বড়াল নদীতে ঝাঁপ দেন।
দয়ারামপুর ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রওশন আলী জানান, তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা মৃতদেহ উদ্ধার করে। তারা ঘটনাস্থলে পৌছার প্রায় একই সময়ে থানার পুলিশের একটি দলও সেখানে উপস্থিত হয়।
আজিজের বড় ভাই রাশিদুল ইসলাম জানান, বাগাতিপাড়া থানা পুলিশের এস আই সাজ্জাদ ও তার সঙ্গে থাকা অপর একজন কনস্টেবল তার ছোট ভাই আজিজুলকে তাড়া করেছিলেন। ঐ তাড়া খেয়েই তার ছোট ভাই নদীতে ঝাঁপ দেন। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।
শনিবার বিকালে লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘নদীর যে স্থান থেকে আজিজুলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তা দহের মতো। সেখানে এর আগেও গরু-মহিষ শেওলায় আটকে মারা গেছে। নদী পারাপারের সময় শেওলায় আটকে আজিজুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।’