রিফাত হত্যাকাণ্ড

নয়নের ‘স্পেশাল রুমে’ বসত মাদকের আসর



মনি আচার্য্য ও শাহারিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সাব্বির আহমেদ নয়নের স্পেশাল রুম/ ছবি: বার্তা২৪

সাব্বির আহমেদ নয়নের স্পেশাল রুম/ ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনা থেকে: রিফাতকে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড শুধু একজন মাদক ব্যবসায়ীই নয়, ছিলেন চরম পর্যায়ের মাদকাসক্ত। প্রতিদিনই তার ‘স্পেশাল রুমে’ বসত মাদকের আসর।

এই মাদকের আসর থাকতো গাঁজা, মদ, হিরোইন ও ইয়াবা। যখন যেই মাদক গ্রহণ করতে ইচ্ছা হতো নয়নের সেই দিনই চলত সেই মাদকের আসর। এই আসরে নয়ন শুধু একা নন, ছিল তার ০০৭ সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরাও। আর এসব অভিযোগের প্রমাণও মিলে নয়নের স্পেশাল রুমে গেলে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561828056951.jpg

নয়নের বাড়িতে সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িটিতে দুইটি পাকা ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি সাদা অন্যটি, সবুজ রংয়ের। সাদা রংয়ের ঘরটিতে তিনটি কক্ষ, এর মধ্যে একটি নয়নের মাদক আসরের ‘স্পেশাল রুম’। আর সবুজ রংয়ের ঘরটিতে ছিল চারটি কক্ষ। যার একটিতে থাকতেন নয়নের মা। যদিও এখন নয়নের বাড়িতে কেউ নেই। সব কিছু এলোমেলো ও ঘর দুইটিতে ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।

আরও দেখা গেছে, ঘটনার পরদিন কে বা কারা নয়নদের দুই ঘরের সব আসবাবপত্র ভেঙে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে যায়। তবে নয়নের স্পেশাল রুমটিতে গেলে দেখা যায়, চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বিশেষ মাদক গ্রহণের নানা উপকরণ। এর মধ্যে রয়েছে সিরিঞ্জ, মাথায় সুই লাগানো লাইটার ও ফুয়েল পেপার। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এসব উপকরণ মাদকসেবীরা ইয়াবা সেবনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561828087170.jpg

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে, বাড়িটির একটু অদূরে নয়নের ইয়াবা সেবনের একটি স্পেশাল জায়গার সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে বসে নয়ন দিনের বেলায় ইয়াবা সেবন করতেন। ঐ স্পেশাল জায়গাটিতে ইয়াবা ট্যাবলেট সেবনে ব্যবহৃত ফুয়েল পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়।

শনিবার (২৯ জুন) বরগুনা সরকারি কলেজের পাশে নয়নের বাড়িতে সরজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নয়নের কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি রাতে নয়নের স্পেশাল রুমে চলত মাদক সেবনের আসর। যেই আসরে নয়নের সন্ত্রাসী গ্রুপ ০০৭ এর সদস্যরা ছাড়াও আশেপাশের এলাকার সকল সন্ত্রাসীরা এসে হাজির হতো। আসর চলত রাতব্যাপী।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/29/1561828099779.jpg

এ বিষয়ে নয়নের বাড়ির পূর্ব পাশে ভাড়ায় থাকা একজন স্কুল শিক্ষক নাম প্রকাশ না বলার শর্তে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘নয়ন তার স্পেশাল রুমে ইয়াবা সেবন থেকে শুরু সব মাদকই সেবন করত। রুমটির পাশ দিয়ে রাতে হেঁটে গেলে সব সময় গাঁজার গন্ধ পাওয়া যেতে। যখনই তার বাসায় লোকজন আসতো সে দরজা বন্ধ করে দিত।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নয়নের এক প্রতিবেশী নারী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সে যে শুধু নেশা করত, তা না। তার বাসায় খারপ মেয়েদের আনাগোনা ছিল। এছাড়া বিভিন্ন সময় শুনেছি সাঙ্গপাঙ্গরা কলেজের ছাত্রদের কাছ থেকে ছিনতাই করে মালামাল স্পেশাল রুমে জমা করত। পরে এসব জিনিসপত্র এখান থেকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করতো নয়ন।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;