বিশেষ অভিযানেও থেমে নেই ইয়াবার পাচার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
আটককৃত ইয়াবা, ছবি: সংগৃহীত

আটককৃত ইয়াবা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস। বর্তমান সময়ে বিষাক্ত ইয়াবার ফাঁদে পড়েছে সারা দেশ। সরকারের সিদ্ধান্তে বিশেষ অভিযানে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু শত অভিযানেও থামানো যায়নি ইয়াবা পাচার। কথিত বন্দুকযুদ্ধে শত ইয়াবা কারবারি নিহত হলেও মরণ নেশা ইয়াবা পাচার থেকে বিরত থাকেনি অনেকেই। প্রতিনিয়ত র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির হাতে আটক হচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। 

আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সূত্রে জানা যায়, ১০২ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণের পরও থামনো যাচ্ছে না ইয়াবার বিস্তার। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত মারা গিয়েছে শতাধিক ইয়াবা কারাবারি। তাদের মধ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দেশের টপ ইয়াবা কারবারি হাজী সাইফুল করিমও নিহত হয়। এছাড়া প্রতিনিয়ত আটক হচ্ছে ইয়াবার বড় বড় চালান। 

এর মধ্যে, গত ২ জুন টেকনাফের নাফ নদীর দমদমিয়া এলাকা দিয়ে প্রবেশের সময় ৯ লাখ ৬২ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি। নাফনদী পাড়ি দিয়ে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশে প্রবেশ করছিল বলে জানায় বিজিবি।

রোববার (২৬ মে) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফে ইয়াবাসহ আব্দুল আমিন নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ১ লাখ ইয়াবা ও ৩ লাখ নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়।

টেকনাফের হাতিরঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব ইয়াবাসহ তাকে আটক করা হয়। আটক আমিন কক্সবাজার সদরের খুরুশকুলের ফজলুল হকের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে পালংখালী থেকে ১৯ হাজার ৭০০ ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করে র‌্যাব। এসময় একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়। গত ২০ মে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার লিংরোড থেকে ৫ হাজার ইয়াবাসহ দুইজনকে আটক করা হয়। এ ইয়াবাগুলো ঈদ উপলক্ষে তারা খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল বলে র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/26/1561524075231.jpg

এছাড়াও গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদফতরে গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে ৯৪০ সাদা রংয়ের ইয়াবাসহ টেকনাফের পুরান পল্লানপাড়ার মৃত সৈয়দ উল্লাহর স্ত্রী জাহেদা বেগমকে (৪৭) আটক করে।

২৪ মে রাত ১১ টার দিকে শেখ আজিজুল মার্কেটের সামনে থেকে এক হাজার ইয়াবাসহ মো. জুবাইর (২০) নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। একই দিন গফুর মার্কেটের সামনে থেকে ১ হাজার ইয়াবাসহ ছৈয়দুল ইসলাম (২০) নামে একজনকে আটক করে মাদকদ্রব্য অধিদফতরের গোয়েন্দারা।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’র কক্সবাজার জেলার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বার্তা ২৪.কম-কে বলেন, ‘দেশে মাদক বিরোধী অভিযান কঠোর হলেও রাঘববোয়ালরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। যদি শীর্ষ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হয় তাহলে এ ইয়াবা বিস্তার থামানো কঠিন হবে। যদিও আইনশৃঙ্খলাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।’ 

কক্সবাজার পিপলস ফোরামের মুখপাত্র এইচ এমন নজরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সাইফুল করিম নিহত হলেও তার আশে-পাশের ব্যবসায়ীরা এখনো সচল রয়েছে। তাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। কিছু আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য এখনো রহস্যজনক ভূমিকায় রয়েছে ইয়াবা দমনে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

কক্সবাজার র‌্যাব ১৫ অধিনায়ক উইন কমান্ডার আজিম আহমেদ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, ‘র‌্যাবের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি অভিযানে  গুলি বিনিময়ের ঘটনাও ঘটেছে। তবে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সচরাচর ধরা না পড়ায় ইয়াবার বিস্তার থামাতে বেগ পেতে হচ্ছে। আশা করছি চলমান অভিযানে ইয়াবা নির্মূল সম্ভব। এ অভিযান অব্যাহত রাখবে র‌্যাব।’ 

কক্সবাজার মাদক দ্রব্য অধিদফতরের সহকারি পরিচালক সোমেন মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শুধু ইয়াবা নয়, এ সীমান্ত এলাকা দিয়ে পাচার হচ্ছে গাঁজাও। সম্প্রতি আমাদের গোয়েন্দা কয়েক কেজি গাঁজাসহ দুই নারীকে আটক করে। আমরা অভিযান আরও জোরদার করছি।’

কক্সবাজার ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চেকপোস্টে তল্লাশির সময় আটক হচ্ছে ইয়াবা পাচারাকারিরা। প্রতিদিন কোনো না কোনভাবে আটক হচ্ছে ইয়াবার চালান। তাই বিজিবি সতর্ক রয়েছে।’

উল্লেখ্য যে, ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণের পরও ইয়াবার পাচার ঠেকানো যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কয়েকটি বড় বড় চালান আটক করা হয়। কিন্তু কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না ইয়াবা পাচার। বন্দুকযুদ্ধে ইয়াবা কারাবারি নিহতের সংখ্যাও কম নয়। আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবসেও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার কক্সবাজারের মানুষ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;