শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যা, দুলাভাই গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার শালগাঁও গ্রামে স্ত্রীকে অচেতন করে শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে প্রধান আসামি মো. নাঈম ইসলাম (২৭)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুন) ভোররাতে সদর উপজেলার অষ্টগ্রামে এলাকায় তার মামার বাড়ির সামনে থেকে সদর মডেল থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার হওয়া নাঈম সদর উপজেলার নাটাই ইউনিয়নের শালগাও গ্রামের বাসু মিয়ার ছেলে।
শনিবার দুপুরে বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের জানানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল কবির জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার ভোররাতে সদর উপজেলার অষ্টগ্রামে এলাকায় তার মামার বাড়ির সামনে অভিযান চালিয়ে নাঈমকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নাইম তামান্নাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, নাইমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আরও কোনো বিষয় থাকলে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামে নিহত ওই কিশোরীর ভগ্নীপতির বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তামান্না একই এলাকার নোয়াব মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় শালগাও কালিসীমা উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
তামান্নার বড় বোন স্মৃতি আক্তার বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানান, তার স্বামী নাঈম আমের জুস নিয়ে তার মেয়ে জান্নাতকে খাওয়ায়। জুস খেয়ে জান্নাত ঘুমিয়ে পড়ে। এরপর তামান্নাকেও জুস খেতে বললে তামান্না জুস না খাওয়ায় স্মৃতি সেই জুস পান করেন। জুস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতি অচেতন হয়ে পড়েন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে তামান্নাকে বাইরে থেকে ডাক দিলেও সে কোনো সাড়া দেয়নি। এরপর তামান্নার কাছে গিয়ে দেখেন তার শরীর রক্তাক্ত। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন বাড়িতে আসলে নাঈম পালিয়ে যান। নাঈম ধর্ষণের পর তামান্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন স্মৃতি।’