নাটোরে ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকারীদের খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নাটোর
ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানবন্ধন, ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগ নেতা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানবন্ধন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সোহেল রানা (২৮) হত্যার ১৭দিন পার হলেও হত্যা মামলার ৭ আসামির কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ভাষ্য, আসামিরা যেমন পলাতক রয়েছে, তেমনি তাদের আত্মীয়-স্বজনরাও গা-ঢাকা দিয়েছে।

গত ২ জুন উপজেলার বনপাড়া পৌরসভার মহিষভাঙ্গা দক্ষিণপাড়া এলাকার ঈদগাহ মাঠ সাজানোর চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে একই এলাকার কয়েক যুবক হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানাকে হত্যা করে। হত্যার পরদিন সোহেলের পিতা খলিল প্রামাণিক বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, একই গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে রাজিব (২৩), মোহাম্মদ আলীর ছেলে সাগর (২৩), রফিক মৃধার ছেলে নয়ন (২৬), আব্দুস ছামাদ মোল্লার ছেলে সজীব (৩০), মৃত ফয়েজ মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৬০), মৃত ফকির মৃধার ছেলে রফিক মৃধা (৬০) ও মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০)।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পৌরগেটের সামনে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে উপজেলা ছাত্রলীগ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বনপাড়া পৌরসভার মেয়র কে, এম জাকির হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, বনপাড়া মহিলা অনার্স কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল-হেলাল কাফি, মৃত সোহেল রানার পরিবারের সদস্যসহ এলাকার বিভিন্ন স্তরের জনসাধারণ।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকে শুধু আসামিরা পলাতক ও তাদের পরিবারের সকলেই গা-ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়েও তাদের ধরতে পারেনি। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, সোহেল হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে জোর দাবি জানিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ। বনপাড়া শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান পিয়াস বলেন, ‘মামলার আসামিদের কেন পুলিশ খুঁজে পায় না তা আমরা জানতে চাইনা। আমরা অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার দেখতে চাই।’

বনপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন তদন্ত সাপেক্ষে মূলদায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;