ওজন জটিলতায় কানসাটে আম কেনাবেচা বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
আম নিয়ে আসলেও বিক্রি করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা, ছবি: বার্তা২৪

আম নিয়ে আসলেও বিক্রি করতে পারেনি ব্যবসায়ীরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ওজন নিয়ে জটিলতার কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বৃহৎ বাজার কানসাটে আম কেনাবেচা বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে কাঁচা ও পাকা আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এখানকার আম ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (১৫ জুন) কানসাট বাজারে সরজমিনে এই চিত্র ধরা পড়ে।

কানসাট বাজার থেকে আমের আড়তদাররা ৪৫-৪৬ কেজি হিসাবে আমের মণ কিনতে পারতেন। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ করেই মণ প্রতি অতিরিক্ত ৫-৬ কেজি আম কেনা বন্ধের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। ৪০ কেজি মণ হিসাবেই আম কিনতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

কানসাট আম আড়তদার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফরুক টিপু জানান, মৌসুমের শুরুতে কেবল কানসাট বাজারে জমে উঠতে শুরু করেছে আমের বাজার। এ অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে শিবগঞ্জ ও কানসাট এলাকায় ৪০ কেজি হিসাবে আমের মণ বেচাকেনার নির্দেশ জারি করা হয়।

অনেক ব্যবসায়ী বিষয়টি জানতে না পেরে শতশত মণ আম বাজারে নিয়ে আসেন। শনিবার সকালে প্রশাসনের এমন নির্দেশনা জানতে পেরে হতাশ হয়ে পড়েন। দিনভর অপেক্ষা করেও তারা আম বিক্রি করতে পারেননি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/15/1560606613427.jpg
সারাদিন এভাবেই অলস সময় পার করেন আম ব্যবসায়ীরা, ছবি: বার্তা২৪

 

ওমর ফরুক টিপু আরও জানান, আদিকাল হতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কাঁচামাল বিশেষ করে আম ৪৫-৪৬ কেজিতে এক মন বিক্রি হয়। যা একরকম নিয়মেই পরিণত হয়েছে। সে নিয়ম অনুযায়ী ব্যাপারী ও আড়তদাররা ৪৫-৪৬ কেজিতেই আমের মণ কিনে থাকেন। বর্তমানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা, গোমস্তাপুরের রহনপুর ও ভোলাহাটে আগের নিয়মেই আম কেনাবেচা চললেও শিবগঞ্জ ও কানসাট বাজারে প্রশাসন মৌখিক ৪০ কেজি মণ হিসাবেই আম বিক্রির নির্দেশনা জারি করে।

ফরুকের দাবি, প্রশাসনের ৪০ কেজির নির্দেশনা মানতে না পারায় কানসাটের প্রায় ৫০০ আড়তে শনিবার ভোর হতে আম কেনাবেচা বন্ধ রয়েছে। ফলে লাখ টাকা লোকসানে পড়তে হবে এখানকার আম ব্যবসায়ীদের।

তিনি বলেন, ‘সকল উপজেলাতে আম বেচাকেনার একই নিয়ম জারি করা হোক।’

ধোপপুকুর এলাকার আম ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দীন জানান, আমরা চলতি বছর নগদে আম বিক্রি করতে পেরে আশায় বুক বেধেছিলাম। ফলে ৪৫-৪৬ কেজি হিসাবের আম মণ বিক্রি করতে আমরা অসুবিধা মনে করিনি। কিন্তু প্রশাসন কৃষকদের দিক চিন্তা না করেই কোন উদ্দেশ্যে ৪০ কেজির নির্দেশ দিয়েছে এটা ভাবার বিষয়।

একই কথা বলেন, 'শ্যামপুরের আম ব্যবসায়ী বাহাদুর, শাহবাজপুরের উমর ফারুকসহ অর্ধশতাধিক আম ব্যবসায়ীরা।'

ঢাকার বাদামতুলির আম ব্যাপারী আসলাম মৃধা বলেন, ‘কাঁচা আম কিনে ঢাকায় নিতে অনেক আম পচে নষ্ট হয়। এছাড়া ওজনও কমে যায়। ফলে দীর্ঘদিন হতেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় আমের মণ ৪৫-৪৬ কেজি হিসাবে বেচাকেনা হয়। হঠাৎ করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪০ কেজি করে আম কিনতে নির্দেশ দেয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/15/1560606746214.jpg

 

তিনি আরও জানান, ব্যবসা করতে এসেছি কিছু লাভের আসায়। কিন্তু ৪০ কেজি হিসাবে মণ (আম) কিনে কিছুই থাকবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক এজেডএম নুরুল হক বলেন, ‘জেলার সকল আম সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই ৪০ কেজি হিসাবে মণ (আম) বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সকল উপজেলাকে জানানো হয়েছে। কেও যদি ৪০ কেজির ওপরে মণ হিসাবে আম কেনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;