প্লেগ রোগে মরল ৩২০০ হাঁস, খামারির সর্বনাশ



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
মরা হাঁস হাতে বসে আছেন খামারি শাহীন মিয়া / ছবি: বার্তা২৪

মরা হাঁস হাতে বসে আছেন খামারি শাহীন মিয়া / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মরা হাঁসের স্তূপ সামনে নিয়ে বসে আছে এক যুবক। সেখানে ভনভন করছে মশা-মাছি। আশেপাশে ছড়িয়ে পড়েছে দুর্গন্ধ। উৎসুক লোকজন নাক চেপে পাশ কেটে যাচ্ছেন।

আহাজারি করে একটু পর পর এই যুবক বলে উঠছেন, ‘প্লেগ রোগে আমার সব হাঁস কাইর‌্যা নিল, আমার সর্বনাশ কইর‌্যা দিয়া গেল।’ সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য দু-একজন তার কাছে গেলেও দুর্গন্ধে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারছিল না।

রোববার (৯ জুন) সন্ধ্যায় এমন দৃশ্য দেখা যায় ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের ধূপাজাঙ্গালিয়া গ্রামের একটি হাঁসের খামারে। আহাজারি করা যুবকের নাম শাহীন মিয়া। তিনি ওই ইউনিয়নের পাতরাইল গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির পাশে ধূপাজাঙ্গালিয়া গ্রামে হাঁসের খামার করার জন্য বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্র্যাক ও একটি বাড়ি একটি খামার থেকে ৩৮হাজার টাকা ঋণ নেন শাহীন। কিন্তু টাকার ঘাটতি হওয়ায় তার বাবা আব্দুস সালাম নিজ নামে বেসরকারি এনজিও ব্র্যাক, আশা ও কৃষি ব্যাংক থেকে আরও ১ লাখ টাকা ঋণ তুলে ছেলের খামারে বিনিয়োগ করেন।

 

চলতি বছরের মে মাসে নান্দাইল থেকে ১ লাখ ১২ হাজার টাকা দিয়ে সাড়ে ৩ হাজার হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করেন শাহীন। এরপর তিনমাস লালন পালন করে হাঁস প্রাপ্তবয়স্ক করতে ওষুধ ও খাবার বাবদ ২ লাখ টাকা খরচ হয়। ঈদের পর হাঁসগুলো ৫ লাখ টাকায় বিক্রির কথা ছিল। কিন্তু ঈদের দিন থেকেই খামারে মড়ক দেখা দেওয়ায় সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার ২০০ হাঁস মারা যায়। মরে যাওয়া হাঁসগুলো একে একে মাটিতে পুতে ফেলা হচ্ছে।

শাহীন মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘খামারে মড়ক লাগনের পর সুদে চল্লিশ হাজার টেকা ঋণ কইর‌্যা চিকিৎসার পরও হাঁস বাচাঁইতে পারি নাই। পরে চট্টগ্রামের এক ডাক্তাররে সব খুইল্যা কইলে তিনি কইলেন ডাক প্লেগ রোগ হইছে। শনিবার (৮ জুন) গৌরীপুর পশু হাসপাতালে গিয়া প্লেগ রোগের ভ্যাকসিন পাই নাই। চোখের সামনে হাঁসগুলো মইর‌্যা গেল। এহন আমি খামু কি আর ঋণ দিুম কেমনে।’

শাহীনের ছোট ভাই আবিদ হাসান রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ঈদের আগে আমার পুকরে ১ লাখ টাকার শিং মাছ মারা গেছে। এখন শাহীন ভাইয়ের খামারে ৫ লাখ টাকার হাঁস মরল। ঋণ করে একটু লাভের আশা করছিলাম। এখন সব শ্যাষ।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শনিবার হাসপাতাল বন্ধ ছিল। হাসপাতালে ডাক প্লেগ রোগের ভ্যাকসিন কিছুটা সঙ্কট থাকায় চাহিদা পাঠানো হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ না করা ও নিয়মনীতি না জেনে হাঁস পালন করায় অনেক সয়ম হাঁস রোগাক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তাই ওই খামারির হাঁস প্লেগ রোগেই মারা গেছে কিনা পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করে বলা যাচ্ছে না।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;