কাঁঠালবাড়ী ঘাটে মোটরসাইকেলই ভরসা



মাসুদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গোপালগঞ্জ
কাঁঠালবাড়ী ঘাট। ছবি: বার্তা২৪.কম

কাঁঠালবাড়ী ঘাট। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদারীপুর থেকে: ঈদকে সামনে রেখে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে বাড়ি ফিরছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। আর তাই যানবাহনগুলোতে রয়েছে প্রচুর ভিড়।

এ কারণে ভোগান্তি ছাড়াই বাড়ি ফিরতে মোটরসাইকেল বেছে নিচ্ছে যাত্রীরা। বাস বা মাইক্রোবাসে সিট পেতে সমস্যা হওয়ায় এখন মোটরসাইকেলই যাত্রীদের ভরসা।

কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পরিবহনের জন্য রয়েছে শতাধিক মোটরসাইকেল। ভাড়া বেশি হলেও এর মাধ্যমে অল্প সময়ে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই বাড়িতে পৌঁছানো যায়।

মাদারীপুরের শিবচর, ভাঙ্গা, রাজৈর, কালকিনি, গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর, বরইতলা, টেকেরহাট, কাশিয়ানীসহ ফরিদপুরের কয়েকটি অঞ্চলের মানুষ কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে বাড়ি পৌঁছাতে মোটরসাইকেল বেশি ব্যবহার করছে। তবে বাসে পরিবহন সম্ভব না হলে দূরের যাত্রীরাও গন্তব্যে পৌঁছাতে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছে।

ঘাটের মোটরসাইকেল চালক সমিতি সূত্রে জানা যায়, কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে মোটরসাইকেলে মাদারীপুর যেতে ৫শ টাকা, টেকেরহাট ৬শ টাকা, কালনা ঘাট ১ হাজার টাকা, গোপালগঞ্জ ১২শ টাকা, বরিশাল ১৫শ টাকা করে ভাড়া নেওয়া হয়। এখানে সবার ড্রাইভিং ও মোটরসাইকেলের লাইসেন্স রয়েছে। যাত্রী বহনের ক্ষেত্রে চালকরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে মোটরসাইকেল চালান। ঈদের সময় বাড়তি আয়ের জন্য দিন-রাত মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন করছে চালকরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559474876592.jpg

শাহরিয়ার মাসুদ নামে এক মোটরসাইকেল যাত্রী বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে স্ত্রীকে নিয়ে আমি ঢাকা থেকে কালনাঘাট এলাকায় নিজ বাড়িতে যাচ্ছি। বাসে প্রচুর ভিড়, তাই সিট পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণেই মোটরসাইকেলে করে বাড়ি যাচ্ছি। ভাড়া বেশি হলেও ভোগান্তিবিহীন ভ্রমণে ভালোই লাগবে।’

মিজানুর রহমান নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘আমি কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে মাদারীপুরের কবিরাজপুর এলাকায় যাচ্ছি। মালামাল নিয়ে বাসে যাওয়া কষ্টকর। তাই মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছি।’

মোটরসাইকেল চালক আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমি প্রতি মাসে মোটরসাইকেল চালিয়ে খরচ ছাড়াই ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করি। এখানে আমাদের সমিতি আছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে নিয়ম মেনেই আমরা যাত্রী বহন করি।’

কাঁঠালবাড়ী মোটরসাইকেল চালক সমিতির সভাপতি মোস্তফা মোল্যা বার্তা২৪.কমকে জানান, কাঁঠালবাড়ী ঘাটে মোটরসাইকেল চালিয়ে অনেকেই স্বাবলম্বী হচ্ছে। চালকরা নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনেই যাত্রী বহন করে। ঈদের সময় বাড়তি আয়ের উদ্দেশে সবাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ঈদে যাত্রীরা মোটরসাইকেলে করে স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;