লোকসানে ধান বিক্রি হাওরাঞ্চলের কৃষকদের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
কম দামেই ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪

কম দামেই ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উৎপাদন খরচের চেয়ে অন্তত ৩শ টাকা লোকসানে প্রতি মণ ধান বিক্রি করছেন নেত্রকোনার হাওড়দ্বীপ খালিয়াজুরীর কৃষকরা। এখানে সরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে ধান না কেনায় ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে লোকসান দিয়েই ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা।

একাধিক সূত্র জানায়, খালিয়াজুরীতে এবারের বোরো মৌসুমে প্রতি মণ ধান উৎপাদন খরচ পড়েছে কমপক্ষে ৯শ টাকা। কিন্তু এ ধান বিক্রি করতে হচ্ছে মণ প্রতি সর্বোচ্চ ছয়শ টাকা দরে। এ হিসেবে এক মণ ধানে কৃষককে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৩শ টাকা।

খালিয়াজুরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলায় এবার বোরো উৎপাদন হয়েছে ৬৩ হাজার ৫৯২ মেট্রিক টন। এখানকার মানুষের বছরে খাদ্য চাহিদা রয়েছে ১৭ হাজার ৩৩৯ মেট্রিক টন ধান। এ অনুযায়ী, এখানে উদ্ধৃত আছে ৪৬ হাজার ২৪৩ মেট্রিক টন ধান। বিপুল পরিমাণ এ ধান উদ্ধৃত থাকলেও সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে কেনা হচ্ছে মাত্র ৫৯৭ মেট্রিক টন ধান। উদ্ধৃত অন্যান্য ধান বাধ্য হয়েই কৃষককে বিক্রি করতে হচ্ছে বেসরকারিভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/31/1559311584254.jpg
কম ধানে ধান বিক্রি করতে এসেছেন কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪

তিনি আরও জানান, ওই সব ব্যবসায়ীরা কোনো অবস্থাতেই এবছর ৬শ টাকা মণ দরের চেয়ে বেশি দর দিয়ে ধান কিনতে চাইছেন না।

খালিয়াজুরী সদরের বানিয়াপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য অজিত সরকার বলেন, 'তিনি এবার ১০ একর বোরো জমি আবাদ করে ধান পেয়েছেন মাত্র দেড়শ মণ। এ ধান বিক্রি হয়েছে ৬শ টাকা মণ দরে। তার ধান ফলাতে প্রতি মণে খরচ পড়েছে ১ হাজার টাকা।'

খালিয়াজুরী সদরের দীঘলহাটি গ্রামের কৃষক মলয় চৌধুরী জানান, তার ১৬ একর জমিতে এবার ধান হয়েছে ২৫২ মণ। এ ধান উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার টাকা। অথচ, তা বিক্রি করে পাওয়া গেছে মাত্র ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮শ টাকা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/31/1559311658771.jpg
ওজন দিয়ে মেপে ধান বিক্রি করছেন কৃষকরা, ছবি: বার্তা২৪

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার চাকুয়া গ্রামের কৃষক হীরালাল, আমানীপুর গ্রামের ফখরুল ইসলাম, উদয়পুর গ্রামের প্রান্তোষ সামন্তসহ অসংখ্য কৃষক এবার প্রতি মণ ধান ৩শ থেকে ৪শ টাকা লোকসানে বিক্রি করছেন।

কৃষকের কেন এত টাকা লোকসান হচ্ছে ? এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা জানান, একদিকে এবার ফলন কম হয়েছে কোল্ড ইনজুরির কারণে। তাই অধিক জমিতেও অল্প পরিমাণ ধান হওয়ায় বেড়েছে উৎপাদন খরচ। অন্যদিকে বাজারে ধানের দাম কম। এছাড়া ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা কৃষকের চোখে ফাঁকি দিয়ে দাড়ি পাল্লার মাধ্যমে মেপে ওজনেও ধান বেশি নেয়। এসব কিছুর বিরূপ প্রভাবেই ধানে লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের।

খালিয়াজুরী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া জব্বার বলেন, ‘সমস্যা যেন এখানকার কৃষকের পিছু ছাড়ছে না।’

বিগত ১৫ বছরে এখানে অকাল বন্যা, শিলাবৃষ্টি ও রোগ বালাইয়ে ফসল নষ্ট হয়েছে ৯ বার। এবার ক্ষতি হলো চিটায়। একমাত্র বোরো ফসলের উপর নির্ভরশীল এ হাওড় পাড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য পাবার নিশ্চয়তা দেয়া উচিৎ সরকারিভাবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;