পাঁচ লাখ মানুষের জন্য তিন চিকিৎসক!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ছবি: বার্তা২৪

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী ও আমতলী উপজেলার পাঁচ লাখ মানুষের বসবাস। আর তাদের স্বাস্থ্য সেবায় ডাক্তার আছেন মাত্র তিনজন। তাদের মধ্যে- আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন এবং তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে স্বাস্থ্য সেবা। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। কারণ চিকিৎসার জন্য সবাইকে শহরের হাসপাতালে যেতে হয়।

জানা গেছে, এই দুই উপজেলায় ৩৯ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও ৩৫টি পদ খালি। যার মধ্যে তিনটি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও ৭টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য অ্যান্ড হেলথ ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসকই নেই।

সরেজমিনে দেখা গেছে, আমতলী উপজেলা ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জন চিকিৎসকের মধ্যে আছেন মাত্র ৫ জন। তাদের মধ্যে ডা. মোনায়েম সাদ প্রেষণে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, শাকিলা আক্তার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে, ইমদাদুল হক চৌধুরী টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রেষণে, টিএইচ শংকর প্রসাদ অধিকারী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ছুটিতে আছেন। আর বাকি দুজন ডা. মো. শাহদাত হোসেন ও ডা. জিকু শীল কর্মরত আছেন। আর তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও শুধু মো. মেছবাহ উল ইসলাম চৌধুরী কর্মরত আছেন।

এছাড়া কুকুয়া ১০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন চিকিৎসকের পদই খালি। আর গুলিশাখালী, গাজীপুর ও তালতলী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ৭টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য অ্যান্ড হেলথ ক্লিনিকে কোনো চিকিৎসক নেই।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে বর্হিবিভাগে দুইশজন এবং আন্তঃবিভাগে গড়ে ৫৫-৬০ জন রোগী আসেন। কিন্তু একজন চিকিৎসককেই সব রোগীর চিকিৎসা দিতে হয়, যা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ট্রমা সেন্টার ঘুরে দেখা গেছে, হাসপাতালে শত শত রোগীর ভিড়। কিন্তু চিকিৎসকদের কক্ষ তালাবদ্ধ। রোগী ও তার স্বজনরা হাসপাতালের মেঝেতে পায়চারি করছেন। অনেক মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।

গাজীপুর এলাকার বাসিন্দা সোহেল রানা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিঠুর সরকার দায়িত্বে থাকলেও তিনি শুধু বৃহস্পতিবার আসেন। বাকি দিনগুলোতে কেন্দ্র বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অনেক রোগী চিকিৎসক না পেয়ে চলে যান।’

গাজীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিঠুন সরকার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেষণে আনা হয়েছে। ফলে আমি সপ্তাহে একদিনের বেশি কেন্দ্রে যেতে পারি না।’

তালতলীর গাবতলী গ্রামের মো. আবদুল মাজেদ মাস্টার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সামান্য অসুখ হলেই সবাইকে শহরে যেতে হয়। ফলে রোগীদের ভোগান্তি যেমন বাড়ে তেমনি আর্থিক ক্ষতিও হয়।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘চিকিৎসক চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া না হলে স্বাস্থ্য সেবা অব্যাহত রাখা কষ্টকর।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;