কনস্টেবল মৃত্যুর ঘটনায় হাইমচরের ওসিসহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত



মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
শেখ মো. মহসীন আলম, ছবি: সংগৃহীত

শেখ মো. মহসীন আলম, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদপুরের হাইমচর থানা পুলিশের কনস্টেবল মোশারফ হোসেন হত্যার ঘটনায় থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. মহসীন আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে একই থানার এসআই মুকবুল, এএসআই সুমন সরকার এবং কনস্টেবল শাহাদাত হোসেনকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম।

সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এ চারজনের মধ্যে এএসআই সুমন সরকার এবং কনস্টেবল শাহাদাত হোসেন কনস্টেবল মোশারফ হোসেন নিহত হওয়ার ঘটনার সময় সঙ্গে ছিলেন। এ দু’জনকে ঘটনার পরদিনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। আর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. মহসীন আলম সেদিন তার কর্মস্থলে ছিলেন এবং এসআই মুকবুল ঘটনার দিন রাতে হাইমচর থানার ডিউটি অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। এ দু’জনকে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে প্রাথমিকভাবে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুরো ঘটনাটি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্টের আলোকে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত এবং নেপথ্যে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন সূত্র জানিয়েছে। এ ঘটনায় বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রধান হচ্ছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার) মো. মিজানুর রহমান।

উল্লেখ্য ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার রাতে হাইমচর থানার কনস্টেবল মোশারফ হোসেন মেঘনা নদীতে নিখোঁজ হন। ঘটনার দু’দিন পর ২৮ এপ্রিল রোববার সকাল ১১টার দিকে বরিশাল জেলার হিজলা থানা এলাকায় মেঘনায় ভেসে ওঠে কনস্টেবল মোশারফের লাশ। এ ঘটনার বিষয়ে ঘটনার পরদিন ২৭ এপ্রিল শনিবার হাইমচর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. মহসীন আলম জানান, এএসআই সুমন সরকারের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য নদীর ওপাড়ে অর্থাৎ নীলকমল ইউনিয়নের চরকোড়ালিয়া এলাকায় থানার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ধরতে যাচ্ছিল।

তখন নদীতে একদল জেলে জাটকা ধরছিলো। জেলেরা ধারণা করেছিলো পুলিশ তাদেরকে ধরতে আসছে। তখন জেলেরা সম্মিলিতভাবে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ হামলার সময় কনস্টেবল মোশারফ নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়ে যায়। ওসি আরও জানান, ঘটনার সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাঁচ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ঘটনার পরদিন শনিবার রাতে নিহত কনস্টেবল মোশারফের স্ত্রী শামীমা আক্তার হাইমচর থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তবে আসামীদের তালিকা ওসি নিজেই করেছেন বলে জানা গেছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;