ইফতারিতে সিলেটিদের ‍প্রিয় খাবার খিচুড়ি



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট অঞ্চলের মানুষের কাছে খিচুড়ি একটি জনপ্রিয় খাবার। যেকোনো দিন সময়ে অসময়ে খিচুড়ি খেতে পছন্দ করে এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে বৃষ্টির দিন হলে প্রায় প্রতিটি পরিবারেই খিচুড়ি রান্না হয়ে থাকে।

এছাড়া পবিত্র রমজান মাসেও খিচুড়ির কদর বাড়ে। মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে ধনাঢ্য পরিবারগুলোতে ইফতারের অন্যতম আইটেম এই খিচুড়ি। বিশেষ করে বিত্তশালীরা যখন একেক দিন একেক ধরনের ইফতারের ব্যবস্থা রাখে, সেখানে মধ্যবিত্তরা প্রতিদিনই এই খিচুড়ি দিয়ে ইফতার করে থাকে।

মধ্যবিত্তদের দাবি, ইফতারে বিত্তবানদের মতো খরচ করার সামর্থ্য না থাকায় কম খরচে সহজ ইফতার আইটেম হচ্ছে খিচুড়ি। তবে মাঝে মাঝে খিচুড়ির সঙ্গে অন্যান্য আইটেমও রাখা হয়।

শুধু পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টেও ইফতারে বিভিন্ন আইটেমের সঙ্গে খিচুড়ি অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। পরিবারগুলোতে সাধারণ চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হলেও হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে থাকে ভিন্নমাত্রা। সুগন্ধি চিকন চালের সঙ্গে গাওয়া ঘি, কালোজিরা ও মেথিসহ বিভিন্ন ধরনের মসলা দিয়ে খিচুড়ি রান্না হয়। আবার স্বাদে ভিন্নতা আনতে খিচুড়িতে শাক-সবজিও কুচি কুচি করে মেশানো হয়ে থাকে। কেউ কেউ আবার খিচুড়ির সঙ্গে গরু, খাসি বা মুরগির মাংসও মিশিয়ে থাকেন।

কিন্তু শুধুমাত্র ছোলা-মুড়ি দিয়েই প্রতিদিন ইফতার করে থাকে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলো। তবে সময় ও বিশেষ দিন অনুসারে তারাও খিচুড়ির আয়োজন করে থাকে। নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারগুলোর ইফতারে ভালো আইটেম বলতে আলুর চপ, বেগুনি ও শাকের বড়াই রয়েছে।

তাদের দাবি, ইফতারে ছোলা, পেঁয়াজু, ডিমের চপ, আলুর চপ, বেগুনি, বাখরখানি, শাকের বড়ার মতো নানা বাহারি আইটেম বাজারে থাকলেও কেনার সামর্থ্য হয় না। আবার বাড়িতে তৈরি করতে হলে নানা উপকরণের প্রয়োজন হয়। যা কেনার সাধ্য তাদের থাকে না। তাই ছোলা, মুড়ি, আর পেঁয়াজু মাখিয়ে ইফতার করেন তারা। পরে পেট ভরে ভাত খেয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।

হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টে ইফতারিতে নরম খিচুড়ি বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় আবার রোজাদারদের চাহিদা অনুযায়ী ভুনা খিচুড়িও বিক্রি হচ্ছে। যদিও হোটেল-রেস্টুরেন্টে খিচুড়ির দাম তুলনামূলকভাবে বেশি বলে দাবি করেছে অনেকে। প্রতিটি স্থানেই নির্দিষ্ট সাইজের প্লেট অনুসারে ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি করা হয় সুস্বাদু এই খিচুড়ি।

শহরের শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের জন্য ইফতারে খিচুড়ি একটি অনন্য উপাদান। এর স্বাদ ও গন্ধ অতুলনীয়। প্রতিদিনই আমার বাসায় ইফতারে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়। একেক দিন একেক স্বাদের খিচুড়ি তৈরি করা হয়।’

মনোয়ার আলী নামে এক রোজাদার বলেন, ‘গ্রামের বাড়ি থেকে মা কিছু বিন্নি চাল পাঠিয়েছিলেন। এগুলো দিয়ে খিচুড়ির স্বাদই অন্যরকম। ইফতারে খিচুড়ি না থাকলে ভালো লাগে না।’

রিকশাচালক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘আমাদের ইফতারের সময় একটা কিছু খেলেই হলো। রোজা ভাঙার জন্য একটি খেজুর ও ১০ টাকা দিয়ে ফুটপাতে বিক্রি করা মুড়ি খাই। এরপর পানি খেয়ে আবার রিকশা চালাই। রাতে বাড়িতে গিয়ে পেট ভরে ভাত খাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘পছন্দ-অপছন্দ দিয়ে ইফতার করার টাকা কই পামু। সারা দিনে একশ টাকা ইনকাম করতে পারি না। আর একশ টাকা দিয়ে খিচুড়ি খাইমু কীভাবে?’

এদিকে, ইফতারিতে নরম খিচুড়ি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;