লালমনিরহাটে লোকসানে ধান চাষিরা, লাভে চালকল মালিকরা



নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
গাছ থেকে ধান ও খড় আলাদা করা হচ্ছে / ছবি: বার্তা২৪

গাছ থেকে ধান ও খড় আলাদা করা হচ্ছে / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘাম ঝড়ানো শ্রমের বিনিময়ে উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়ে আপনজনদের নিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দে থাকবেন। কিন্তু এ বছর লালমনিরহাটের কৃষকদের এই স্বচ্ছলতার স্বপ্নের বিপরীতে বড় হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ধানের বাজার মূল্য! কৃষকদের অভিযোগ, সরকারের আপদকালীন চাল কেনার সিদ্ধান্তে মূলত লাভবান হচ্ছেন চালকল মালিক ও মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা। আর বিঘা প্রতি কৃষকদের লোকসান গুণতে হচ্ছে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা।

জেলায় এবার প্রতি মণ ১ হাজার ৪৪০ টাকা দরে ৩০ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং প্রতি মণ ১ হাজার ৪০ টাকা দরে ১ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনবে সরকার। বিপুল পরিমাণ এই ধান-চাল মূলত কেনা হবে মিল মালিকদের থেকে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলায় গত বছরের বোরো আবাদ হয়েছিল ৪৯ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। এবার তা কমে ৪৮ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৩ হাজার হেক্টরের চেয়ে বেশি ধান আবাদ হয়েছে। আবাদকৃত জমির মধ্যে বিআর ২৮ ও বিআর ২৯ ধানের চাষাবাদ বেশি।

কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বোরো ধানের ফলনও হয়েছে বাম্পার। ইতোমধ্যে তিস্তায় এলাকার ৭০ ভাগ ও সমতল এলাকার ৩০ ভাগ ফসলি জমির ধান কাটা হয়েছে। তবে ধান উৎপাদনে কলচার্জ, শ্রমিক মজুরি, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/16/1557971821873.jpg

কৃষকরা বলছেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে ধানের দর কম। ফলে লোকসান দিয়েই ধান বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। সবমিলিয়ে মুখে হাসি নেই খেটে খাওয়া এসব মেহনতী মানুষের। আর তাই কৃষিকাজে আস্থা হরিয়ে ভবিষ্যতে আর ধান রোপণ করবেন না বলেও জানালেন অনেকে।

কৃষক রমজান আলী বার্তা২৪.কমকে বলেন, `বর্তমানে সরকার ধানের যে বাজার মূল্য দিছে আগামী বছরে আর আবাদ করিম না (করব না)। এ মূল্যে হামার লাভ হবার নয়। দর না বাড়াইলে (দাম না বাড়ালে) আগামীতে আর ধান চাষ কেউ করিম না।’

মফিজুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এক বিঘা জমির ধান করতে খরচ অয় ১০ হাজার টেহা (টাকা)। কিন্তু বাজারো নিয়া গিয়া এই এক বিঘা জমির ধানের দাম ৭ হাজার টেহার বেশি পাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ বছর ঋণ কইরা ধান করছি, এরপরও লোকসান। সামনেরবার এই ধান আর করতাম (করব) না।’

এভাবে শুধু কৃষক মফিজুল ইসলাম নয় এ বছর লোকসানের মুখে পড়ে কৃষি কাজে আস্থা হারাচ্ছেন এ অঞ্চলের বহু কৃষক। তাই লোকসানের মুখ থেকে বাঁচতে সরকারের কাছে ধানের বাজার মূল্য বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন লালমনিরহাটের কৃষকরা।

এদিকে সরকারিভাবে নির্ধারিত বাজারমূল্য অনুসারে খাদ্য বিভাগ ধান সংগ্রহ শুরু করলে ধানের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাবে এবং কৃষকরা লাভবান হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিদু ভুষণ রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এ বছর কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বাম্পার ফলন হয়েছে। যার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ হাজার ১৫০ হেক্টর। সরকারের নির্ধারিত বাজার মূল্যে খাদ্য বিভাগ ধান সংগ্রহ শুরু করলে বাজারে ধানের মূল্য বাড়বে এবং কৃষকরাও লাভবান হবেন।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;