বগুড়ায় কৃষকের সোনালী স্বপ্ন এখন পানির নিচে



গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বগুড়া, বার্তা২৪.কম
স্বামীকে নিয়ে হাঁটু পানিতে ধান কাটছেন মর্জিনা বেগম/ ছবি: বার্তা২৪

স্বামীকে নিয়ে হাঁটু পানিতে ধান কাটছেন মর্জিনা বেগম/ ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গত দুইদিনের বৃষ্টিতে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে থাকা ধান কাটতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। প্রয়োজনীয় পুরুষ শ্রমিক না পাওয়ায় নারীরাও ধান কাটতে মাঠে নেমেছেন।

রোববার (৬ মে) বগুড়া সদর, কাহালু ও গাবতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে কৃষকদের এ চিত্র দেখা যায়।

বগুড়া সদরের শহরদিঘী গ্রামের মর্জিনা বেগম বাকপ্রতিবন্ধী স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে এক হাঁটু পানিতে নেমে ধান কাটছেন। ধান কাটা শ্রমিক না পেয়ে তিনি নিজেই বাধ্য হয়ে জমিতে নেমেছেন। মর্জিনা বেগম বার্তা২৪.কমকে জানান, সোয়া তিন বিঘা জমিতে বোরো ধার চাষ করেছেন। সময় মতো সেচ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করায় বাম্পার ফলনের আশাও করেছিলেন। আর মাত্র এক সপ্তাহ পর ধান কেটে ঘরে তোলাও স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু গত শুক্রবার (৩মে) ও শনিবার (৪ মে) দু’দিনের বৃষ্টি আর একই সঙ্গে বাতাসে জমির ধান গাছ হেলে পড়ে। পাশাপাশি জমিতে একহাঁটু পানি আটকে যাওয়ায় হেলে পড়া ধানগাছ পানিতে তলিয়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/05/1557059882154.JPG

একই গ্রামের কৃষক আব্দুস সালাম ১৪ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। তার ধানেরও একই অবস্থা। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দ্রুত ধান কাটতে না পারলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। কিন্তু শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ির কাছাকাছি জমি হওয়ায় তিন হাজার টাকা বিঘা ধান কাটতে রাজী হয়েছে কয়েকজন শ্রমিক। টাকা ছাড়াও তাদেরকে তিন বেলা খাওয়া, থাকার ব্যবস্থা। এছাড়া প্রত্যেক শ্রমিককে দিনে দুই প্যাকেট বিড়ি দিতে হচ্ছে। তার পরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধান ডুবে যাওয়ায় একদিকে যেমন ফলন কম হবে অন্যদিকে জমিতে পানি থাকায় শুধু ধানের শীষ কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে করে খড় কম পাওয়া যাবে।’

কাহালু উপজেলার বেলঘড়িয়া মাঠে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থেকে ধান কাটতে এসেছেন মোশারফ, জয়নাল, সামছুলসহ ১৬ জন শ্রমিক। তারা বলেন, প্রতি বছরই তারা বগুড়ায় ধান কাটার কাজে আসেন। এবার ধান কাটতে তাদের কষ্ট বেশি হচ্ছে। পানিতে ডুবে থাকা ধান কাটতে গিয়ে একদিকে জোঁকের আক্রমণ অন্যদিকে পানিতে ডুবে থাকা ধান কাটতে তাদের সময় বেশি লাগছে।

তিনবেলা খাওয়াসহ চার হাজার টাকায় বিঘা ধান কাটছেন বলেও জানান তারা।

বগুড়ার পশ্চিমাঞ্চল কাহালু, দুপচাঁচিয়া, আদমদীঘি নন্দীগ্রাম উপজেলায় ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও পূর্ব বগুড়ার গাবতলী, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে অনেক বেশি। এসব উপজেলার নিচু জমির ধান একেবারেই তলিয়ে গেছে। পানি না কমলে কৃষকরা জমি থেকে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন না।

গাবতলী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের কৃষক ফয়েজ উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এবার একদিকে ধান গাছে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে বৃষ্টি আর বাতাসে জমিতে যেটুকু ধান ছিল তাও শেষ হয়ে গেছে।’

তার মতো অনেক কৃষকের এবার একই অবস্থা। ধান চাষ করে এবার তাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/05/1557059564296.JPG

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার বোরো মৌসুমে বগুড়া জেলার ১২ উপজেলায় এক লাখ ৮৯ হাজার ২৮ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ কমে যাওয়ায় অর্জন হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে। ফলন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাত লাখ ৫৪ হাজার ৪০ মেট্রিক টন।

মাঠ পর্যায়ে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাহাবুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বৃষ্টি এবং ঝড় বাতাসের কারণে এবার ধানের ফলন কম হবে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আগাম ধান কাটতে কৃষি বিভাগ থেকে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে অনেকেই আগাম ধান কাটতে পারেনি।’

আরও পড়ুন: বগুড়ায় আগাম ধান কাটতে কৃষি বিভাগের মাইকিং

আরও পড়ুন: ফণীর আঘাতে ভেঙে গেছে শতবর্ষী কৃষ্ণচূড়া

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;