সিরাজগঞ্জে একই দিনে ছয় বাল্যবিয়ে বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট সিরাজগঞ্জ বার্তা২৪.কম
সিরাজগঞ্জে একই দিনে  ছয়টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত, ছবি: বার্তা২৪.কম

সিরাজগঞ্জে একই দিনে ছয়টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরাজগঞ্জে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একই দিনে ছয়টি বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় বাল্যবিয়ের আয়োজন করার দায়ে ছয় জনকে অর্থদণ্ড ও প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত ছেলে বা মেয়ের বিয়ে দেবে না মর্মে বাবা-মায়ের কাছে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এ বিয়ে বন্ধ করা হয়। এ অভিযানে সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সবুর শেখ, পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, পৌরসভার প্যানেল মেয়র গোলাম মোস্তফা ও আনসার ব্যাটালিয়নের পিসি নুরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (১৭ এপ্রিল) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কাশিয়াহাটা গ্রামের আব্দুল আলীমের মেয়ে তেতুলিয়া চুনিয়াহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা খাতুনের (১৫) সঙ্গে কাদাই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে রাসেলের (২১) বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

রাত সাড়ে ৯টার দিকে একই ইউনিয়নের কান্দাপাড়া গ্রামের মানিক শেখের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার মেয়ে কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মিষ্টি খাতুন (১১) ও ছাইফুল ইসলামের ছেলে সিরাজ উদ্দিনের (২২) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

শহরের চক কোবদাসপাড়া মহল্লার তাইজুল ইসলামের মেয়ে হৈমাবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া খাতুনের (১৩) সঙ্গে হরিনা গোপাল আদর্শ গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে লাদেনের (২৪) বিয়ের আয়োজন চলাকালে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কাজী পালিয়ে যায়। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়। এসময় বর লাদেন শেখ ও কনের মা রুমা খাতুনের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের মালশাপাড়ায় মহল্লার আব্দুল হান্নানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তার মেয়ে এসবি রেলওয়ে কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি খাতুন (১৩) ও রানীগ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে শামীম আহমেদের (২৭) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে বর ও কনের বাবা প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

রাত ৮টার দিকে কাওয়াখোলা ইউনিয়নের বেড়াবাড়ী গ্রামে অভিযান চালিয়ে শুকুর আলীর মেয়ে ও গোরী আরবান উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শিউলি খাতুন (১২) এবং ঘুড়কা এলাকার উজ্জ্বল হোসেন ছেলে ছেলে মুরলীর (১৫) বিয়ে বন্ধ করা হয়। এসময় বর ও কনের বাবা প্রত্যেককে পাঁচ হাজার করে জরিমানা করা হয়।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে সয়দাবাদ ইউনিয়নের হাট সারুটিয়া গ্রামের ইদ্রিস প্রামাণিকের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় রত্না খাতুন (১৩) ও রতনকান্দি ইউনিয়নের দত্তবাড়ী গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে চান মিয়ার (২৭) বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;