লোকসানের আশঙ্কা: সয়াবিন গাছে ছড়া কম, দানাও ছোট



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
ক্ষতিতে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা, ছবি: বার্তা২৪

ক্ষতিতে পড়ার শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সয়াবিনের প্রায় ৮০ ভাগ উৎপাদিত হয় লক্ষ্মীপুরে। এজন্য জেলার ব্র্যান্ডি নামও দেওয়া হয়েছে সয়াল্যান্ড। রবি মৌসুমেই এ ফসলের আবাদ করেন স্থানীয় কৃষকরা। ফলনও লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তবে এবার চৈত্রের মাঝামাঝি থেকে শেষ সময় পর্যন্ত হওয়া শিলা বৃষ্টির কারণে সয়াবিন গাছে ছড়া কম ও দানাগুলো ছোট হয়েছে বলে জানিয়েছে চাষিরা। এতে লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।

এদিকে, এ অঞ্চলে ফসল ভালো উৎপাদন হলেও সয়াবিন ভিত্তিক কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। এতে বাইরের আড়তদারদের কাছে সয়াবিন বিক্রি করে ভালো দাম পাননা এখানকার চাষিরা। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির সম্মুখীন ও ভালো দাম না পাওয়ায় লোকসান গুণতে হয় তাদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/27/1556323262314.jpg

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৪৮ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমিতে সয়াবিন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। এরমধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ৯ হাজার হেক্টর, রায়পুরে ৭ হাজার হেক্টর, রামগঞ্জে ৩৫ হেক্টর, রামগতি ১৭ হাজার ৭০০ হেক্টর ও কমলনগর উপজেলায় ১৪ হাজার ৮১০ হেক্টর।

জেলার ৫ উপজেলাতেই এখন সয়াবিন পাকা শুরু করেছে। গত কয়েকদিন থেকে সয়াবিন কাটায় ব্যস্ত সময়ও পার করছেন চাষিরা। তবে তারা সয়াবিনের ছড়া দেখে হতাশায় পড়েছেন। এমনকি সয়াবিনের ছোট ছোট দানাগুলোও তাদের স্বপ্নে আঘাত করেছে। আবহাওয়া ভালো থাকলেও চৈত্র মাসের মাঝামাঝি ও শেষের দিকের শিলা বৃষ্টিই এ দুর্দশার কারণ বলে জানা গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/27/1556323275962.jpg

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলের উর্বর মাটি সয়াবিন চাষের জন্য উপযোগী। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ফলনে লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যায়। দেশের প্রায় ৮০ ভাগ সয়াবিন এ জেলার চাষিদের উৎপাদিত।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/27/1556323293022.jpg

কয়েকজন কৃষক জানায়, প্রতিবছরই তারা সয়াবিন চাষ করেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ভাল ফলন হয়। কিন্তু এবার শিলাবৃষ্টিতে ফসলের অনেক ক্ষতি হয়েছে। একই কারণে গাছে ছড়া কম ধরেছে। সয়াবিনের দানাও ছোট আকৃতির হয়েছে। এতে লোকসান হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরের সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকরণের কোনো কারখানা নেই। অন্য জেলার আড়তদাররা এসে এখান থেকে কম দামে সয়াবিন কিনে নিয়ে যায়। এ কারণে এখানকার চাষিরাও সয়াবিনের ভালো দাম পায় না।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/27/1556323308381.jpg

ভবানীগঞ্জ চরভূতা গ্রামের বর্গাচাষি লালবানু বলেন, ‘এবার সয়াবিন কম হয়েছে। এখন গৃহস্থদেরকেও (জমির মালিক) দেওয়া কষ্ট হয়ে যাবে। দুই-তিনবারের বৃষ্টিতে সব সার পানির সঙ্গে ধুয়ে চলে গেছে। এতে জমিতে আগাছা বেড়ে ফলন কম হয়েছে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/27/1556323324539.jpg

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে জমিতে আগাছা বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের খরচ বেশি হয়েছে। তবে হেক্টর প্রতি এক হাজার ৮০০ থেকে থেকে ২ হাজার কেজি সয়াবিন উৎপাদন হয়। এবার প্রায় সাড়ে ৩শ কোটি টাকার সয়াবিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;