কলেজের ভেতর দিয়ে টাঙ্গাইলের আঞ্চলিক মহাসড়ক!



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল, বার্তা২৪.কম
কলেজের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়ক দিয়ে হাঁটছেন শিক্ষার্থীরা / ছবি: বার্তা২৪

কলেজের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়ক দিয়ে হাঁটছেন শিক্ষার্থীরা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের সরকারি মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের ভেতর দিয়ে চলে গেছে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক মহাসড়ক। সড়কটি কলেজ ক্যাম্পাসকে তিন ভাগে ভাগ করে রেখেছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। ঝুঁকি নিয়ে ক্যাম্পাসে চলাচল করতে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

দীর্ঘদিন ধরে কলেজের মোড় থেকে পশ্চিমদিক দিয়ে বাইপাস সড়ক নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে কলেজ কতৃপক্ষ। এ দাবি বাস্তবায়িত হলে কলেজের পরিবেশ যেমন রক্ষা হবে, তেমনি যানবাহন চলাচলেও সুবিধা হবে। তবে এখনো এর কোনো প্রতিকার নেই।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৭ সালের ১ জুলাই মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী টাঙ্গাইল শহর থেকে তিন কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।

এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যখন কাগমারীতে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন গ্রামের মানুষ কলেজের ভেতর দিয়ে পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতো। পায়ে হাঁটা সেই সড়কের দু’পাশে বিভিন্ন সময় গড়ে উঠে কলেজের স্থাপনা। পাশাপাশি সড়কটিও ব্যস্ত হতে থাকে। ১৯৭৫ সালের মার্চে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজে এসে কলেজটি জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। বর্তমানে কলেজটিতে ১৫টি বিভাগে সম্মান, দুইটি বিভাগে স্নাতকোত্তর, স্নাতক পাস ও এইচএসসি শ্রেণিতে নয় হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে।

৭০ দশকে কলেজের ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া রাস্তাটিতে ইট বিছানো হয়। ৮০’র দশকে এটি পাকা করা হয়। তখন এটি টাঙ্গাইল-নাগরপুর সড়ক ছিল। ৯০ দশকে সড়কটি নাগরপুর থেকে আরিচা পর্যন্ত পাকাকরণের মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কে রূপান্তর করা হয়। পরবর্তীতে ধলেশ্বরী নদীতে সেতু নির্মাণের পর এ সড়কের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন মালবাহী ট্রাক, বাসসহ কয়েকশ সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাচল করে। ফলে এটি একটি ব্যস্ততম সড়কে রূপ নিয়েছে। কলেজের ভেতর দিয়ে এত বেশি যানবাহন চলাচল করায় ব্যহত হচ্ছে লেখাপড়ার পরিবেশ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/24/1556108231332.JPG

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সড়কটি টাঙ্গাইল শহর থেকে কাগমারী-সন্তোষ মোড় পর্যন্ত গিয়ে পূর্ব দিকে বাঁক নিয়ে কলেজের দিকে প্রবেশ করেছে। পূর্ব দিকের ২০০ গজ গিয়ে আবার বাঁক নিয়েছে দক্ষিণ দিকে। এর পর চলে গেছে আরিচার দিকে। এই সড়কের উত্তর দিকে পড়েছে কলেজের প্রশাসনিক ও একাডেমিক মূল ভবন। পশ্চিম দিকে সমাজ কর্ম, অর্থনীতি, ইসলামের ইতিহাস, জামে মসজিদ ও পুকুর আবার পূর্ব দিকে উচ্চ মাধ্যমিক ক্যাম্পাস, ছাত্র সংসদ, ছাত্রদের কমন রুম, ক্যান্টিন ও শিক্ষকদের মেস।

কলেজের ছাত্র আবু রায়হান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এ কলেজে শান্তিতে চলাচল করা যায় না। মনে হয় কলেজ নয়, মহাসড়ক দিয়ে হাঁটছি।’

কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শামসুল হুদা বার্তা২৪.কমকে জানান, তিনি এ কলেজে অধ্যক্ষ থাকাকালে ২০০৪ সালে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় সড়কটি কলেজ বাইপাস করে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তার আগে এবং পরেও কলেজ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।

কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) শফিউল আলম মুকুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ভেতর দিয়ে বেপরোয়াভাবে যানবাহন চলাচল করে। এতে প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। বিভিন্ন সময় মন্ত্রীরা কলেজে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আসলে তাদের কাছে সড়কটি কলেজের সীমানার বাইরে দিয়ে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। তারা আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।’

কলেজের শিক্ষকরা বার্তা২৪.কমকে জানান, সড়কটি যেখান থেকে (কাগমারী সন্তোষ মোড়) পশ্চিম দিকে মোড় নিয়ে কলেজে ঢুকেছে সেই মোড় থেকে আধাকিলোমিটার বাইপাস করে দিলেই সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। এতে কলেজের পরিবেশ যেমন রক্ষা হবে, তেমনি সড়কটিও সোজা হবে। এতে যানবাহন চলাচলে সুবিধা হবে।

কলেজের অধ্যক্ষ হিমাংশু কুমার আচার্য্য বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই সড়কটির কারণে পুরো ক্যাম্পাস এক করা যাচ্ছে না। ফলে পরীক্ষা পরিচালনাসহ অন্যান্য কাজ ও শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে অসুবিধা হচ্ছে।’

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমিমুল এহসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘টাঙ্গাইল-আরিচা সড়কটি প্রসস্তকরণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ প্রস্তাবে মওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজের দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ থেকেই সড়কটি ঢাকা সড়কের আশেকপুরে সংযোগ দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এ প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে কলেজের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।’

প্রস্তাবটি পরিকল্পনা কমিশনে জমা আছে বলেও জানান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;