বদলি হলেই তদবিরে চাঁদপুর ফিরে আসেন তিনি



মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, চাঁদপুর, বার্তা২৪.কম
উপজেলা শিক্ষা অফিস সহকারী মো. কাউসার হোসেন/ছবি: সংগৃহীত

উপজেলা শিক্ষা অফিস সহকারী মো. কাউসার হোসেন/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বদলি হন, আবার ঘুরে ফিরে চলে আসেন চাঁদপুর হাজিগঞ্জ উপজেলায়। এবার বদলি হয়েছেন ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায়। উপজেলা শিক্ষা অফিস সহকারীর মো. কাউসার হোসেন দীর্ঘদিন ধরেই এমন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন।

চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ হলেও প্রমোশন নিয়ে এখন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী। কচুয়া উপজেলায় তার জন্মস্থান। কর্মজীবনের শুরুতে সচিবালয় কর্মরত ছিলেন। তারপর ছুটে আসেন উপজেলা শিক্ষা অফিসে। ২০০৮ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলায় তার আগমন। তারপর থেকে যাওয়া-আসা। যতবারই বদলি হন ঘুরেফিরে সে হাজীগঞ্জে ফিরে আসেন।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, শিক্ষা অফিসের এ সহকারি হাজীগঞ্জ উপজেলায় ২০০৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত হাজীগঞ্জ যাওয়া-আসা করেছেন ৮ বার। লিখিত ও অলিখিত অনিয়মের অভিযোগে বদলি হয়েছেন।

চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ হলেও প্রমোশন নিয়ে এখন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী।

বদলির খবর পাওয়া মাত্র শুরু হয় তার দৌড় ঝাঁপ। দশ বছরে তিনি চাঁদপুরের মতলব উত্তর, চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ও চাঁদপুর পিটিআই অফিসে কর্মরত ছিলেন। প্রতিবারই ওইসব উপজেলা থেকে পুনরায় হাজিগঞ্জ উপজেলায় আসেন এই কর্মকর্তা।

কী মধু এই হাজিগঞ্জ উপজেলায়? রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে জানা গেল হাজীগঞ্জ পৌরএলাকার আলীগঞ্জে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা দিয়ে খরিদ করেছেন ৬ কাঠা সম্পত্তি। শ্বশুরালয় মতলব দক্ষিণ উপজেলায় কথিত আছে ৪৫ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। নিজের ও স্ত্রীর নামে রয়েছে ব্যাংক একাউন্ট। গত ১০ বছরে হাজিগঞ্জ উপজেলায় তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগের শুনানি হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, ঘুষ না দেয়ায় নাজমুন নাহার নামের এক সহকারী শিক্ষিকার ইনক্রিমেন্ট কর্তন করেছেন। শিক্ষকদের সাথে অশোভনীয় আচরণ, শিক্ষা অফিসে বসে প্রকাশ্যে ধূমপান, নানান অজুহাত দিয়ে শিক্ষকদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেছেন, কাউসার হোসেন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও সচিবালয় থেকে শিক্ষা অফিসের ফাঁকফোকর জেনেশুনে তৃতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। বর্তমান সরকার বেতন স্কেল বৃদ্ধি করলেও এই কাওসার হোসেন প্রায় ৫/৬ বছর আগে সম্পত্তি ক্রয় করেন।

সম্প্রতি কাউসার হোসেন আবারও বদলির আদেশ পেয়েছেন। আদেশের পর থেকে আবারও দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বদলির আদেশ স্থগিত রাখার। এই কর্মকর্তা চাঁদপুর জেলার যে কোনো উপজেলায় থাকতে চেষ্টা করছেন।

তার স্ত্রীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমার নামে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। আমার স্বামী কয়েক বছর আগে ৬ শতাংশ সম্পত্তি কিনেছে। মতলবে কোন সম্পত্তি ক্রয় করা হয়নি।’

বদলির বিষয়টি স্বীকার করে কাউসার হোসেন বলেন, ‘চাকরির বয়স ৩১ বছর। আমি কোনো অনিয়ম করেনি। শিক্ষিকার ইনক্রিমেন্টে আমার কোন ভুল ছিল না।’

হাজীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বুলবুল সরকার বলেন, ‘কাউসারের বিষয়ে গত সপ্তাহে বদলির আদেশ এসেছে। এবার তাকে বদলি করা হয়েছে ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলায়।’

জানতে চাইলে হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘বদলি হয়েছে শুনেছি। কিন্তু তিনি যেতে চান না। এবারও তিনি হাজীগঞ্জ উপজেলায় সম্পত্তি কিনেছেন। শিক্ষকরা ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারেন না।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;