দোকানদার-ব্যাংক কর্মকর্তার নাম জেলে তালিকায়!



ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম
বরগুনায় জেলে পাড়া। ছবি: বার্তা২৪.কম

বরগুনায় জেলে পাড়া। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনায় জেলে তালিকায় ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জেলেদের অভিযোগ, তাদের নাম না রেখে অন্য শ্রেণি-পেশার লোকজনদের জেলে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাই জেলেদের জন্য আসা বিভিন্ন সময়ের সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রকৃত জেলেরা।

ট্রলার মালিক সমিতির দেয়া তথ্য মতে, সাগর উপকূলীয় জেলা বরগুনায় জেলে সংখ্যা প্রায় ৭০ হাজার। তবে সরকারি নিবন্ধিত জেলে ৪৫ হাজার ৬২১ জন। জাটকা ইলিশ সংরক্ষণের চলতি আট মাসের অবরোধে ১৩ হাজার ৭৫০ জন জেলের জন্য সহায়তা এসেছে।

জেলেদের অভিযোগ, এই তালিকায়ও রয়েছে ব্যাপক গরমিল। তালিকায় নিবন্ধিত করা হয়েছে খুব কম সংখ্যক জেলে। তালিকার বেশিরভাগ নামই অন্য শ্রেণি-পেশার মানুষের। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা তাদের নিজেদের পছন্দ মতো করেছে জেলে তালিকা।

বরগুনা সদর উপজেলার ৭নং ঢলুয়া ইউনিয়নের জেলে সোবাহান, নাসির, কবির, খোকন, জুয়েলসহ একাধিক জেলে বার্তা২৪.কমকে জানান, ইউপি সদস্যরা তাদের নাম তালিকায় রাখেনি। তাই জেলেদের জন্য আসা কোনো ধরনের সহায়তা পাচ্ছে না তারা। এ বিষয়ে ৭নং ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল টিটুর কাছে বার বার বললেও সহায়তা পায়নি তারা।

পাথরঘাটার জেলেরা বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৩০-৪০ বছর ধরে মাছ ধরছে তারা। অথচ তারা সহায়তা পায় না। সহায়তা পায় মেম্বারদের স্বজনরা। সহায়তা পায় মুদি দোকানদার, ব্যাংক কর্মকর্তা, রিকশা চালকসহ অন্যান্য শ্রেণি-পেশার মানুষ।

তালতলীর বেশ কয়েকজন জেলে বার্তা২৪.কমকে জানান, তাদের জন্য আসা সহায়তা আনতে ইউনিয়ন পরিষদে গেলে ইউপি চেয়ারম্যানরা তা দেয় না। বিষয়টি মৎস্য অফিসে জানালেও কোনো লাভ হয়নি।

তালতলী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শামীম রেজা বার্তা২৪.কমকে জানান, ২০১২ সালে জেলে তালিকা তৈরি করেছে নৌবাহিনী। দ্বিতীয়বার এ তালিকা তৈরি করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তাই গরমিল হয়েছে তালিকায়। এখানে মৎস্য অফিসের কোনো ভুল নেই। সরকার যাদের দায়িত্ব দিয়েছে তারাই ভুল করেছে। দায়ভার তারাই নেবে।

এ বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সরদার মহীউদ্দিন বার্তা২৪.কমকে জানান, এখন তালিকা হালনাগাদ না করা পর্যন্ত এ সমস্যার সমাধান হবে না।

তবে তালিকা হালনাগাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে করা হবে বলে বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক কবির মাহমুদ।

তিনি জানান, তালিকায় স্বচ্ছতার জন্য জেলে প্রতিনিধি সঙ্গে রেখে নতুন করে তা তৈরি করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;