রাঙামাটিতে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা!



আলমগীর মানিক, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, রাঙামাটি, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরও পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা! এতদিন মাদকের খুচরা বাজার কথিত কয়েকজন ‘বড় ভাই’ নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে কিশোররা। পুলিশের তৎপরতায় কারবারীরা রাজপথ ছেড়ে নদী পথে ইয়াবা পাচার করছে। নদীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল না থাকায় তারা এ পথ বেছে নিয়েছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নিত্যনতুন ও অভিনব কৌশল অবলম্বন করে ইয়াবা পাচার করছে। ফলে সব অভিযানে মাদক শনাক্ত বা জব্দ করা কঠিন। মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে নিয়ে আসা হয় এসব ইয়াবা।

তবে সম্প্রতি জেলার আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ ও পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর জানিয়েছেন, ইয়াবা কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাঙামাটিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কার্যালয় থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে। এ জন্য জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হবে।’

জেলার বিভিন্ন সংস্থা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইয়াবা কারবারীদের সমর্থন করছেন কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। এতোদিন মাদকের খুচরা বাজার কথিত কয়েকজন ‘বড় ভাই’ নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ করছে কিশোররা। এসব কিশোরদের কোনো রাজনৈতিক আদর্শ না থাকলেও তারা রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় ব্যবসা করছে। যারা শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বনরূপা ও ভেদভেদী এলাকার বাসিন্দা।

একটি বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শুধু রাঙামাটিতে অন্তত দুই হাজার মানুষ নিয়মিত ইয়াবা সেবন করেন। আর অন্তত ৮৫ জন কারবারী খুচরা পর্যায়ে প্রত্যক্ষভাবে ইয়াবা ব্যবসা পরিচালনা করছে।

স্থানীয়দের তথ্য মতে, রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী, ডেকোরেশন ব্যবসায়ী, সিএনজি মালিক-চালক, ফলের দোকানদার, তেল ব্যবসায়ী ও ট্রাক ড্রাইভার থেকে শুরু করে কসাই ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত।

জানা গেছে, পুলিশের তৎপরতায় কারবারীরা রাজপথ ছেড়ে নদী পথে ইয়াবা পাচার করছে। নদীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত টহল না থাকায় তারা এ পথ বেছে নিয়েছে। বিশেষ করে কাপ্তাই হ্রদকেই বর্তমানে ইয়াবা বিক্রির অন্যতম হাট বানিয়েছে কারবারীরা। তারা আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বোট বানিয়ে ইয়াবার ব্যবসা করছেন।

রাঙামাটি কোতয়ালী থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা অনেক সময় রাজনৈতিক তদবিরে অসহায়বোধ করি। কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতার তদবিরে অতিষ্ঠ আমরা। আমাদের সদিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অফিসাররা মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে পারছে না।’

তবে কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গত দেড় মাসে কোতয়ালী থানায় ২৩টি মামলায় ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য মতে, রাঙামাটিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকজন সদস্যই ইয়াবা সেবন করেন। এমনকি তারা ইয়াবা চোরাচালানে সহায়তাও করেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;