আশুলিয়ায় পানিবন্দী হাজারো পোশাক শ্রমিক



মাহিদুল মাহিদ,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, আশুলিয়া (ঢাকা), বার্তা২৪.কম
বাসার সামনেই নোংরা পানি, ছবি: বার্তা২৪

বাসার সামনেই নোংরা পানি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যেখানে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার সিংহভাগ শ্রমিকের বাস, সেই এলাকা ভাদাইলের শ্রমিকরা দিনাতিপাত করছেন চরম দুর্ভোগে। পানিবন্দী হয়ে আছেন প্রায় এক মাস ধরে। বয়স্ক, শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ নানা পানিবাহিত রোগে। আর বর্তমানে পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন হাজারও পোশাক শ্রমিক।

প্রায় তিনশ পরিবারের কষ্ট দেখার যেন নেই কেউ। পানি নিষ্কাষণের যতটুকু ব্যবস্থা ছিল তা বন্ধ করে দিয়েছে ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষ। তিনশটি পরিবারের শিশুসহ প্রায় দুই হাজারেরও বেশি শ্রমিকের বাস এই শ্রমিক কলোনিতে। এমন অবস্থায় অনেক শ্রমিক ভাড়া বাসা ছেড়ে বেশি ভাড়ায় উঠেছেন অন্যত্র। কম বেতন পাওয়া শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে সেখানেই থাকছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554688769482.jpg

রোবরার (৭ এপ্রিল) সরেজমিনে এলাকাটিতে ঘুরে দেখা যায়, সাভারের ডিইপিজেডের ভাদাইল এলাকার শ্রমিক কলোনিতে পানি নিস্কাষনের ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে বাড়ির উঠান ও ঘরের ভেতরে ময়লাপানি জমে বসবাসের অযোগ্য অবস্থা। ঘরবাড়ি ও রান্নাঘরে ময়লা পানি উঠায় কিছু কিছু পরিবারের রান্না বন্ধ হয়ে গেছে। বাচ্চাদের দোকান থেকে খাবার কিনে খাওয়াতে হচ্ছে। কখনো ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি সেচ দিয়ে শুকিয়ে নিয়ে তারপর রান্না করছেন শ্রমিকরা।

জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে বেশি ভুগতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554688791525.jpg

ওই এলাকার বাড়ির মালিক মোঃ হারুন মিয়া জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে ডিইপিজেডের ড্রেইন দিয়ে পানি নিস্কাষন হচ্ছিল কিন্তু কিছু না জানিয়ে হঠাৎ বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় এক মাস ধরে তারা পানিবন্দি হয়ে আছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি।’

বাড়ির ভাড়াটিয়া রহিমা বলেন, ‘সারাদিন উঠানের পানি বালতি দিয়ে সেচ দিতে হয়। ছোট বাচ্চারা শুধু বমি করতাছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা অসুস্থ হইয়া মইরা যামু।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/08/1554688810950.jpg

এখানে বসবাস করা গৃহবধু খাদিজা বলেন, ‘ময়লাবদ্ধ পানিতে জন্ম নেওয়া মশার বিস্তার এতো বেশি যে ঘরে বা বাহিরে বসে থাকাও যায় না। এডিস ও ডেঙ্গু মশা আতঙ্কে আছি আমরা। স্থানীয় সরকার অথবা জনপ্রতিনিধিরা ব্যবস্থা না নিলে আমাদের ধুঁকে ধুঁকে মরতে হবে।’

ডিইপিজেডের পোশাক কারখানায় কর্মরত এক শ্রমিক রবিউল বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমি এই বাসায় ৫ বছর ধরে ভাড়া থাকি। আগে কোন সমস্যা ছিল না আমাদের, তবে গত এক মাস ধরে আমরা খুব ভোগান্তিতে আছি। এখানকার পানি ডিইপিজেডের ড্রেনে নামতো কিন্ত তা তারা বন্ধ করেছে। তিনি বলেন, আমরা তো ডিইপিজেডে চাকরি করি। আমরা যদি সুস্থভাবে না থাকতে পারি তাহলে আমরা চাকরি করব কিভাবে। আমরা এ সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান চাই।’

এ ব্যাপারে আশুলিয়ার স্বনির্ভর ধামসোনা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাইফুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট চেষ্টা চলছে। এরইমধ্যে ডিইপিজেড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেব।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;