গোপালগঞ্জে স্কুলঘর ভেঙে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গোপালগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুজ্জামানের নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলের  ভেঙে ফেলা ঘর, ছবি: বার্তা২৪

কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুজ্জামানের নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলের ভেঙে ফেলা ঘর, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুজ্জামানের নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলের একটি ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছেন স্থানীয় পিঞ্জুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদার ও তার লোকজন। এতে ওই অনিশ্চয়তায় পড়েছেন ওই স্কুলের সাড়ে তিন’শ শিক্ষার্থী। বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে তাদের পড়াশোনা।

শনিবার (৬এপ্রিল) স্কুল চলাকালীন কোটালীপাড়া উপজেলার পিঞ্জুরী ইউনিয়নের কাকডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা সাদেকুজ্জামানের ছেলে কামরুজ্জামান বলেন, ২০০৫ সালে আমি কাকডাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে সরকারি জায়গায় আমার বাবার নামে একটি স্কুল স্থাপন করি। প্লে-গ্রুপ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলটিতে পাঠদান করানো হয়। বর্তমানে স্কুলটিতে সাড়ে তিন শত ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।

শনিবার হঠাৎ করে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদার তার লোকজন দিয়ে স্কুল থেকে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বের করে দেন। পরে স্কুল ঘরটি ভেঙে ফেলেন।

স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী হুমায়রা খানম, সোহাদা খানম, সোয়ামনি বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রথম সাময়িক পরীক্ষা চলছে। এসময় হঠাৎ করে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন স্কুলে এসে  আমাদের স্কুলটি ভেঙে দেয়। আমরা এখন কিভাবে লেখাপড়া করবো?

 

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/06/1554557588685.gif

পিঞ্জুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাইদ সিকদার স্কুল ঘরটি ভাঙার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, জায়গাটি পিঞ্জুরী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। যে জায়গাটির ওপর স্কুলটি রয়েছে সেখানে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক কাজ হবে। বছরের শুরু থেকে কামরুজ্জামানকে ঘরটি সরিয়ে নিতে বলা হচ্ছিল। কিন্তু, তিনি তা সরিয়ে নেয়নি। আগামী জুনের মধ্যে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উন্নয়নমূলক কাজ না করলে বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত চলে যাবে। উপজেলা পরিষদের সমন্বয় সভা থেকে স্কুলটি সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে, তাই আমি সরিয়ে ফেলেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, শিক্ষা গ্রহণ করাটা ছাত্র-ছাত্রীদের মৌলিক অধিকার। স্কুল ভাঙার বিষয়টি আমি জেনেছি। চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে এ বিষয়ে আমার কথা হয়েছে। সেখানে স্কুল কর্তৃপক্ষ অবৈধভাবে ঘর তুলেছিলেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে স্কুলঘর ভাঙার বিষয়টি আইন সম্মত নয়। এ বিষয়ে অভিযোগ এলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;