মহাসড়কের উপর পাথর, ঘটছে দুর্ঘটনা



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪.কম
মহাসড়কের উপর পাথর, ঘটছে দুর্ঘটনা। ছবি: বার্তা২৪.কম

মহাসড়কের উপর পাথর, ঘটছে দুর্ঘটনা। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য সব সময় চালকদের দায়ী করা হয়। কিন্তু এর জন্য অনেক সময় সাধারণ মানুষ অথবা তৃতীয় পক্ষও দায়ী থাকে। সড়ক মহাসড়কের স্থানে স্থানে মাটি, বালু ও পাথরসহ বিভিন্ন জিনিস রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে ব্যবসায়ীসহ প্রভাবশালীরা। এতে প্রায়ই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে এভাবেই মাটি, বালু ও পাথর রেখে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে দেখা যায়। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা এই অপকর্ম করে থাকেন। অথচ তাদের এই খামখেয়ালিপনার কারণে প্রাণ দিতে হয় সাধারণ মানুষকে।

জানা গেছে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রায় ৮০ কিলোমিটার পড়েছে হবিগঞ্জ অংশে। এর মধ্যে অন্তত ১৫-২০টি স্থানে মাটি, বালু, পাথর অথবা বিভিন্ন জিনিসপত্র রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। বিশেষ করে বালু ও পাথর রেখে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হবিগঞ্জে মাধবপুর বাজারে মহাসড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে পাথর রেখে ব্যবসা করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। প্রতিদিন সেখানে তারা ট্রাক দিয়ে পাথর লোড-আনলোড করে আসছে। একালাবাসী প্রতিবাদ করে এর কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না। অসাধু পাথর ব্যবসায়ীরা এক সময় মহাসড়কের পাশে পাথর রেখে ব্যবসা করলেও এখন তারা সড়কের অনেক অংশ দখল করে নিয়েছে। ফলে প্রায় সময়ই ওই স্থানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

এ ব্যাপারে মাধবপুর বাজারের ব্যবসায়ী মো. এরশাদ আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরে মহাসড়কের উপর পাথর রেখে ব্যবসা করে আসছে একটি অসাধু চক্র। ফলে এখানে প্রায় সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বাজারের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বার বার প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি।

তিনি জানান, শুধু ব্যবসায়ীরা নয়, পৌরসভার কন্টাকটারেরাও মহাসড়কের উপর পাথর রেখে কাজ করাচ্ছেন। এছাড়া কয়েকজন মার্কেট মালিকও এমনটাই করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য এক ব্যবসায়ী জানান, প্রশাসনের লোকজনও কোনো ব্যবস্থা নেয় না। বিভিন্নভাবে প্রশাসনের লোকজনকে ম্যানেজ করে নিয়েছে পাথর ব্যবসায়ীরা।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, মাধবপুর পৌরসভার অধীনে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কাজ চলছে। ওই কাজের জন্য আনা পাথরও রাখা হয়েছে মহাসড়কের উপরে। সেখান থেকে লোড-আনলোড করে বিভিন্ন স্থানে নেয়া হচ্ছে। পৌরসভার লোকজনের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভুক্তভোগীরা।

এ ব্যাপারে পৌরসভার ওয়াটার প্ল্যান্ট কাজে নিয়োজিত ‘এ.বি ওয়াটার কোম্পানি’র ইঞ্জিনিয়ার ফজলে রাব্বি বলেন, ‘আমরা এখানে কোনো পাথর রাখি না। আমাদের কাজের জন্য আনা পাথর মহাসড়কের পাশে আনলোড করে সঙ্গে সঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়।’

এতে কী মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হচ্ছে, কিন্তু অন্য কোথাও জায়গা না থাকায় আমরা এ কাজ করছি। আর করব না।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মল্লিকা দে বলেন, ‘আজ (২৩ মার্চ) বিকেলে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পাথরগুলো জব্দ করে এসেছি। সেখানে কাউকে না পাওয়ার কারণে জরিমানা করতে পারিনি। তবে আর যেন কেউ মহাসড়কের উপর পাথর না রাখতে পারে সে জন্য প্রশাসনের নজরদারি থাকবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;