সামাজিক মর্যাদা বাড়লেও বাড়েনি দলিতদের জীবনযাত্রার মান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঝিনাইদহ
মানবেতর জীবন-যাপন করছে ঝিনাইদহের দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ

মানবেতর জীবন-যাপন করছে ঝিনাইদহের দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ

  • Font increase
  • Font Decrease

সমাজে মর্যাদা বাড়লেও বাড়েনি ঝিনাইদহের দলিত সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান। আবাসন, পয়:নিষ্কাশন, পানিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত এ সম্প্রদায়ের মানুষগুলো।

ঝিনাইদহ শহরের চাকলাপাড়ায় রয়েছে একটি সুইপার কলোনি। হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের বসতি এখানে। স্বাধীনতার পরই বসবাসের জন্য আবাসন প্রকল্পের আওতায় ঘর নির্মাণ করা হয়। লোক বেড়েছে, বাড়েনি বসবাসের স্থান। শহর পরিষ্কার যাদের পেশা তারা থাকেন গাদাগাদি করে অপরিচ্ছন্ন, জরাজীর্ণ ঘরে। বর্তমানে ৩৬ টি ঘরে পরিবার পরিজনদের নিয়ে ঠাসাঠাসি করে দেড় শতাধিক মানুষের বসবাস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/21/1553166569254.jpg

আবসনের বাসিন্দা খোকন সাহা বলেন, এতগুলো পরিবারের জন্য বিশুদ্ধ পানির জন্য রয়েছে দুইটি টিউবওয়েল আর দুইটি ওয়াসার পানি। বাথরুম রয়েছে ১০টি। যা প্রয়োজনের খুবই কম। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় সেগুলোও ভেঙে পড়েছে। বসবাসের ঘর ও রান্না ঘরের ছাউনি ছিদ্র হয়ে বর্ষার সময় পানি পড়ে। ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিষয়টি দিকে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

আবাসনের সরদার চিত্তরঞ্জন সাহা বলেন, নিজেদের নিম্ন শ্রেণি মনে করে  আগে আমরা লোকজনের সাথে কথা বলতে পারতাম না। এখন আমরা একই সাথে কথা এবং চলাফেরা করতে পারি। আমাদের ছেলে মেয়ে স্কুলে পড়তে পারে। সামাজিক পরিবর্তন আসলেও অর্থের অভাবে কষ্ট করে চলতে হয়। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় থাকা দলিত সম্প্রদায়ের একই দশা। মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/21/1553166598871.jpg

সমাজের সচেতন মহল মনে করেন বহুমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।

ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র আলহাজ সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ঝিনাইদহ পৌরসভার পক্ষ থেকে আবাসনের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। যদিও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আমাদের পরিকল্পনা আছে জুনের মধ্যেই পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে কলোনিতে স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তাদের পানি, বিদ্যুৎসহ সকল সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

পৌরসভার বাইরে অনেক দলিত সম্প্রদায়ের মানুষ আছে যারা বেশি অবহেলিত। সরকারের জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের আবাসস্থল গড়ে তোলার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, একার পক্ষে দলিত এ সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা সম্ভব না। প্রয়োজন সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;