একতারাতেই স্বাবলম্বী!



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
তৈরি করা হচ্ছে একতারা, ছবি: বার্তা২৪.কম

তৈরি করা হচ্ছে একতারা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাউল গানের অন্যতম অনুষঙ্গ একতারা। এই একতারাকে কেন্দ্র করেই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়ির আশপাশে গড়ে উঠেছে বেশকিছু কারখানা।

উৎপাদিত এসব একতারা রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়। একতারা তৈরি করে এই এলাকার অন্তত দুই শতাধিক পরিবার জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। এই কুটির শিল্পের মাধ্যমে জীবিকা উপার্জন করে আর্থিক সচ্ছলতা ফিরেছে বহু পরিবারেই।

বাউল সম্রাট ফকির লালনের দোল উৎসব উপলক্ষে আগামী ২০ মার্চ থেকে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লালন উৎসবের। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে লাখো ভক্ত-সাধুদের পদচারণায় মুখর হবে গোটা লালন মাজার ও মাজার সংলগ্ন কয়েক কিলোমিটার এলাকা।

এ উপলক্ষে একতারা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার কারিগররা।

একতারা তৈরির মূল উপাদান বাঁশ, কাঠ আর চামড়া। তবে লাউয়ের খোল ও নারিকেলের মালাই দিয়েও তৈরি হয় একতারা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/19/1552948783390.jpg

মুলি বাঁশ মূলত পাশের জেলা ঝিনাইদহ ও যশোর থেকে সংগ্রহ করা হয়। লাউয়ের খোল স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে এবং চামড়া কেনা হয় নাটোর থেকে। উপজেলার ছেঁউড়িয়া, বিশ্বাসপাড়া, জয়নাবাদ এলাকার শত শত নারী-পুরুষ এই কাজ করে হয়ে উঠেছেন আত্মনির্ভরশীল।

ছেউড়িয়ার আখড়াবাড়ির আশপাশে প্রায় বাড়িতেই গড়ে উঠেছে একতারা কারখানা। এসব কারখানায় প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতুড়ি, বাটাল, কাঁচি দিয়ে কাজ করেন একতারা কারিগররা। এক একটি কারখানায় প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০টি একতারা তৈরি হয়। প্রতিটি একতারার দাম ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। তবে অর্ডারে তৈরি করলে দাম হাজার ছাড়িয়ে যায়।

একতারা তৈরি করে স্বাবলম্বী ছেঁউড়িয়ার একতারা বাজারের রবিউল ইসলাম জানান, এক যুগ আগে ছেঁউড়িয়ায় গড়ে তোলেন ‘একতারা বাড়ি’ নামে একটি কারখানা।

মাত্র দুই হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে বাড়িতেই একতারা তৈরি শুরু করেন। সময়ের সঙ্গে ব্যবসার প্রসার ঘটতে থাকলে তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার ‘একতারা বাজার'’ কারখানায় এখন প্রায় ২০ জন কর্মচারী কাজ করেন। তাদের হাতের নিপুণ দক্ষতায় তৈরি হচ্ছে ছোট-বড় নানা আকৃতি ও ডিজাইনের একতারা।

একতারা বাড়ির মালিক আমিরুল ইসলাম বাদশা জানান, একতারা তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হয় তরলা বাঁশ, লাউয়ের খোল, মেহগনি কাঠের তৈরি ছোট-বড় সাইজের খোল, নারিকেলের মালাই, ছাগলের চামড়া, স্টিলপাত ও সুরের তার। এ ছাড়া প্রয়োজন হয় স্ক্রু, ওয়াসার, বোতাম ও রং।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/19/1552948811976.jpg

একতারা বাজারের কারখানায় কর্মরত আবুল হাসান বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি এই কারখানায় প্রায় এক বছর ধরে কাজ করছি। এখানে কাজ করে লেখাপড়ার খরচ চালানোর পাশাপাশি সংসারে সহযোগিতা করতে পারি’।

একই কারখানায় কর্মরত আইয়ুব হোসেন জানান, পুরো বছর জুড়েই একতারার ব্যবসা ভালো চলে। তবে লালনের দুই উৎসবকে কেন্দ্র করে কাজের পরিধি ও বিক্রি উভয়ই বেড়ে যায়

ছেঁউড়িয়ায় লালন একাডেমি মার্কেটের দোকানি শরীফ কুঠির শিল্প ও দোতরা ঘরের মালিক জানান, দেশের বিভিন্ন পর্যটন নগরে এসব একতারা ও লালনের কাঠের খোদাই করা প্রতিচ্ছবি বিক্রি করা হয়, যা ঢাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারি হারে কিনে নিয়ে যান।

ছেঁউড়িয়ার চরকা নামের একতারা কারখানার মালিক বলেন, ‘এখন শ্রমিকদের মজুরি ছাড়াও সব জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় একতারা বিক্রি করে লাভ কম হচ্ছে। তবে সরকার সহজ শর্তে ঋণ দিলে আমরা আরও বেশি উপকৃত হতে পারতাম’।

লালন ভক্ত ফকির টুনটুন বাউল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘লালনের গান আর একতারার টুংটাং সুরে ভক্ত-অনুসারীরা খুঁজে পান অমৃতের সন্ধান। ভক্তদের তৃষ্ণা মেটাতে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আশপাশে কারিগররা একতারা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এতে করে একদিকে যেমন দেশীয় ঐতিহ্য রক্ষা পাচ্ছে, অন্যদিকে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন’। 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;