গরিবের স্বপ্ন অতো সহজে পূরণ হয় না



রাকিবুল ইসলাম রাকিব, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ), বার্তা২৪.কম
তোতা মিয়া । ছবি: বার্তা২৪.কম

তোতা মিয়া । ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘মাইনষ্যের কত কিছু করার স্বপ্ন থাকে। ব্যবসা-বাণিজ্য, গাড়ি-বাড়ি, টেকা-পয়সা বাড়ানো আরও কত কি। তয় আমার স্বপ আছিন বাড়িতে একটা টিনের ঘর করার। কিন্তু চা, পান, সিগারেট বেইচ্যা যে টেকা কামাই করি সবডা সংসারের পিছে লাইগ্যা পড়ে। ঘর করার টেকা আর জমাইতে পারি না। কয়েক বৎস্যর আগে চেয়ারম্যান-মেম্বারের কাছে সরকারি একটা ঘর চাইছিলাম। কইছে কইর‌্যা দেবে। কিন্তু পরে আর দেয় নাই। বুজলেন মিয়া ভাই, গরিবের স্বপ্ন অতো সহজে পূরণ হয় না। তয় অহন চেষ্টায় আছি গেরামে একটা চায়ের দোকান দিবার। কেরে জানি হেইডার টেকাও জমাইতে পারতাছি না।’

বার্তা২৪.কমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথাগুলো বলছিলেন ভ্রাম্যমাণ হকার তোতা মিয়া (৫৫)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের রামগোপালপুর ইউনিয়নের নওয়াগাও গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মল্লিক মিয়ার ছেলে। জীবিকার তাগিদে শহরের অলি-গলিতে ঘুরে ঘুরে চা, পান ও সিগারেট বিক্রি করেন তিনি।

গতকাল শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেলে তোতা মিয়ার দেখা মিলে গৌরীপুর শহরের হাতেম আলী সড়কে। তার এক হাতে ২টি চায়ের ফ্লাক্স ও বালতি, অন্য হাতে ঝুলানো চায়ের কাপ ও পান-সিগারেটের ব্যাগ। ‘এই চা গরম, চা গরম’ পান-সিগারেটও সঙ্গে আছে’ এভাবে কথাগুলো বলে ছুটে চলেছেন সড়কের পথ ধরে। কেউ ডাক দিলে থামছেন তিনি। চা কিংবা পান, সিগারেট বিক্রি শেষে আবারো হেঁটে চলেছেন সড়কের পথ ধরে।

দূর থেকে হাতের ইশারায় ডাক দিতেই থেমে গেলেন তোতা মিয়া। কাছে এসে জিজ্ঞাস করেন কী চা দিমু? দুধ চা নাকি লাল চা? লাল বলতেই দ্রুত চা নিয়ে আসেন তিনি। চা খেতে খেতে তোতার সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প হয় এ প্রতিনিধির।

বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, ‘অভাবের কারণে লেহাপড়া করি নাই। ছোড থাকতেই মাইনষ্যের কাজ-কাম কইর‌্যা পেট চালাইছি। অহন বয়স অইছে। শইলে মেলা রোগ-বালাই। আগের মতো খাটা-খাটনি করবার পারি না। তয় ঘরে বইয়্যা থাকলে ভাত-ওষুধ কে দিবো? সেই জন্য এই ব্যবসায় নামছি।’

প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে চা, পান ও সিগারেট বিক্রি করেন তোতা। চা প্রতি কাপ ৫ টাকা, পান প্রতি পিস ৫ টাকা, সিগারেট রয়েছে বিভিন্ন দামের। দিন শেষে বিকিকিনি করে তার লাভ হয় ২শ থেকে ২২০ টাকার মতো। তবে এই সামান্য টাকায় তার সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়।

সহায়-সম্বলহীন তোতা মিয়ার নিজ ভিটেতে জরাজীর্ণ একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। পারিবারিক জীবনে স্ত্রী, এক ছেলে, ছেলের বউ ও দুই নাতি রয়েছে। কিন্তু একমাত্র ছেলে প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারে না। তবে ছেলের বউ একটি ফ্যাক্টরিতে সামান্য বেতনে কাজ করে সংসারের হাল ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।

তোতা মিয়ার সঙ্গে গল্প করতে করতে সন্ধ্যা গড়ায়। মসজিদে বেজে ওঠে আজানের ধ্বনি। এমন সময় মিলন মিয়া নামে এক পথচারী তোতার সামনে এসে এক চা দিতে বলেন। চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে মিলন বলেন, ‘মুরব্বি আপনি এই বয়সে ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করেন কেন? আপনার সন্তানরা কী ভাত-কাপড় দেয় না? কথার রেশ টেনে তোতা বলেন, ‘সন্তান তো প্রতিবন্ধী। হে আর কী ভাত-কাপড় দিবো। তাই পেটের দায়ে ঘুরি গো বাজান। তয় গেরামে একটা ছোড দোকান দিতে পারলে আমার শইলডা জিরান পাইতো। কিন্তু টেকার অভাবে পারি না।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;