বিএসএফ'র কড়া তল্লাশি, ব্যাহত হচ্ছে আমদানি-রফতানি

পেট্রাপোল বন্দর



আজিজুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বেনাপোল, বার্তা২৪.কম
এই পেট্রাপোল বন্দর দিয়েই ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশি পণ্য, ছবি: বার্তা২৪

এই পেট্রাপোল বন্দর দিয়েই ভারতে প্রবেশ করে বাংলাদেশি পণ্য, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে কড়া নিরাপত্তায় বিএসএফ। এতে এখানকার বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে ভারতের সীমান্তরক্ষীরা। ফলে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য আমদানি ও রফতানি কার্যক্রম।

অভিযোগ আছে, ভাষা বুঝতে না পারায় বিএসএফ সদস্যদের হয়রানিতে অতিষ্ঠ বাংলাদেশি পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক শ্রমিকরা। বলতে গেলে বিএসএফের কাছে এক প্রকার জিম্মি হয়ে আছে তারা। সংশ্লিষ্ট কাস্টমস/বন্দরসহ বিভিন্ন সংস্থা বিএসএফের হস্তক্ষেপ প্রত্যাহারের আহ্বান জানালেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলতে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। আর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জঙ্গি প্রবেশ রোধে বিএসএফ এ তৎপরতা শুরু করেছে। তবে আলোচনার মাধ্যমে এ ধরনের সংকট নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, স্থলপথে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৭২ সালে। এক সময় এ বন্দর দিয়ে শুধু ভারতীয় পণ্য আমদানি করা হতো। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বেড়েছে এ বন্দর দিয়ে। এখন প্রতিদিন প্রায় ৩০০-৪০০ ট্রাকে ভারত থেকে ও প্রায় দেড়শ থেকে দুইশ ট্রাকে করে বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি-রফতানি করা হয়।

আরও জানা গেছে, আগে পেট্রাপোল বন্দরের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো বন্দর ও কাস্টমসের নিরাপত্তা কর্মীরা। এতে বাংলাদেশি ট্রাক শ্রমিকরা স্বাচ্ছন্দ্যে পণ্য খালাস ও আসা যাওয়া করতে পারতেন। কিন্তু বর্তমানে বিএসএফ সদস্যরা বন্দরের নিরাপত্তার নামে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করায় শ্রমিকদের ভাষাগত সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে বিএসএফ সদস্যরা চালকদের সাথে খারাপ আচরণ ও মারধর করেন। এতে শ্রমিকদের অসন্তোষের কারণে বাণিজ্য বন্ধ রাখতে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/14/1552572676368.JPG

বুধবার (১৩মার্চ) সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, পেট্রাপোল বন্দরের নিরাপত্তায় বিএসএফের শতাধিক সদস্য নিয়োজিত আছে। আমদানি-রফতানি পরিচালনায় বন্দর ও কাস্টমসের লোকবল থাকলেও তল্লাশি করছেন বিএসএফের সদস্যরা। বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশের আগে ও বের হওয়ার সময় ট্রাক দাঁড় করিয়ে কেবিন, চালকের শরীর চেক করা হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই দীর্ঘসময় তল্লাশি করা হচ্ছে। ফলে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

শার্শা উপজেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহিন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাক ও চালকদের তল্লাশি করা হয় না। কিন্তু প্রেট্রাপোল বন্দরে বাংলাদেশি চালকদের তল্লাশি করে বিএসএফ সদস্যরা। ট্রাক খালি না হওয়া পর্যন্ত তারা আসতে দেয় না। এসব ঘটনায় প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের শ্রমিকদের মারধর করে। ফলে চালকরা পণ্য পরিবহনে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন এবং ব্যবসায়ীদের লোকসানও গুনতে হচ্ছে।'

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বেনাপোল বন্দরে কোনো সমস্যা হলে পেট্রাপোল বন্দরে সেটার প্রভাব পড়ে। তেমনি পেট্রাপোল বন্দরে সমস্যা হলে সেটার পর বেনাপোল বন্দরেও প্রভাব পড়ে।'

রফতানিকারক ব্যবসায়ী ইদ্রিস আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় পণ্য ট্রাক চালকরা যথেষ্ট সুবিধা ভোগ করেন। কিন্তু বাংলাদেশি পণ্য রফতানিতে বিএসএফের হয়রানিতে লোকসান গুনতে হয়। ভারতীয় পণ্যের আমদানি সময়মতো শুরু হলেও রফতানি বাণিজ্য দেরিতে শুরু হয়।'

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বিএসএফের দায়িত্ব বলতে আমরা বুঝি সীমান্ত নিরাপত্তা। বাণিজ্যিক বিষয়ে তাদের হস্তক্ষেপ উদ্দেশ্যমূলক। অহেতুক এই হয়রানির বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে বাংলাদেশ বিজিবি, কাস্টমস, বন্দর ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের শক্তভাবে বসতে হবে।'

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'রফতানি বাণিজ্যে বিএসএফের হয়রানির বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা বলেছি। তারা বলতে চাই বন্দরের নিরাপত্তায় জঙ্গি প্রবেশ রোধে বাণিজ্যে এই হস্তক্ষেপ। তবে এ সংকট নিরসনে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।'

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল শ্রমিকদের হয়রানির অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বন্দরে অপ্রয়োজনীয় অভিযান বন্ধ করতে শিগগিরই ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে।'

কাস্টমস ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১৬ কোটি ২৪ লাখ টাকা এবং ঘাটতি ছিল ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। একই সময়ে ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ ২ হাজার ২৮৪ মেট্রিক টন পণ্য।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;