টাকা দেননি বলে সরকারি ঘর পাননি জাহানারা!



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিজের কুঁড়েঘরের সামনে দাঁড়িয়ে জাহানারা বেগম, ছবি: বার্তা২৪

নিজের কুঁড়েঘরের সামনে দাঁড়িয়ে জাহানারা বেগম, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামের বাসিন্দা জাহানারা বেগম (৯০)। স্বামী-সন্তান হারিয়ে তিনি এক নাতনিকে (ছেলের মেয়ে) নিয়ে একটি কুঁড়েঘরে বসবাস করেন।

সম্প্রতি ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের একটি ঘরের জন্য জাহানারা তার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও জমির খতিয়ানের ছায়াকপি জমা দেন। ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য এসব চেয়ে নেন লক্ষ্মীপুর শহরের ব্রাদার্স ফার্নিচারের স্বত্ত্বাধিকারী জসিম উদ্দিন। এর জন্য ওই বৃদ্ধার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকাও নেন তিনি।

পরবর্তীতে ঘর পাইয়ে দেবে বলে জাহানারা বেগমের কাছ থেকে জসিম আরও ১৫ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু টাকা দিতে না পারায় সরকারি ঘরটি জসিম নিজের বাড়িতে নির্মাণ করে নেন।

এমন অভিযোগ করেছেন জাহানারা বেগম। তবে এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি কালিরচর গ্রামের মফিজ উল্যার ছেলে ব্যবসায়ী জসিম। অন্যদিকে, ঘরটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলে এড়িয়ে যান টুমচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নুরুল আমিন লোলা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/13/1552433635157.jpg

জাহানারা বেগম ভেবেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে বরাদ্দ পাওয়া সরকারি ঘরে জীবনের শেষ সময় টুকু কাটিয়ে দেবেন, কিন্তু তা আর হলো না। টাকা না থাকায় ঘরটি এখন ব্যবসায়ীর দখলে।

এদিকে এমন অনিয়মের ঘটনা শোনার পর তদন্ত করে জাহানারাকে ঘর পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জন চন্দ্র পাল। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

টুমচর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড কালিচর গ্রামের খোকার বাড়ির মৃত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী জাহানারা বেগম। স্বামী হারিয়ে এক ছেলেকে নিয়ে তার সংসার ছিল। কিন্তু প্রায় ৩৫ বছর আগে ছেলেটিও মারা যায়। কিছুদিন পরই একমাত্র মেয়েকে ছেড়ে ছেলের বউ বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর থেকে ভিক্ষাবৃত্তি করে নাতনিকে বড় করে বিয়ে দেন জাহানারা। এখন নাতনি, জামাই ও তাদের সন্তানকে নিয়েই কুঁড়ে ঘরটিতে জীবনযাপন করেন তিনি। যে কোনো সময় ঘরটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/13/1552433620044.jpg

সদর উপজেলা পরিষদ সূত্র জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশেষ উদ্যোগ ‘যার জমি আছে, ঘর নেই’ আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার জন্য ২৯৬টি ঘর বরাদ্দ হয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য এক লাখ করে মোট ২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইতোমধ্যে সকল ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সদর উপজেলায় এ প্রকল্পের তালিকায় ১৩৪ নম্বরে জাহানারা বেগমের নাম রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, টাকার বিনিময়ে স্বচ্ছল মানুষদের ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জসিম কয়েকটি পরিবার থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা করে নিয়ে ঘর পাইয়ে দিয়েছে। দাবি করা টাকা না দিতে পারায় জাহানারাকে ঘরটি দেওয়া হয়নি। পরে সে নিজের বাড়িতে ঘরটি নির্মাণ করে নিয়েছে।

জসিমের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণ করা সরকারি সেমিপাকা ঘরটি তালাবদ্ধ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্মাণের পর থেকে ওই ঘরে কেউ বসবাস করেনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/13/1552433601346.jpg

অসহায় বিধবা জাহানারা বেগম বলেন, নিজের জায়গা জমি নেই। নারিকেল পাতা দিয়ে বেড়া দিয়ে কোনো রকম বসবাস করছি। যে কোনো সময় ঘরটি ভেঙে যেতে পারে। স্থানীয়দের দেওয়া সহযোগিতায় সংসার চলে। সুদের ওপর পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে জসিমকে দিয়েছি। কিন্তু আরও ১৫ হাজার টাকা দিতে না পারায় সে আমাকে ঘরটি দেয়নি। সে ঘরটি তার বাড়িতে স্থাপন করেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জসিমের বাবা মফিজ উল্যাহ বলেন, ঘরটি কার নামে আমার জানা নেই। একজন মহিলা ওই ঘরে থাকেন। তার নাম হোসনেয়ারা। কিন্তু আশ্রয়ণ প্রকল্পের তালিকায় এ ধরনের কোনো নাম নেই।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;