চা চাষ করে স্বাবলম্বী সোমা



নিয়াজ আহমেদ সিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নিজের গড়ে তোলা চা বাগানে শাহানারা বেগম সোমা, ছবি: বার্তা২৪

নিজের গড়ে তোলা চা বাগানে শাহানারা বেগম সোমা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের নারীদের জন্য কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে চা বাগান গড়ে তুলেছেন শাহানারা বেগম সোমা। এ চা বাগান গড়ে তুলে নিজে যেমনটা স্বাবলম্বী হয়েছেন পাশাপাশি শতাধিক মানুষের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করেছেন। যার বেশির ভাগই ওই এলাকার অভাবী ও দুস্থ নারীরা। চা বাগানটি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের পূর্ব বিছনদই গ্রামে। নাম রেখেছেন সোমা টি এস্টেট।

শাহানারা বেগম সোমা জানান, এই চা বাগানের মাধ্যমে নিজের স্বপ্ন পূরণ করেছেন। পাশাপাশি চা বাগানের পাশে একটি চা প্রক্রিয়াজাত করার কারখানাও তৈরি করছেন। চা সরকারিভাবে ওয়ার হাউজের মাধ্যমে চা নিলামে বিক্রয় হচ্ছে। তবে কিছুটা লোকসান হয়েছে বিদ্যুতের লো-ভোল্টেজের কারণে।

সোমা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়ে রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ২০০০ সালে। পড়াশোনা চলাকালেই চাকরি করেন কয়েকটি বেসরকারি সংস্থায়। লেখাপড়া শেষেও চলতে থাকা সেই চাকরির সুবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় যান। ঘুরেছেন দেশ বিদেশে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/08/1552048465944.jpg

তিনি জানান, একবার সিলেটে গিয়ে চা-বাগান দেখে সেটার মায়ায় পড়েন তিনি। এরপর পঞ্চগড়ে বাগান দেখে তার মনে স্বপ্ন জাগে চা-বাগান করার। হঠাৎ ওই গ্রামে ফেরদৌস আলমের সাথে বিয়ে হয় তার। চা চাষ করার কথা স্বামীকে জানান। তিনিও সম্মতি দেন। মাটি পরীক্ষা করার জন্য চা বোর্ডে পাঠালেন। কিছু দিন পরে বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে চা চাষের জন্য গ্রিন সিগনাল দেন।

২০০৭ সালে ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়া থেকে চারা নিয়ে আসেন। তারপর সন্তানের মতো করে যত্ন নেন চা চারাগুলোর। দিন দিন চা গাছগুলো বড় হতে থাকে। এক সময় চায়ের বাগান হিসেবে দৃশ্যমান হয়। সোমা টি এস্টেট এখন ৯ একর জায়গা জুড়ে চা পাতার সবুজের সমাহার।

জানা গেছে, ২০০৭ সালের প্রথম অল্প কিছু জমিতে লালমনিরহাটের প্রথম চা চাষ করেন সোমা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ চা বোর্ডের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে একটি চা প্রক্রিয়াজাত করার কারখানা তৈরি হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ২৫ একর জমিতে চা চাষ করছেন। তার লক্ষ আগামী অর্থ বছরে জেলায় ১০০ হেক্টর জমিতে চা চাষ করবেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/08/1552048483742.jpg

ওই এলাকার শাহিনুর ইসলাম মনা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'প্রথমে যখন চা চাষে শুরু করেছেন সোমা তখন ভেবেছি আমাদের গ্রামের এই মাটিতে কিভাবে চা চাষ হবে? পরে দেখি বিষয়টি পুরো উল্টো। এখন যেভাবে চা চাষ হচ্ছে এভাবে হলে পুরো জেলায় ছড়িয়ে যাবে।'

শাহানারা বেগম সোমা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, '২০০৭ সালে প্রথম চা চাষ শুরু করেছি। বর্তমানে তা জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। শিল্প ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে চা প্রক্রিয়াজাত করার কারখানা করেছি। এখন আমরা চা বাজারজাত করছি।'

বাংলাদেশ চা বোর্ডের সহকারী উন্নয়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বাংলাদেশ চা বোর্ডের মাধ্যমে লালমনিরহাট জেলার সোমা চা বাগানে প্রায় ১০ লাখ চারা উৎপাদন করা হচ্ছে। এই চারা চা চাষিদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;