নেত্রকোনায় এক বছরে নারী নির্যাতনের ১৯০ অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪.কম
ছবি: প্রতীকী

ছবি: প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতি বছর ঘটা করে পালিত হচ্ছে নারী দিবস। সেই ধারবাহিকতায় নেত্রকোনায়ও দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী গ্রহণ করা হয় নানা কর্মসূচি। কিন্তু এত কিছুর পরও প্রতিনিয়ত একইভাবে বেড়ে চলছে নারী নির্যাতন, ধর্ষণসহ নানা ঘটনা।

গত এক বছরে জেলায় দুই শতাধিত ঘটনা ঘটে গেছে। এর বেশিরভাগই ঘটছে পারিবারিকভাবে। বিভিন্ন নারী সংগঠনের জরিপে এসকল তথ্য উঠে এসেছে। অসচেতনতা, শিক্ষার অভাব, যৌতুক, পরকীয়া, বাল্যবিয়ে এবং নারী দ্বারা সৃষ্ট পারিবারিক কলহই এ সকল ঘটনার প্রধান কারণ বলে চিহ্নত করা হয়েছে।

জেলা মহিলা পরিষদের তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০১৯ সালের ফ্রেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৯০টি অভিযোগ এসেছে সংগঠনটিতে। এর মধ্যে আইনগত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৮৫টির। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে ৪৬টির। সুষ্ঠুভাবে সালিশ-সভার মাধ্যমে দাম্পত্য কলহ নিস্পত্তি হয়েছে ৪০টির।

জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির তথ্যমতে, ২০১৮ সালেল জানুয়ারি থেকে ২০১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৭২টি ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে ৪০টির। লিগ্যাল এইডে মামলা পাঠানো হয়েছে ৪৪টির। পারিবারিকভাবে মিমাংসা হয়েছে ২৫টির। বাদী যোগাযোগ করেনি সাতটির। থানায় মামলা ফাইল হয় ২৫টির। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতর এক বছরে দেখিয়েছে মাত্র সাতটি ঘটনা। এর মধ্যে ছয়টিই মীমাংসা করা হয়েছে।

মহিলা পরিষদের সম্পাদক তাহেজা বেগম জানান, একমাত্র পুঁজিবাদী সমাজে অবমূল্যায়ন করার ফলেই নারীদের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে নাানাভাবে। এর সাথে রয়েছে ধর্মীয় গোড়ামি ও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা।

জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক আলপনা বেগম বলেন, ‘আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় এসব ঘটনা ঘটেই চলছে। তার মধ্যে বেকার সমস্যাও একটি কারণ। পারিবারিক সুশিক্ষার অভাব রয়েছে যেমন, তেমনি রয়েছে প্রযুক্তির অপব্যবহার। তার ওপর নারীদের শিক্ষার অভাব। বিচারহীনতাও এর একটি কারণ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মানসিক বোঝাপড়া কম। পড়েছে আকাশ সংস্কৃতির প্রভাব।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুস্থ বিনোদন না থাকাও আরেকটি কারণ। এসব কিছু থেকে নারীকে রক্ষা পেতে হলে নিজেকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পরিবারের মধ্যে শিষ্টাচার চর্চা বাড়াতে হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;