রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে চলছে ক্লাস



ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম
রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে চলছে ক্লাস। ছবি: বার্তা২৪.কম

রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে চলছে ক্লাস। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনায় ঘূর্ণিঝড়ে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন বিধ্বস্ত হওয়ায় বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা বলছে, খোলা আকাশের নিচে কখনো রোদে পুড়ে, আবার কখনো বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাস করছে তারা। অনেক সময় গাছের ডাল পড়েও আহত হচ্ছে।

আর শিক্ষকরা বলছেন, একই স্থানে সবগুলো শ্রেণির ক্লাস নেয়ায় শিক্ষার্থীরা অমনোযোগী হয়ে পড়ছে।

জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঘূর্ণিঝড়ে বরগুনার আমতলীর হলুদিয়া ইউনিয়নের উত্তর পশ্চিম চিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন কক্ষের টিনশেড ঘরটি দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যায় পাশের একটি ডোবায়। এরপর থেকেই খোলা আকাশের নিচে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একই সঙ্গে পাঠদান চালাচ্ছে শিক্ষকরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রখর রোদে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করছে ওই বিদ্যালয়ের ৮৯ জন শিক্ষার্থী।

উম্মে হাবিবা, নুরে জান্নাত, বাবলি আক্তার, নিপু আক্তার নামে পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী বার্তা২৪.কমকে জানায়, খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করার সময় কখনো রোদে ঘেমে ভিজে যাচ্ছে তারা। আবার হঠাৎ মেঘ করেই শুরু হয় বৃষ্টি। বই খাতা নিয়ে তখন চলে যেতে হয় বিদ্যালয়ের পাশের বাড়িতে। ততক্ষণে ভিজে যায় তারা। নষ্ট হয় বই খাতা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/05/1551793329334.jpg

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাকিবুল হাসান ও আসমা বেগম বার্তা২৪.কমকে জানান, বছরের শুরুতে লেখাপড়ার চাপ বেশি থাকে। এই সময়ে পাঠদান বন্ধ রাখলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থীরা। তাই ঝুঁকি নিয়েও পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

তারা আরও জানান, খোলা আকাশের নিচে বিভিন্ন শ্রেণির ৮৯ জন শিক্ষার্থীর পাঠদান চালানোয় তারা অমনোযোগী হয়ে পরছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিয়া সুলতানা বার্তা২৪.কমকে জানান, ২০১৩ সালে বিদ্যালয়ের একমাত্র ওই ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়। এরপর ২০১৫ সালে সেটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর টিনশেড ঘর নির্মাণ করে সেখানে পাঠদান চালাতেন তারা। তবে ভাগ্য সহায় হয়নি তাদের। টিনশেড ঘরটি উড়ে গেছে। তাই শিশুদের নিয়ে এমন পরিবেশে ক্লাশ করতে হচ্ছে।

তবে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন শেষে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, এক সপ্তাহের মধ্যেই একটি টিনশেড ঘড় নির্মাণ করে দেয়া হবে। এছাড়া ওই বিদ্যালয়ের জন্য একটি ভবন বরাদ্দও হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;