মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ শিশু শংকু সমঝদার



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, রংপুর, বার্তা২৪.কম
শহীদ শিশু শংকু সমঝদার, ছবি: সংগৃহীত

শহীদ শিশু শংকু সমঝদার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শংকু সমঝদার। বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শিশু শহীদ। যার সাহস আর আত্মত্যাগ ভুলে যাবার মতো নয়। যুদ্ধ শুরুর আগেই শংকুর রক্তে রক্তাক্ত রংপুর মুক্তির সংগ্রামে কেঁপে উঠেছিল। শিশু শংকুর অকাল মৃত্যু কাঁদিয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তাইতো ৭ই মার্চের ভাষণে শংকুকে ঘিরে বঙ্গবন্ধুর উচ্চারণে ঠাঁই পায় রংপুর।

সাহসী শংকুরের আত্মদানকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে রংপুরকে জায়গা দিলেও স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও ভালো নেই শংকুর পরিবার। স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম শিশু শহীদের পরিবারটির খোঁজ রাখে না কেউ। অভাব অনটনে দিশেহারা শংকুর মা দীপালি সমঝদারের দিন কাটছে মানবেতরভাবে।

১৯৭১ সালের ৩ মার্চ কারফিউ ভেঙে রংপুরেও হরতাল পালিত হয়। সেই অসহযোগ আন্দোলনে বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন শংকু সমঝদার। বাঙালির সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের ঊষালগ্নে উত্তর জনপদের প্রথম শহীদ ১২ বছরের শিশু শংকু সমঝদার। শুধু তাই নয়, দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে প্রথম শিশু শহীদের নামও শংকু সমঝদার।

একাত্তরের ৩ মার্চের সেই উত্তাল দিনের কথা বলছিলেন প্রবীণ সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার গোলাম মোস্তফা বাটুল। তার ভাষ্য মতে, পূর্ব ঘোষিত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন হওয়ায় কথা থাকলেও হঠাৎ করেই কোন কারণ ছাড়া পাকিস্তানী শাসক প্রধান ইয়াহিয়া খান ১ মার্চ তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় ৭০’র নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া আওয়ামী লীগসহ সারা বাংলার মানুষ।

২ মার্চ ঢাকায় এবং ৩ মার্চ সারাদেশে হরতাল ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানি দখলদারদের শোষণ-শাসন এবং ষড়যন্ত্রের খপ্পর থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল রংপুরের মানুষ।

বার্তা২৪.কমকে বাটুল বলেন, ‘৩ মার্চ যুবক, ছাত্র, কৃষক, দিন মজুর, নারী পুরুষসহ সর্বস্তরের জনতা শোষক গোষ্ঠীর কারফিউ ভাঙার জন্য রংপুর শহরের কাচারি বাজারে সমবেত হয়েছিল। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের তেঁতুলতলা (বর্তমান শাপলা চত্বর) এলাকায় আসতেই কলেজ রোড থেকে কারমাইকেল কলেজ ছাত্রদের বিশাল একটি মিছিল এসে যোগ হয় মূল মিছিলের সাথে। কথা ছিল মূল মিছিল তেঁতুলতলা থেকে ফিরে যাবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/03/1551588093602.jpg

কিন্তু কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের চাপে জনস্রোতে ভরে ওঠা মিছিলটি আলমনগর স্টেশনের অবাঙালি বিহারি ক্যাম্পের দিকে এগুতে থাকে। মিছিলটি আলমনগর এলাকার অবাঙালি ব্যবসায়ী সরফরাজ খানের বাসার সামনে (বর্তমান দুদক অফিস) যেতেই মিছিলে থাকা কয়েকজন ঐ বাসার দেয়ালে উর্দুতে লেখা একটি সাইনবোর্ড দেখে তা নামিয়ে ফেলতে উদ্যত হন। মিছিলের সম্মুখভাগে থাকা শংকুও ছুটে যান তাদের সাথে। আর তখনই বাসার ছাদ থেকে মিছিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন ভাইয়ের হাত ধরে মিছিলে আসা স্কুল ছাত্র কিশোর শংকু সমজদার। গুলির বিকট শব্দে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় মিছিল। মাটিয়ে লুটিয়ে পড়া গুলিবিদ্ধ শংকুকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের দিকে। কিন্তু ততোক্ষণে ইতিহাস রচিত হয়ে গেছে। পথেই মারা যান সাহসী শংকু। ওই মিছিলে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল আরেক কিশোর শরিফুল আলম মকবুল। এক মাস পর তাকেও মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়।

এদিকে, শংকুর অকাল মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে ক্ষোভের আগুনে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে পুরো রংপুর। গুলিবিদ্ধ কিশোর শংকুর রক্তাক্ত নিথর দেহ দেখে জনতা উত্তেজিত হয়ে সারা শহরে অবাঙালিদের দোকান ভাঙচুর ও দোকানের সামগ্রী রাস্তায় এনে অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। যে বাড়ি থেকে গুলি ছোড়া হয়েছিল সেই বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা কালে ইপিআর বাহিনী এসে বাঁধা দান করে।

ওই দিনে আবুল কালাম আজাদ ও ওমর আলী আরও দুইজন নিহত হন অবাঙালীদের হাতে।

শংকু সমঝদারের জীবনদানের ওই মিছিলে ছিলেন নজরুল ইসলাম মৃধা। তিনি তখন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। নজরুল মৃধা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘৩ মার্চে শংকু সমঝদারসহ অন্য শহীদদের আত্মদান রংপুরকে মহীয়ান করেছে। পৃথিবীর সেরা ভাষণগুলোর একটি বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ। সেই ভাষণে শংকুর কারণেই রংপুরের নাম। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ইতিহাস ও আন্তর্জাতিক ঐতিহ্যেরও অংশ। শংকু আর রংপুরও সেই ইতিহাসের সাক্ষী’।

দেখতে দেখতে প্রিয় সন্তান শংকু সমঝদারকে ছাড়াই কেটে গেছে বৃদ্ধা মা দীপালি সমঝদারের আট চল্লিশটি বছর। কেউ খোঁজখবর না নিলেও হয়তো এভাবেই কাটবে বাকি দিনগুলো। বর্তমানে রংপুর মহানগরীর জি.এল রায় রোড কামাল কাছনায় সরকারের দেয়া জীর্ণশীর্ণ বাড়িতে বাস করছেন শংকুর মা শতবর্ষী দীপালি সমঝদার। অসুস্থতা আর অনাহারে-অর্ধাহারে তার দিন কাটছে। শহীদ মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় শংকুর নাম গেজেটভুক্ত হলেও ঠিক মতো মিলছে সরকারি ভাতা। বর্তমানে অসুস্থ দীপালি সমঝদার বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/03/1551588118519.jpg

প্রজন্ম ৭১-এর রংপুর জেলা সভাপতি দেবদাস ঘোষ দেবু বলেন, ‘রংপুরের প্রথম শহীদ শংকুর বৃদ্ধা মা তার বড় ছেলের পরিবারের কাছে আছেন। তারা মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন। ছেলের আত্মত্যাগের জন্য কোনও স্বীকৃতি পাননি। এটা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। শংকুর পরিবারকে সহায়তা করার জন্য সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;