বগুড়ায় নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির আরও ২৩ নেতা চিহ্নিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বগুড়া,বার্তা ২৪.কম
জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির বিশেষ সভা

জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির বিশেষ সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির তিন নেতাকে বহিষ্কারের পর আরও ২৩ নেতাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। শনিবার (০২ মার্চ) জেলা বিএনপি কার্যালয়ে দলের বিশেষ সভায় এদের নামের তালিকা তৈরি করা হয়।

জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ সভা শুরু হয় বেলা সাড়ে ১১টায়। সভায় ১২টি উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপি নেতাদের নামের তালিকা উপস্থাপন করেন উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।

সভায় উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান,আদমদীঘি, দুপঁচাচিয়া ও শেরপুর উপজেলায় দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কোন নেতা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন না। এছাড়াও সারিয়াকান্দিতে ৪জন, সোনাতলায় ৩ জন, ধুনটে ২ জন,কাহালুতে ২জন, নন্দীগ্রামে ৩ জন, বগুড়া সদরে ১জন, শিবগঞ্জে ১জন, শাজাহানপুরে ৫ জন এবং গাবতলীতে ২ জন করে মোট ২৩ জন নেতা আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

তৃণমূল নেতারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ‘ইতোমধ্যে বগুড়া জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকসহ তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু অপর যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করায় তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী ওইসব প্রার্থীদের পক্ষে প্রকাশ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘যারা প্রার্থী হয়েছেন এবং তাদেরকে যারা সহযোগিতা করছেন তাদেরকেও দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।’

তৃণমূল নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের পর জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের তালিকা তৈরি করা হলো এই তালিকা ঢাকায় কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না, এই সিদ্ধান্তকে হালকাভাবে নেয়া যাবে না। দল ইতোমধ্যেই নির্বাচনে সহযোগী হিসেবে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলমকে বহিষ্কার করেছে।’

তিনি তৃণমূল নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দল করলে সিদ্ধান্ত মানতে হবে, এর আগে তৃণমূলের চার নেতাকে শোকজ করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে তিনজন সেই চিঠি গ্রহণ করেননি। এটা অসাংগঠনিক আচরণ।’

তিনি বলেন, ‘যারা দলের সাথে বেঈমানি করেছে, বেগম জিয়ার সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করছে তাদেরকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।’

সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন, সহ-সভাপতি আলী আজগর তালুকদার হেনা, যুগ্ম-সম্পাদক এম আর ইসলাম স্বাধীন, জেলা যুবদল সভাপতি সিপার আল বখতিয়ার বক্তব্য রাখেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;