‘ঐ মামু, মুই আজান দিবা গেনু’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঠাকুরগাঁও, বার্তা২৪.কম
মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাদশা / ছবি: বার্তা২৪

মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বাদশা / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নাম বাদশা। বয়স ১০ বছর। একজন মানসিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এরপরও থেমে নেই তার চেষ্টা। হতে চায় মসজিদের ইমাম। আজান দিতে ভাল লাগে তার। প্রতিদিনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আজান দেওয়ার অপেক্ষায় থাকে এই শিশুটি।

শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টায় ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চুনিহাড়ি এলাকায় একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে গেলে দেখা যায় মসজিদের বারান্দায় বসে আছে শিশু বাদশা। এরপর ঠিক সাড়ে ১২টায় পাশের একটি মসজিদের যোহরের আজান শোনা মাত্র স্কুলের পরিচালককে লাফিয়ে বলে ওঠে ,‘ঐ মামু, মুই আজান দিবা গেনু।,

শুদ্ধ করে কথা বলতে না পারা শিশুটির আজান শুনে মনটি যেন মুগ্ধ হয়ে উঠল। শিশু বাদশার বাড়ি আরাজী ঝাড়গাঁও গ্রামে। সে ঐ গ্রামের কালু মোহাম্মদের ছেলে।

নামায শেষে শিশু বাদশার সঙ্গে বার্তা২৪.কমের কথা। এ সময় সে বললো, ‘প্রতিদিন পড়াশুনার পাশাপাশি আযান দেই আমি। এটা আমার ভাল লাগে। আমি মসজিদের ইমাম হতে চাই। আমার কথা বলতে কষ্ট হয়। এরপরও আমাদের এই স্কুলের সকলে আমার অনেক যন্ত নেয়। এখানকার শিক্ষকরা অনেক ভাল।’

স্কুলের তথ্য মতে, চার বছর বয়স থেকেই বাদশাকে তার পরিবার একতা প্রতিবন্ধী স্কুলে এসে ভর্তি করে। এরপর থেকেই স্কুলের শিক্ষকদের চেষ্টায় আস্তে আস্তে পরিবর্তন হতে থাকে তার অবস্থার। বর্তমানে বাদশা সেই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। সে স্কুলের নিজস্ব আবাসিকে থাকে।

বাদশার বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাদশা তো ভাল করে কথা বলতে পারে না। অনেক কষ্ট হয় তার। এরপরও তার কণ্ঠে প্রতিদিন আজান শুনতে ভাল লাগে। কণ্ঠটি শুনে যেন মনটা মুদ্ধ হয়ে ওঠে। তার যদি চিকিৎসার জন্য কোনো একটা ব্যবস্থা করা যায় তাহলে অনেক ভাল হতো।’

বাদশার বাবা কালু মোহাম্মদ বলেন, ‘জন্মের পর থেইে আমাদের বাদশা মানসিক সমস্যায় ভোগে। অনেক চিন্তিত ছিলাম যে কি হবে আমাদের এই আদরের সন্তানের। এরপর অনেকের মুখেই শুনেছি একতা প্রতিবন্ধী স্কুলে নাকি প্রতিবন্ধী শিশুদের পড়াশোনা করানো হয়। অবশেষে বাদশার ৪ বছর বয়সে তাকে সেই স্কুলে ভর্তি করাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেছি বাচ্চটাকে চিকিৎসা করার। যেখানে ভাত খাওয়ারই টাকা নাই, সেখানে চিকিৎসা আর কি করব।’

একতা প্রতিবন্ধী উন্নয়ন স্কুল ও পুনর্বাসন কেন্দের পরিচালক আমিরুল ইসলাম বার্তা২৪কে বলেন, ‘যখন এই বাচ্চাটি আমাদের এখানে আসে তখন তার অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। আমাদের এখানে মোট ৪৫০ জন প্রতিবন্ধী বাচ্চা রয়েছে। আমরা এখানে এই ধরনের বাাচ্চাদের বাংলা-ইংরেজিসহ কোরআন বিষয়ে শিক্ষা দিয়ে থাকি। তাদের পাশাপাশি আমরা এই বাদশার দেখাশোনা পড়াশোনা সব করাচ্ছি বিনা পয়সায়। আমরা চেষ্টা করি সমাজের এই অবহেলিত প্রতিবন্ধী মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। সেই সাথে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব বাচ্চাদের স্বাবলম্বী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;