নাকে টিউমার নিয়ে বিপাকে চা শ্রমিকরা



কাজল সরকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, হবিগঞ্জ, বার্তা২৪
চা শ্রমিকদের অনেকের নাকেই এমন টিউমার, ছবি: বার্তা২৪

চা শ্রমিকদের অনেকের নাকেই এমন টিউমার, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নাকে টিউমার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় অনেক চা শ্রমিক পরিবার। এছাড়া নতুন করে টিউমার হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন চা শ্রমিকের পরিবারগুলোর। কী কারণে নাকের মধ্যে এসব টিউমারের জন্ম হচ্ছে তা যেমন জানেন না তেমনি আর্থিক দুরবস্থার কারণে সঠিক চিকিৎসা করানো সম্ভব হয় না যুগ যুগ ধরে অবহেলিতে এসব চা শ্রমিকদের।

জানা যায়, চুনারুঘাটের চা বাগানে বসবাসরত জনগোষ্ঠী যুগ যুগ ধরে অবহেলিত হয়ে আসছেন। স্বল্প মজুরিতে কাজ করা চা শ্রমিকদের নুন আনতে পান্তা পুরোয়। এর মধ্যে ওই জনগোষ্ঠীর অনেকেরই নাকের মধ্যে একপ্রকার টিউমার দেখা যায়। অথচ কি কারণে তাদের নাকের মধ্যে এ টিউমার হয়ে থাকে এ বিষয়ে কিছুই জানেন না আক্রান্ত পরিবারগুলো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন- চা পাতায় এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা পাতা সংগ্রহের সময় বিভিন্নভাবে গর্ভবতী নারীদের শরীরে প্রবেশ করে। আর এর ফলে ওই নারী যে সন্তান প্রসব করেন তার নাকে এ টিউমার দেখা দিয়ে থাকে।

চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন চা বাগান ঘুরে দেখা যায় শিশু কিশোর থেকে শুরু করে মধ্য বয়স্কদের নাকের মধ্যে এ টিউমার। টিউমার নিয়ে তারা যেমন কষ্টে আছেন তেমনি আছেন দুশ্চিন্তায়ও। টাকার অভাবে ওই চা শ্রমিকগুলো তাদের বা তাদের ছেলে মেয়েদের টিউমারের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারছেন না। অনেকেই প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে হালছেড়ে বসে আছেন। টাকার অভাবে তারা পারছেন না অপারেশন করাতে।

অপরদিকে, কেন বা কী কারণে এসব দরিদ্র চা শ্রমিকদের মধ্যে এমন রোগের আবির্ভাব দেখা দিয়েছে তা বুঝতে পারছেন না কেউই।

চান্দপুর চা বাগানের বাসিন্দা অরুন পাল জানান, ‘ছোট বেলায় নাকের মধ্যে ছোট একটি গুটার মত দেখা যেত। এখন দিন দিন এটি বড় হয়ে টিউমারে রূপ নিয়েছে। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধও খেয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি। এটি দিন দিন আরো বড় হতে শুরু করে। পরে ডাক্তার অপারেশন করতে বললেন। কিন্তু টাকার অভাবে আর অপারেশন করাতে পারিনি।’

টিউমার আক্রান্ত এক যুবকের মা আরতি কানু জানান, ‘আমার ছেলের জন্ম থেকে এটি ছিল না। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এটি বড় হতে থাকে। ডাক্তার যে ঔষধ দিয়েছেন তাতে কাজ হয়নি। আর টাকার অভাবে অপারেশন করাতে পারিনি।’

টিউমার আক্রান্ত ধিরেন্দ্র পাত্র বলেন, ‘এটি নিয়ে চলাফেরা করতে অসুবিধা হয়। তাছাড়া আমরা গরিব মানুষ কাজ না করলে খাবার জুটে না। কিন্তু এটি নিয়ে কাজ করতে অসুবিধা হয়।’

তিনি বলেন, ‘এটিতে মাঝে মাঝে প্রচণ্ড ব্যথা করে। তাছাড়া মানুষ আমাকে দেখলে হাসাহাসি করে। তখন আমার মরে যেতে ইচ্ছে করে।’

চান্দপুর বাগারের বাসিন্দা ও স্থানীয় স্কুলের ৩য় শ্রেণির এক ছাত্রীর নাকে দেখা যায় বড় একটি টিউমার। এই ছোট শিশুটির পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়- খুবই ছোট একটি টিউমার থেকে এখন এটি মারাত্মক আকার ধারণ করছে।

পরিবারের লোকজন জানায়, তারা অনেক চিকিৎসা করিয়েছেন, কিন্তু আর চিকিৎসা চালাতে পারছেন না। তাই এখন এই মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় তার পরিবার।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী বিভাগীয় অধ্যাপক নিউরো স্পেশালিষ্ট ডা. আনিসুল ইসলাম জানান, ‘চা পাতায় এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা পাতা সংগ্রহের সময় বিভিন্নভাবে গর্ভবতী নারীদের দেহে প্রবেশ করে। এর ফলে ওই নারী যে সন্তান প্রসব করেন তার নাকে এ টিউমার দেখা যায়।’

তিনি বলেন- ‘এটির সঠিক চিকিৎসা হলো অপারেশন করা। অপারেশন করলে তারা পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে।’

দরিদ্র এ জনগোষ্ঠীর নিজ উদ্যোগে অপারেশন করানো সম্ভব নয় বলে দাবি চা শ্রমিক নেতাদের। তাদের দাবি এসব লোকজনকে টিউমার থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;