কেন্দুয়ায় ঝড়ে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ইউএনও'র আশ্বাস



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪.কম
ঝড়ে উড়ে গেছে অনেক ঘর বাড়ি, ছবি: বার্তা২৪

ঝড়ে উড়ে গেছে অনেক ঘর বাড়ি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ ঝড়ে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার দুইটি গ্রামের অন্তত অর্ধশত কাঁচা ও আধা কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া ঝড়ের সময় শিলাবৃষ্টিতে বোরো ফসলসহ মৌসুমি সবজিরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার দলপা ইউনিয়নের রামনগর ও আশুজিয়া ইউনিয়নের চান্দপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঝড়ে চান্দপাড়া কলেজের টিনশেড ঘর ও রামনগর গ্রামের শারফিন শাহর মাজারের ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।

খবর পেয়ে রোববার দুপুরে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি দেখতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-ইমরান রুহুল ইসলাম। এ সময় উপজেলা প্রকৌশলী আল আমিন সরকার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, দলপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান খান পাঠান ও আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক ইউএনও'র সাথে ছিলেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/17/1550413213549.jpg

পরিদর্শনকালে ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলাম ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের সরকারিভাবে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন।

দলপা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান খান পাঠান জানান, আমার ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের খোর্শেদ মিয়া, নুরুল ইসলাম, মোফাজ্জল মিয়া, আদির হোসেন, আয়েতুল ইসলাম, জিলু মিয়া, রতন মিয়া, আলম মিয়া, নাজিম উদ্দিন, শরীফ মিয়া, হালিমা আক্তার, আব্দুস ছামাদ, কালার মা, আব্দুর রশিদ, সেলিনা আক্তার, সুজনা আক্তার, রাজবানু, সাজেদা আক্তার, জাহেরা আক্তার, হারেছ আলী ফকির, আজিজুল ও মিনা আক্তারের কাঁচা এবং আধাকাঁচা ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে এবং রামনগর গ্রামের শারফিন শাহর মাজারের ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/17/1550413228430.jpg

আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক জানান, আমার ইউনিয়নের চান্দপাড়া গ্রামের হাদিস মিয়া, টিটন মিয়া, সোহাগ মিয়া, জিয়াউর রহমান, মানিক মিয়া, দেলোয়ার হোসেন, রহিম উদ্দিন, রোকন মিয়া, আলমগীর হোসেন, ফারুক মিয়া, আলামিন, সিদ্দিক মিয়া, মুছলেব আলী, হামজা মিয়া, ইসলাম উদ্দিন, জব্বার মিয়া, রিপন মিয়া, মজনু মিয়া ও অহিদ মিয়াসহ ২০টির মতো কাঁচা এবং আধাকাঁচা ঘর ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া চান্দপাড়া কলেজের টিনশেড ঘরটিও বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে ইউএনও আল-ইমরান রুহুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যদের সাথে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করার চেষ্টা করব।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;