মিষ্টি পানের হাসি-খুশি ব্যবসায়ী আফাজ বেপারী



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর, বার্তা২৪.কম
মিষ্টি পানের হাসি-খুশি ব্যবসায়ী আফাজ বেপারী। ছবি: বার্তা২৪.কম

মিষ্টি পানের হাসি-খুশি ব্যবসায়ী আফাজ বেপারী। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মিষ্টি পান বিক্রেতা আফাজ উদ্দিন বেপারী। তার কাছে ৪০ পদের মশলা দিয়ে বানানো পান পাওয়া যায়। দামও কম, ক্রেতাও বেশি। অনেকে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে ৫-৬টি পানও খেয়ে থাকেন। তবে মিষ্টি পানের ব্যবসাতে স্থায়ী নন। বছরের বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ ভাবে নানা ধরনের ব্যবসা করেন তিনি।

শনিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার সমসেরাবাদ এলাকায় একটি ওয়াজের তাবুর সামনে আফাজ বেপারীকে পান বিক্রি করতে দেখা যায়। তখন তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে বেশ হাসি-খুশি ভাবেই সম্বোধন করেন। এ ব্যবসাটি করে তিনি সফল বলেও জানান। কারণ নিজের ইচ্ছে মতো কাজে যেতে পারেন। কারো কথা শুনতে হয় না। ইচ্ছে হলে ব্যবসার বাহন ভ্যান গাড়ি নিয়ে বের হন। আর ইচ্ছে না হলে বের হন না।

তার ভ্যানগাড়িতে দেখা যায়, নানা রকম মসলা ভর্তি বয়াম। ওইসব মসলা দিয়ে পান সাজানো আছে। আর এসব পান খেতে তার দোকান ঘিরে রেখেছে ক্রেতারা।

জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ এলাকার মৃত সেরাজুল হক বেপারীর ছেলে আফাজ বেপারী। বর্তমানে তিনি সদর উপজেলার চররুহিতা ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারের পশ্চিমে ভান্ডারীর পোল এলাকায় বসবাস করছেন। প্রায় ৬০ বছর বয়সী আফাজ বেপারী মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী ছিলেন। তার সংসারে স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে আছে। তবে ছেলে-মেয়ে সবাই বিবাহিত।

আফাজ বেপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া এলাকার কালু মিয়ার গরু দেখভাল করার কাজ করতেন। সেখানে ৩ বছর কাজ করে চলে আসেন নিজ এলাকায়। রায়পুরে বিভিন্ন জায়গায় ইট ভাঙার কাজ করেন আরও ২ বছর।

এরপর দীর্ঘদিন তিনি ঢাকার চক-বাজারে লাল্লু বিহারীর মিষ্টি পানের দোকানে চাকরি করেন। সেখান থেকে ফিরে গত ৮ বছর ধরে নিজেই ব্যবসা করছেন। তবে তিনি বছরের ১২ মাসে ৩ ধাপে ৩ রকমের ব্যবসা করেন। বছরের তিন মাস পান, তিন মাস শরবত আর ৬ মাস পপকনের ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/10/1549771857070.jpg

পানের দাম জানতে চাইলে আফাজ বেপারী জানান, সুপারি, নারিকেল, কিশমিশ, সেরি ফল, দারুচিনি, এলাচ, ধনিয়া, গুড়ামুড়ি ও কালোজিরাসহ ৪০ পদ দিয়ে একটি পান তৈরি করা হয়। এটি বিক্রি করা হয় ২০ টাকায়। ১০ টাকায় ৩০ পদ ও ৫ টাকায় ২০ পদের মশলা মিশিয়ে পান বিক্রি করা হয়।

আফাজ বেপারী জানান, ব্যবসাটি করতে গিয়ে অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছে। এতে মনে শান্তি পাওয়া যায়। অনেকেই একবার পান খেয়ে আবার খেতে চান। এখানে এসেও একই ঘটনা ঘটেছে। একটি ছেলে পরপর ৫টি পান খেয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা শহীদ উল্লাহ বিএসসি আমদেরকে বিভিন্ন বাড়ির উঠানে উঠানে গর্ত করে এর ওপর কলা পাতা, খড়, মাটি দিয়ে ভরাট করতে বলেছেন। সেখানে প্রবেশের জন্য অল্প একটু জায়গা রাখার জন্য বলা হয়েছে। গোলাগুলি হলে আমাদেরকে ছুটোছুটি না করে ওইখানে থাকার জন্য বলে দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন কাজে মুক্তিযোদ্ধাদের আমি সহযোগিতা করেছি। আর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী হিসেবে আমার একটি সনদও রয়েছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;