বেসরকারি ক্লিনিকে রমরমা টেস্ট বাণিজ্য



মো.সাদের হোসেন বুলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী নবাবগঞ্জ ও দোহারের সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সীমাবদ্ধতার সুযোগে এই অঞ্চলে অবস্থিত অধিকাংশ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার চিকিৎসা সেবার নামে প্রতিনিয়ত চালাচ্ছেন টেস্ট বাণিজ্য। লাগামহীন টেস্ট বাণিজ্যের কবলে পড়ে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ভুক্তভোগী রোগীদের দাবি, ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমিশনের লোভে বেশকিছু কথিত চিকিৎসক টেস্ট বাণিজ্যে জড়িত রয়েছেন। এছাড়া দেশি-বিদেশি চিকিৎসকের কথা বলে রোগীর কাছ থেকে অতিরিক্ত ভিজিটের অর্থ আদায় করা হচ্ছে।

নবাবগঞ্জে একটি বেসরকারি মুক্তি ক্লিনিকে কিছু দিন আগে বিভিন্ন নামের ভারতের চিকিৎসক বসিয়ে রোগীর কাছ থেকে ভিজিট ও টেস্টের নামে লুটে নিয়েছেন প্রায় কয়েক লাখ টাকা। বর্তমানে ঐ ক্লিনিকে কোনো ভারতীয় চিকিৎসকদের এখন আর দেখা পাচ্ছেন না বলে রোগীরা জানিয়েছেন।

উপজেলার বাগমারা এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্যারাগন ট্রমা সেন্টারের টেস্ট বাণিজ্যের লাগাম টানা হচ্ছে না। মান, পরিবেশ ও খরচের দোহাই দিয়ে এই ক্লিনিকের মালিক পক্ষ কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে বোঝাঁপড়া করে মনগড়া টেস্টের মূল্য আদায় করছে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ আছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলার টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগ আছে এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য মুক্তি ক্লিনিক নবাবগঞ্জ ও দোহার শাখা, প্যারাগন ট্রমা সেন্টার, হলি কেয়ার, বান্দুরা দেওয়ান ক্লিনিক, নুর ক্লিনিক, দোহার জেনারেল হাসপাতাল ও জয়পাড়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রধান। এসব প্রতিষ্ঠান শুধু টেস্ট বাণিজ্য নয়, ইছমতি নদী ও খাল দূষণের জন্যও তারা দায়ী।

জানা যায়, সরকারি হাসপাতালগুলোতে আলট্রাসনোগ্রাফি ৪৫০ টাকা লাগলেও বেসরকারিতে ১১০০ থেকে ১৫০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। একইভাবে সরকারি হাসপাতালে রক্তের গ্রুপ পরীক্ষায় (সিবিসি) ৫০ টাকা নেওয়া হলেও বেসরকারিতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা। ইসিজি ফি সরকারিতে ৮০ টাকা হলেও বেসরকারিতে নেওয়া হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা।

নবাবগঞ্জ ও দোহারের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করা নেই। সরকারি নির্দেশ থাকার পরও কোনো মূল্যতালিকা টানানো নেই এসব স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবাবগঞ্জের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের কর্ণধার বলেন, ‘একটি কমিশন বাণিজ্যের প্রভাবে পরীক্ষা-নীরিক্ষার ব্যয় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আকাশ-পাতাল ব্যবধান হয়। কমিশন প্রদান করে অতিরিক্ত মুনাফা নিশ্চিত করতেই বিভিন্ন পরীক্ষার চার্জ প্রকৃত খরচের চেয়ে অনেক গুণ বেশি নেয়াও হয়। কমিশনের লোভে কিছু লোভী চিকিৎসকও কারণে-অকারণে গাদা গাদা টেস্ট দেন।’

‘সব চিকিৎসকই যে অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দেয়, কথাটা ঠিক না। ডাক্তার নামধারী কিছু অসাধু ব্যবসায়ীই প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টেস্ট দেয়। কিছু ডাক্তার কমিশন খায়। যে কারণে একটু বাড়তি টেস্ট দেয়, এটা সত্যি কথা।’

বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে টেস্ট বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মো. এহসানুল করিম বলেন, ‘বিষয়টি জানলাম, দ্রুত স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওযা চেষ্টা করা হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;