সড়কে বের হয়ে ৮ দিনে গেল ১৩ প্রাণ



হাসান মাহমুদ শাকিল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে বেড়েছে সড়ক দুর্ঘটনার প্রবণতা। পরিসংখ্যান বলছে, গড়ে প্রতিদিন ১২ জন মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতুবরণ করছে। গত ৮ দিনে লক্ষ্মীপুরের বিভিন্ন সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩ জন। এর মধ্যে রয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্কুলশিক্ষক, নারী ও শিশুও। এতে আহত হয়েছেন স্কুল শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুসহ অন্তত ৪০ জন।

সবশেষ বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা ১১ টার দিকে মোটরসাইকেল আরোহী দক্ষিণ টুমচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান রুবেল পিকআপ ভ্যান চাপায় নিহত হন। তিনি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে। বিকেল সাড়ে ৪ টায় লাহারকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ে নামাজের জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ১৭ জানুয়ারি সকাল থেকে ২৪ জানুয়ারি বিকেল পর্যন্ত লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে পিকআপ ভ্যান চাপায় ও গাছের দড়ি ছিঁড়ে পৃথক কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। মৃত্যুর এই শিবিরে একই পরিবারের ৬ জনও রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতা মো. অন্তরকে দেখতে গত বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ভোরে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের বসুদুহিতা গ্রাম থেকে সদর হাসপাতালে যাচ্ছিল বাবা-মাসহ আত্মীয়-স্বজনরা। ঢাকা-রায়পুর সড়কের রতনপুর এলাকায় আসলে তাদের বহনকৃত সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও একটি মালবাহী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে সড়কের পাশে পুকুরে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৭ জন মারা যান। তারা হলেন ছাত্রলীগ নেতা অন্তরের বাবা শাহ আলম, মা নাছিমা আক্তার, ভাই অমিত, খালা রোকেয়া বেগম, নানী শামছুন্নাহার, খালাতো ভাই রুবেল ও অটোরিকশা চালক নূর আলম নিহত হন।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার রাজীবপুর এলাকার টুকামিয়া সড়কে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা উল্টে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কাজী সিরাজ উদ্দিন নিহত হন। তিনি কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ছিলেন। একইদিন ঢাকা-রায়পুর সড়কের সদর উপজেলার যাদৈয়া এলাকায় আনন্দ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে অন্তত ৩৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে স্কুল শিক্ষার্থী, নারী ও শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ ছিল।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কের সদর উপজেলার নুড়ি গাছতলা এলাকায় লেগুনা ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো. আলাউদ্দিন স্বপন নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। তিনি সদর উপজেলার দক্ষিণ মজুপুর গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় মো. সৌরভ নামে এক লেগুনা যাত্রী আহত হন।

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারির) সকালে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট যাওয়ার পথে হাজিরহাট এলাকায় সড়কে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী গৃহবধূ সুমি নিহত হয়েছেন। নিহত সুমি সদর উপজেলার চর রমনী মোহন এলাকার জয়দল বন্ধসীর স্ত্রী। এ দুর্ঘটনায় স্বামী জয়দলও আহত হন। একই দিন উপজেলার মান্দারী বাজার এলাকায় গাছ কাটার রশি ছিড়ে পথচারী মো. শাহজাহান গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। তিনি উপজেলার পূর্ব মান্দারী গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর-মজুচৌধুরীর হাট সড়কে পিকআপ ভ্যানচাপায় মো. ইদ্রিস মিয়া নামে এক বালু শ্রমিক নিহত হয়েছেন। নিহত ইদ্রিস সদর উপজেলার শাকচর গ্রামের আবদুল মতিনের ছেলে।

জানতে চাইলে নিরাপদ সড়ক চাই লক্ষ্মীপুর জেলা শাখার সভাপতি কার্তিক সেনগুপ্ত বলেন, গাড়ি চালকরা প্রশিক্ষিত ও দায়িত্বশীল হলে এসব দুর্ঘটনা ঘটতো না। এজন্য তাদেরকে দায়িত্বশীল হতে হবে। চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে পথচারী ও যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন মেনে চলে রাস্তা পারাপার ও চলাফেরা করতে হবে। ফিটনেস বিহীন গাড়িতে যাতায়াত বন্ধ করতে হবে। যানবাহনে অতিরিক্ত যাত্রী যেন না নিতে পারে সেদিকে যাত্রীদেরও সচেতন থাকতে হবে।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;