রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপতৎপরতা, আত্মগোপনে শিবির নেতা সাইদ



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা ২৪.কম
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডোলের বানানো গেট ও শিবির নেতা সাইদ, ছবি: সংগৃহীত

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডোলের বানানো গেট ও শিবির নেতা সাইদ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ‘ডোল ইন্টারন্যাশনাল’ নামে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে অপতৎপরতার খবর ছড়িয়ে পড়ায় কিছুটা খোলস পাল্টেছে প্রতিষ্ঠানটি। আত্মগোপনে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও শিবির নেতা সাইদুল ইসলাম ওরফে রিজভী।

জানা যায়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আসার পর থেকে সাইদের মিশন শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অর্থায়নের জন্য নিয়ে আসা মানবিক সহায়তার কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বনে গেছেন কোটিপতি। গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না যেতে নানাভাবে উসকানি দিয়ে আসছিল ভুয়া এনজিও ‘ডোল ইন্টারন্যাশনাল।’

এ নিয়ে ‘রোহিঙ্গা শিবিরে ডোল ইন্টারন্যাশনাল নামে ভুয়া এনজিওর অপতৎপরতা’ শিরোনামে ৬ জানুয়ারী বার্তা২৪.কম একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর গা ঢাকা দিয়েছে ভুয়া এই প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইদুল ইসলাম ওরফে রিজভী। কিন্তু কর্মকাণ্ড বন্ধ করেনি সে। বিভিন্ন কৌশলে গত ৮ জানুয়ারিও ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় কার্যক্রম চালিয়েছে তারা। সাইদের অবর্তমানে ডোল ইন্টারন্যাশনালের কর্মকাণ্ডে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৌহিদ ও তামিম নামে দুই যুবক। তারা আপন সহোদর। বর্তমানে তৌহিদ ও তামিমসহ ডোলের একটি গ্রুপ উখিয়া ও কক্সবাজার শহরে অবস্থান করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাইদের পরিবর্তে কাজ করা তৌহিদ তুরস্কে পড়াশোনা করেছে। তৌহিদ ও তামিমের বাবা হলেন মাওলানা শফিকুল্লাহ আল মাদানি। তিনি তামিরুল মিল্লাত টঙ্গি শাখার ভাইস-প্রিন্সিপাল ছিলেন। তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার সঙ্গে সরাসরি জামায়াতে ইসলামের লোকজন জড়িত।

তুরস্কে পড়াশোনার সুবাদে তুর্কিতে সে ডোল ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে অর্থ সংগ্রহে নেতৃত্ব দেয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদনহীন বিভিন্ন এনজিও নিয়ে এসে সাইদের ডোল ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, সাইদের পড়াশোনা, বেড়ে উঠা সবকিছুই রোহিঙ্গাভিত্তিক সংগঠন আরএসওর অর্থায়নে। ছোটবেলায় যে মাদ্রাসায় সাইদ পড়াশোনা করেছে সেটি চলে আরএসওর অর্থায়নে। তখন থেকেই আরএসওর সঙ্গে সখ্যতা সাইদের। এরপর সাইদ এবং তার বন্ধু মিলে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করে। ওই এনজিওর হয়ে উত্তরবঙ্গে কাজ করেছিল সাইদ।

এক পর্যায়ে সাইদ ওই এনজিওর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। পরে সাইদ এবং তার বন্ধু মিলে চকরিয়ার সাহারবিল এলাকায় ‘দারুল হিকমাহ’ নামে একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে। পরে দুর্নীতির অভিযোগে সাইদকে সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপর নাম স্বর্বস্ব সংস্থার অর্থায়ন এনে সাইদ ডোল ইন্টারন্যাশনালের সাইনবোর্ডে উখিয়ার মরিচ্যা স্টেশনের পরে নাপিতপাড়া এলাকায় পাহাড়ের ওপর একটি মাদ্রাসা গড়ে তুলেছেন। বর্তমানে ওই মাদ্রাসা থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন সাইদ।

গত কয়েক মাস যাবৎ রিভাত, এসকেটি, উইকেয়ার, ইলিকদারসহ বেশ কয়েকটি বিদেশি এনজিওর অর্থায়ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। রিভাতের সবচেয়ে বেশি কর্মকাণ্ড চলে পাকিস্তানে। সাইদের মূল কর্মকাণ্ড রোহিঙ্গাদের ফেরত না যেতে উদ্ধুব্ধ করা এবং তাদের নিয়ে অপতৎপরতা চালানো।

কিন্তু বার্তা২৪.কমে সংবাদ প্রকাশের পর ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছে সাইদ। প্রভাবশালীদের দ্বারস্থ হয়ে নিজেকে রক্ষার এ প্রতিবেদককেও ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছেন।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, রোহিঙ্গা শিবিরে ‘বাংলাদেশ-আরকান’ লেখা ব্যানারসহ গেইটগুলোর সন্ধানে নেমেছে তারা। ইতোমধ্যে বেশকিছু প্রমাণ পেয়েছে সরকারি একটি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। সাইদের ব্যাংক একাউন্টের অস্বাভাবিক লেনদেনের বিষয়েও গভীরভাবে খতিয়ে দেখছে তারা। একইসঙ্গে সাইদকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/15/1547536385251.jpg

ডোল ইন্টারন্যাশনালের মালিক সাইদুল ইসলাম ওরফে রিজভীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘তুরস্কের লোকজন রোহিঙ্গাদের আরাকানের নাগরিক বলে। তাই ব্যানারে আরাকান শব্দটা ব্যবহার করেছি।

সাইদুল ইসলাম দাবি করেছেন, ডোল ইন্টারন্যাশনাল কোনো এনজিও নয়; এটি একটি সাপ্লাই প্রতিষ্ঠান। ব্যাখ্যায় সাপ্লাই প্রতিষ্ঠান দাবি করলেও এই প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যবহৃত ব্যানার, সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন প্রমাণ এখনও রোহিঙ্গা শিবিরে দৃশ্যমান। বিশাল কর্মযজ্ঞ চলছে রোহিঙ্গা শিবিরে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই আমার ক্ষতি করে আপনার কি লাভ’ বলে ফোন কেটে দেন সাইদ।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ডোল ইন্টারন্যাশনাল সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ক্যাম্প ইনচার্জদের তাদের সম্পর্কে এলার্ট করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও করা হচ্ছে। ক্যাম্পে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করতে পারার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;