হারিয়ে যাচ্ছে সাতক্ষীরার রফতানিমুখী টালি শিল্প



এস এম শহীদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সাতক্ষীরা, বার্তা২৪.কম
জৌলুশ হারিয়ে ধ্বংসের পথে সাতক্ষীরার সম্ভাবনাময় টালি শিল্প/ ছবি: বার্তা২৪.কম

জৌলুশ হারিয়ে ধ্বংসের পথে সাতক্ষীরার সম্ভাবনাময় টালি শিল্প/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হারিয়ে গেছে সাতক্ষীরার কলারোয়ার টালি শিল্পের সুদিন। ভালো নেই টালি শিল্পের মালিক ও শ্রমিকরা। জৌলুশ হারিয়ে ধ্বংসের পথে সম্ভাবনাময় টালি শিল্প। শ্রমিকদের হাসি-কান্না-স্বপ্নের টালি রফতানিতে এক সময় আসতো শত কোটি বৈদেশিক মুদ্রা।

সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ না পাওয়া, আর্ন্তজাতিক বাজার সৃষ্টিতে সরকারের সহযোগিতার অভাব, আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার না পাওয়া ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়াসহ নানা সমস্যার কারণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভবনাময় এ শিল্প পৌছে গেছে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটি ও শ্রীপতিপুর গ্রামে অর্ধ শতাধিক টালি কারখানার অধিকাংশই বন্ধ হয়ে গেছে। টালি শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় চার হাজার শ্রমিক মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ৪১টি কারখানার মধ্যে সচল আছে মাত্র ১৫টি।

কলারোয়া টালি কারখানার মালিক ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি ও কলারোয়া ক্লে টাইলস-এর মালিক গোষ্ট চন্দ্র পাল বলেন, ‘পূর্বপুরুষদের পেশা অনুযায়ী এখানকার পালরা প্রতিমা তৈরি করতেন। প্রতিমা তৈরি করে মুরারিকাটি ও শ্রীপতিপুর এলাকার পালরা সারা দেশে খ্যাতি অর্জন করেন। ২০০০ সালের দিকে এখানে টালি নির্মাণ শুরু হয়। ২০০২ সালের দিকে ইতালীয় ব্যবসায়ী রাফায়েল আলদো অসেন বাংলাদেশে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547290822553.gif

তিনি জানান, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে নারায়নগঞ্জে টালি তৈরির কাজ শুরু করেন রাফায়েল। কিন্তু ঐ এলাকা টালি তৈরির উপযুক্ত না হওয়ায় তিনি তার দেশে ফিরে যান। রাফায়েল ফিরে গেলেও কোম্পানির ম্যানেজার রুহুল আমিন দেশের বিভিন্ন স্থানে পোড়া মাটির টালি তৈরির মাটি খুঁজতে থাকেন।

কলারোয়ার কুমোর পাড়ায় এসে পেয়ে গেলেন মাটির ঠিকানা। কারার এক্সপোর্ট ইমপোর্ট প্রাঃ লিঃ-এর মালিক রুহুল আমিন কলারোয়া কুমোরদের পোড়া মাটির টালির সম্ভবনার পথ দেখান। সেই সূচনা।

শুরুতেই পাঁচটি কারখানার উৎপাদিত টালি ইতালিতে রফতানি হতো। এ কারণে এলাকাকে অনেকেই ইতালিনগর বলে থাকেন। দুই বছর যেতে না যেতেই এখানকার উৎপাদিত টালি নজর কাড়ে জার্মান, দুবাই, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের।

দেশের মাটি পৌঁছে যায় ইউরোপ- আমেরিকায়। মংলা বন্দর দিয়ে কলারোয়ার টালি চলে যায় ইউরোপে। বিনিময়ে আসে বৈদেশিক মুদ্রা। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে এখানকার টালি কারখানার সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। এসব কারখানায় কাজ পায় প্রায় চার হাজার শ্রমিক।

২০১০ সাল পর্যন্ত টালি শিল্পের মালিকদের সুদিন ছিল। প্রতিটি টালি ৩০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। এতে করে প্রতি বছর এ শিল্প থেকে ৩০০ কোটিরও অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হতো।

গোষ্ট চন্দ্র পাল জানান, এক কন্টেইনারে ১৫ হাজার পিস টালি নেওয়া হতো। প্রতি মাসে ৩০ কন্টেইনার টালি যেতো ইটালিতে। বর্তমানে পাঁচ থেকে ছয় কন্টেইনার টালি যায় ইতালিতে। প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু হয় টালি মৌসুম। ৩১ মে পর্যন্ত চলে উৎপাদন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/12/1547290792716.gif

বর্তমানে অনেকেই টালি উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছেন। মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ ইমাদুল ইসলাম সদস্য আব্দুর রব মোল্যা, শ্রীকান্ত পাল, তৈলাজ পাল, মদন পাল, শংকর পাল ও সন্তোষ পালসহ ১৫ থেকে ১৬ কারখানা বন্ধ করেছেন লহ্মনপাল, ময়না পাল, জগবন্ধু পাল স্বপন পাল, মোসলেম উদ্দীন ও পরিতোষ দাসসহ ২৫ থেকে ২৬ জন।

১০ থেকে ১২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার পর লাভের মুখ দেখা যায় বলে জানান টালি কারখানার মালিকরা। এক একটি পোনের টালি সাজানোর মধ্যেই সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, মান-অভিমানের স্বপ্ন সাজায় শ্রমিকরা। আজ সে স্বপ্ন মুছে যেতে বসেছে।

মালিকরা জানান, এ শিল্পের সাথে জড়িত রয়েছেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক। শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতি কন্টেইনার টালির উৎপাদন খরচ প্রায় এক লক্ষ টাকা। ইউরোপের বাজারে যার মূল্য দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা।

বছরে প্রায় ৪০০ কন্টেইনার টালি রফতানি করে শত কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হয়। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মালিকদের অসম প্রতিযোগিতার কারণে এ শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;