নানা সমস্যায় জর্জরিত শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের ভবন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, মৌলভীবাজার, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের হবিগঞ্জ রোডস্থ ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের পাশে অবস্থিত আশির দশকে নির্মিত শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন। এই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের পুরাতন দোতলা ভবনের বিভিন্ন স্থানে বিপদজনক ফাটল দেখা দিয়েছে। গত ৪০ বছরে এখানে উল্লেখযোগ্য কোন সংস্কার কাজও করা হয়নি। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ এই ভবনটি ধ্বসে পড়ার পর্যায়ে পৌঁছেছে। যে কোন সময় বিল্ডিং ধ্বসে বড় ধরনের দুর্ঘটনা দেখা দিতে পারে এমন আতঙ্কে রয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা নিজেরা অগ্নিকান্ড সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলায় বিপন্ন মানুষকে দূর্যোগমুক্ত করতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করলেও এখন তারা নিজেরাই আতঙ্কে সময় পার করছেন।

ফায়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, ভবনের ছাদ, কার্নিশসহ বিভিন্ন অংশে বিপদজনক ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে তাদের জীবনযাপন এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। কর্মচারী ও অন্যান্য ফায়ারম্যানরা জানান, ভবনটির দুরবস্থার কারণে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কায় আতঙ্কিত থাকেন সবসময়। কিন্তু বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় অর্ধ শতাব্দী আগের নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ভবনটির নিচতলায় রয়েছে শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তার অফিস কক্ষসহ ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রাখার জায়গা। ২য় তলায় রয়েছে এখানকার কর্মকর্তার বাসস্থান এবং স্টাফদের ব্যারাক। এখানে নিয়মিতভাবে বসবাস করেন ২৩ জন মানুষ।

ব্যারাকে বসবাসকারীদের মধ্যে রয়েছেন ১ জন স্টেশন অফিসার, ১৫ জন ফায়ারম্যান, ২ জন টিম লিডার, ২ জন গাড়ি চালক, ১ জন বাবুর্চি ও ১ জন ঝাড়ুদার। এই কক্ষগুলোর বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে, ছাদ থেকে পলেস্তারা খুলে পড়ছে।

২য় তলায় অফিসার কোয়ার্টারেরও একই অবস্থা। ছাদের পলেস্তারা খুলে রড বেরিয়ে গেছে বিভিন্ন জায়গায়। শুধু তাই নয়, গাড়ি রাখার জায়গায় বীমের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে এবং ভেঙে পড়ে রড বের হয়ে আছে। গত বছরের জানুয়ারিতে ভূমিকম্পে ভবনটি বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ভূমিকম্পের ফলে ভবনের জানালার গ্রীলগুলো বেঁকে গিয়েছে। তাছাড়া স্টাফদের ব্যবহারের জন্য যে বাথরুমগুলো রয়েছে, সেগুলোর অবস্থাও করুণ। বাথরুমের দরজা ভাঙা, কমোড ব্যবহারের অনুপযোগী এবং ফ্লাশগুলোও নষ্ট।

স্টেশনের গাড়ি চালক অরুন কুমার সিংহ জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে ভূমিকম্পের সময় আমার গায়ে বিল্ডিংয়ের পলেস্তারা খসে পড়ে এতে আমি আহত হয়েছিলাম ৷ আমরা মাঝে মাঝে নিজেরা জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করি। তবে ভবনটি ড্যাম্প হয়ে যাওয়ায় সেই মেরামতগুলি দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বর্তমান অবস্থা এমন যে, যে কোনো সময় এই ভবনটি ধসে পড়ে ঘটতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। এই ভবনের বসবাসকারী ফায়ারম্যানসহ অফিস ভবনে অবস্থানকারী কর্মকর্তাদের প্রাণহানি ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মীরা।

শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনে কর্মরত ফায়ারম্যানরা জানান, দুর্যোগ ও বিপন্ন মানুষকে উদ্ধার করতে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করি আমরা। আর আমাদের জীবনই এখন ঝুঁকিপূর্ণ।

ভবনটির ভগ্নদশা সম্পর্কে কয়েকবার লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই ভবনের মেরামত কিংবা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবনটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছি এমনি জানালেন শ্রীমঙ্গল ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আজিজুল হক রাজন।

এ সম্পর্কে মৌলভীবাজার গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিয় কুমার সাহা বলেন, আসলে আমাদের কাজ হচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মতো। সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়। আর যেহেতু এটা মেরামতের বিষয়, তাই মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় হলে তবেই আমরা পরিদর্শনপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারব।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;