পাঠাও-তে হাজারতম রাইডের পর সাইফুলের যে অভিজ্ঞতা



সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: সাইফুল ইসলামের পেশা এবং নেশা রাইড শেয়ারিং। উবারের পর পাঠাও এখন তাকে ‘মডেল চালক’ হিসেবে তুলে ধরছে। এরমধ্যে সাইফুল প্রাইভেট কার রাইড শেয়ারিং সেবায় একজন ‘আইকনিক’ ড্রাইভার হিসেবে ঢাকায় পরিচিত পেয়েছেন।

মাত্র চার মাসে পাঠাও অ্যাপে তিনি এক হাজার রাইড দিয়েছেন। সম্প্রতি তার হাজারতম রাইডের সঙ্গে ছিলেন বার্তা২৪.কম এর সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সাব্বির আহমেদ। কথা বলেছেন রাইড শেয়ারিং সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে।

সাইফুল বলেন, ‘গাড়ির মালিককে টাকা দেওয়া এবং মেইনটেনেন্স খরচ বাদে মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয়ের লক্ষ্য থাকে আমার। কোনো কোনো দিন ৮ থেকে ১০টি ট্রিপ, আবার রাস্তা ফ্রি থাকলে দিনে সর্বোচ্চ আমি ২০ ট্রিপ দিয়েছি।’

দৈনিক কখনো ১২শ, ১৫শ, ২ হাজার, ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আয় করেছেন সাইফুল। গত ঈদে রাস্তা ফাঁকা থাকায় একদিনে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন তিনি।

 

সাইফুল মনে করেন, ঢাকায় এখন ৫০ থেকে ৬০ হাজার প্রাইভেট কার রাইড শেয়ারিং সেবা দেয়। এরমধ্যে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার গাড়ি শুধু উবারের। বাকিটা পাঠাওসহ অন্য কোম্পানির। তবে উবার-পাঠাও ছাড়া অন্যদের পরিচিতি ও ব্যবহারকারী একেবারে কম।

রাইড শেয়ারিং-এ এসে আবার অনেক চালক ফিরে গেছেন আগের রেন্ট এ কার বা কোম্পানির গাড়ি চালাতে। এটা কেন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বোনাস এবং ট্রিপ বোনাস যে আছে এটা অনেক চালক বুঝেন না। ট্রিপ সংখ্যা বা টার্গেট পূরণ করতে পারলে ট্রিপ বোনাস পাওয়া যায়। দেখা যায় গাড়ি না চালিয়েও কিন্তু আমি বোনাস পাচ্ছি। যারা এগুলো বুঝতে পারছে না তারা রাইড শেয়ারিং থেকে বেরিয়ে আবার প্রাইভেট কার চালাচ্ছে।’

যারা রেন্টে-এ কার আগে চালিয়েছেন তারা দিনে ২ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা বা তার বেশিও আয় করেছেন। আর রাইড শেয়ারিংয়ে ৫০ টাকা, ১০০ টাকা ৩০০ টাকা বা ৪০০ থেকে ৫০০ পাচ্ছেন একটা ট্রিপে। এই ছোট ছোট ট্রিপ দিতে অনেকের পছন্দ হয় না- জানালেন পাঠাও চালক সাইফুল।

তার মতো নেশা এবং পেশা হিসেবে যারা এটা নিয়েছেন তারাই ভালো করছেন জানিয়ে সাইফুল বলেন, এখানে যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশিও আয় করার সুযোগ আছে। স্বাধীনতা পান চালকরা।

ভাড়ার বিভ্রান্তি কেন তৈরি হয় পাঠাও-এ তার জবাবে তিনি বলেন, ‘অনেকেই একটি গন্তব্যে যেতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে যায়। অতিরিক্ত ঘুরে যাওয়ার পর পাঠাও অ্যাপসে বিল কিন্তু অতিরিক্ত আসেনা। শুধু সময়ের বিলটা আসে। আবার জিপিএস সমস্যার কারণে অনেকের ভাড়া বেশি আসে।’

এ ধরনের ক্ষেত্রে অ্যাপসের ভেতরে অভিযোগ করা যায়। এখানে যাত্রী যেমন অভিযোগ দিতে পারে, তিনিও একই ভাবে অভিযোগ দিতে পারেন বলে জানালেন সাইফুল ইসলাম।

ঢাকায় যাত্রীরা রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পুরোপুরি অভ্যস্ত হয়ে গেছেন বলেও যোগ করেন সাইফুল। এক্ষেত্রে তিনি বন্ধুত্বমূলক মানসিকতার মাধ্যমে সেবা দিয়ে থাকেন যাত্রীদের।

সাইফুল বলেন, ‘রাইড শেয়ারিং সার্ভিসগুলো তাদের নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার কারণে ডিসকাউন্ট দিচ্ছে। যে কারণে ব্যবহারকারীরা সুবিধা পাচ্ছে। আর চালকদের ট্রিপ বোনাস দিচ্ছে। বিভিন্ন ভাবে একেকজন একেক ভাবে ট্রিপ বোনাস পাচ্ছে। যে যেরকম ট্রিপ টার্গেট ফিলাপ করবে সে সেরকম ট্রিপ বোনাস পাবে। আমি পাঠাও থেকে এক সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৫শ টাকা পর্যন্ত ট্রিপ বোনাস পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘শুরুতে উবারে ছিলাম। গত ৮ মাস ধরে উবার চালাই না। উবার সার্ভিসও ভালো। তাদের পাশাপাশি আছে পাঠাও। এরপর যেগুলো আসছে তারা র্মাকেটে প্রভাব ফেলতে বা পরিচিত হতে পারেনি। তাদের গাড়ি সংখ্যাও সীমিত।’

পাঠাও পে ব্যবহারের সুবিধা জানিয়ে তিনি জানান, পাঠাও অ্যাপের পে একাউন্টে রিচার্জ করে রাখলে যখন রাইড শেষ হয়, তখন অটোমেটিকভাবে এমাউন্টটা পিন নাম্বার দিয়ে পে করা যায়। এমনও যাত্রী আছে ৮০ থেকে ৯০ টাকার ভাড়া আসে, অথচ ১০০০ টাকার নোট দেয়। তখন বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। পাঠাও পে থাকলে এ সমস্যা একদম হয় না। আবার যেকোনো ড্রাইভারের মোবাইল থেকেও রিচাজ করে নেয়া যায়।

তবে অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ পাওয়া এমনটা যে- ভুল করে পাঠাও অ্যাকাউন্টে পেমেন্টের পরিবর্তে এয়ারটাইম হিসেবে রিচার্জ করার পর পাঠাও সে টাকা ফেরত দেয়নি।

আবার ড্রাইভাররা পাঠাও পে-এর টাকা দেরিতে পেয়ে থাকে। যেমন পাঠাও পে-এর টাকা উত্তোলন করতে গেলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা লাগে- নিজেও স্বীকার করলেন সাইফুল।

এক হাজার রাইড দিয়েও রেটিংয়ে সেরা অবস্থান ধরে রেখেছেন উবারের সাবেক ফাইভ স্টার চালক এই সাইফুল ইসলাম। তার রেটিং এখন ৯৭ ভাগ। এতো যাত্রী কীভাবে সন্তুষ্ট করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যখন রিকোয়েস্ট আসে তখন আমি কলব্যাক করে যাত্রীকে সালাম দিয়ে কুশল বিনিময় করি। যাত্রীও বুঝতে পারে একজন ভালো মানুষের সঙ্গে রাইড হচ্ছে। গাড়িতে উঠার পরে যদি শিশু থাকে তাহলে তাদের আমি চকলেট দেই। একটি বক্সে চকলেট রাখা আছে। এছাড়া যাত্রীদের আমি বোতলজাত ফ্রেশ পানি দেই। অনেকের বমির সমস্যা থাকে। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত পলিথিন রেখেছি। আছে এন্ড্রয়েড ও আইফোনের আলাদা মোবাইলের চার্জার এবং পাওয়ার ব্যাংক।’

তিনি বলেন, ‘গাড়িটি পরিষ্কার রাখি সব সময়। এয়ার ফ্রেশনার দিয়ে রাখি। পেছনে টিস্যু রাখা আছে, যাতে যাত্রীরা তাদের প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহার করেন। আর এসব কারণেই যাত্রীরা আমাকে পছন্দ করেন, সেবা পেয়ে সন্তুষ্ট হন।’

ঢাকায় প্রাইভেট কার চালকদের মধ্যে রাইড শেয়ারিং কী কোনো পরিবর্তন এনেছে এমন প্রশ্নে তিনি জানান, আগে চালকরা বিভিন্ন বাসা বাড়ি এবং কোম্পানির গাড়ি চালাতেন। রাইড শেয়ারিং কোম্পানি হচ্ছে স্বাধীন পেশা। একজন মালিকের গাড়ি কন্ট্রাকে নিয়ে আরও স্বাধীন ভাবে চলাফেরা করতে পারেন চালক।

আগে যে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেতন পেতেন এখন রাইড শেয়ারিং অ্যাপে সে আয়টা অনেক বেড়েছে। এমনও চালক আছেন যারা মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়মিত আয় করছে। এর মাধ্যমে একটা স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির চালক বের হচ্ছে। চালকদের বেতন বাড়ছে, জীবনযাত্রার মান বাড়ছে- জানালেন পাঠাও আইকনিক ড্রাইভার সাইফুল।

   

যশোরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা, প্রেমিক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে প্রেমিকাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেও শেষ রক্ষা হয়নি প্রেমিকের। অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এদিকে, বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাওড়ের পাশ থেকে প্রেমিকা মিতুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাওড়ের পাশে শাড়িপরা এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পড়ে ছিল। তারা খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে ডিবি’র (ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ) এসআই (উপপরিদর্শক) খান মাইদুল ইসলাম রাজীব জানান, নিহত মিতুর বাড়ি সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায়। এক সময় তিনি মুসলমান ছিলেন। তখন তার নাম ছিল খাদিজা। পরে ধর্মান্তরিত হয়ে তিনি হিন্দুধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি তার এলাকার এক যুবকের সঙ্গে যশোরে ঘুরতে আসেন। একপর্যায়ে ওই যুবক তাকে ওই শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দাদের একটি দল ওই যুবককে আটক করে। ওই যুবকের নাম ও ঠিকানা চানতে চাইলে মাইদুল বলেন, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পরে প্রেসব্রিফিং করে হত্যার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে, হালসা গ্রামের একটি সূত্র জানায়, আটক প্রেমিকের নাম মৃন্ময়। তিনিও পাটকেলঘাটার বাসিন্দা। বুধবার সকাল ১০টায় হালসা গ্রাম থেকে ডিবির একটি দল মৃন্ময়কে আটক করে।

 

;

নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের জেল-জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের জেল-জরিমানা

নওগাঁয় ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের জেল-জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ জেলার বদলগাছী থানার উত্তর পাকুরীয়া গ্রামের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষককে দশ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। এ রায় প্রদান করেছেন নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার। জরিমানার অর্থ ধর্ষণ চেষ্টার শিকার ছাত্রীকে প্রদানের নির্দেশ দেন বিচারক। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকালে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ছয়টার সময় নয় বছরের ছাত্রী একই গ্রামের আরবি শিক্ষক আবুল হাসান (২৫) এর বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। সে সময় অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা না আসায় ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছাত্রীটির মা বদলগাছী থানায় অভিযোগ করলে তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। আদালত আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার রায়ের জন্য দিন ধার্য করেন। আসামিকে দশ বছর সশ্রম কারাদনণ্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় পড়ে শুনানো হয় এবং আসামিকে সাজা পরোয়ানা মূলে জেলা কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ কৌশলী এ্যাডভোকেট আজিজুল হক ও আসামি পক্ষে এ্যাডভোকেট মামুনূর রশিদ মামলা পরিচালনা করেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং আসামি পক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করার কথা জানান।

;

বৃষ্টির পরও চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১.২ ডিগ্রি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বস্তির বৃষ্টির পরও চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ২১ শতাংশ।

এর আগে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে স্বস্তির বৃষ্টি হয়। তাতেও কমেনি তাপমাত্রা। প্রচণ্ড রোদ-গরমে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠছে।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আজ বুধবার বেলা তিনটায় রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২১ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত একটার দিকে চুয়াডাঙ্গায় ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। এসময় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

তিনি আরও জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।

টানা কয়েকদিনের তাপদাহ থেকে মুক্তি পেতে চুয়াডাঙ্গায় গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে বৃষ্টি জন্য নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। এসময় তারা মহান আল্লাহর দরবারে রহমতের বৃষ্টি প্রার্থনা করে কেঁদে কেঁদে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর রাতেই শুরু হয় স্বস্তির বৃষ্টি। তবে বৃষ্টির পরও কমেনি এ জেলার তাপমাত্রা।

চুয়াডাঙ্গা শহরের মুদি ব্যবসায়ী মারুফ হাসান জানান, রাতে বৃষ্টির পর ভেবেছিলাম গরম হয়ত একটু কমবে। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে দেখছি তাপমাত্রা বেড়েই চলেছে।

;

পুকুর খনন করতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ শ্রমিকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোকে মো. নয়া মিয়া ফকির (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শ্রমিক নয়া মো. মিয়া ফকির একই গ্রামের আমির আলী ফকিরের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের খোট্টার চর গ্রামের হাসান মিয়ার বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করতে যান মো. নয়া মিয়া ফকির। তিনি পুকুর খননের সময় হিট স্ট্রোক করেন। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

নিহতের ভাই সোবাহান ফকির বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকালে পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে হিড স্ট্রোক করেন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন বলে জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুমন কুমার পোদ্দার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

;