জানুয়ারিতে গুয়াংজুতে পাখা মেলবে আকাশবীণা



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আকাশবীণা ছবি: বার্তা২৪

আকাশবীণা ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এখন বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারের উড়োজাহাজের গর্বিত মালিক। বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে ফ্লাইট চালুর স্বপ্ন নিয়ে ২০০৮ সালে বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি করা হয়েছিল। এই স্বপ্নের অংশ হিসেবে আগামী জানুয়ারিতে চীনের গুয়াংজুতে পাখা মেলবে প্রথম ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘আকাশবীণা’। 

অনেক দিন ধরেই রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্স বিমানের পরিকল্পনা ছিল এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনার। কিন্তু পর্যাপ্ত নিজস্ব উড়োজাহাজ না থাকার কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি। রোববার বিমানের বহরে যুক্ত হলো আকাশবীণা। এটি যুক্ত হওয়ার পর জাতীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টিতে।

বিমানের জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) শাকিল মেরাজ বার্তা২৪কমকে বলেন, আগামী ১ সেপ্টেম্বর আকাশবীণার প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন রুটে পাখা মেলবে ড্রিমলাইনার। আগামী জানুয়ারিতে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাই করবে ড্রিমলাইনারের আকাশবীণা। এরপর দূরপাল্লার আরো বিভিন্ন গন্তব্যে ড্রিমলাইনার দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। 

আকাশবীণা দেশে আসার পর কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, উড়োজাহাজের রেজিষ্ট্রেশনসহ কিছু প্রক্রিয়া শেষ করতে আরো ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগবে। এসব প্রক্রিয়া শেষে ১ সেপ্টেম্বর ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে প্রথম ফ্লাইট ঢাকা ছাড়বে। ওইদিন রাতে ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। 

নতুন যুক্ত হওয়া ড্রিমলাইনার নিয়ে অনেক আশাবাদী বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। বিমান মনে করে এই উড়োজাহাজ দিয়ে তারা অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা অর্জন করবে। প্রতিষ্ঠানের বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এ এম মোসাদ্দিক আহমেদের কথায়ও এর প্রতিফলন পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, ড্রিমলাইনার আকাশবীণা যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান নতুন মাইলফলকে যুক্ত হলো। যাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়ক সেবা দিতে বিমান সচেষ্ট। অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নতুন উড়োজাহাজ বিমানকে সহায়তা করবে।  যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমন ও বিমান মুনাফা বৃদ্ধিতে ড্রিমলাইনার নতুন মাত্রা যোগ করবে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, বিমানের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ড্রিমলাইনার দিয়ে নিউইয়র্কসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া টোকিও, রোম, ম্যানচেস্টার রুটসমূহ পুনরায় চালুর ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। কিন্তু বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ক্যাটাগরি-১ এ উন্নীত না হওয়ায় এই রুট চালু করা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি। ক্যাটাগরি-১ উন্নীত না হলে দেশীয় বিমান চলাচল খাতের জন্য দু:খজনকই নয়, রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের জন্য অনেক ক্ষতির কারণ হবে।

টানা ১৬ ঘন্টা ফ্লাই করতে পারা এই উড়োজাহাজটিতে মোট আসন রয়েছে ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাসের আসন ২৪টি। সমূদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট ওফর দিয়ে উড়তে সক্ষম দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট এই উড়োজাহাজ বিশ্বের যে প্রান্তে থাকুক না কেন ঢাকায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সময় সময় এর যোগাযোগ থাকবে। এটি বোয়িং ৭৬৭ উড়োজাহাজের চেয়ে ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগে। ড্রিমলাইনারের দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি নভেম্বরে এবং বাকি দুটি আসবে আগামী বছরের (২০১৯) সেপ্টেম্বরে।  

   

নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে মাঠ প্রশাসনকে ইসির নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছেন, মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সাথে যে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে সকালে উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে সকল বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জের উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আজকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, পুলিশের আইজিপি, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সবার আলোচনার বিষয় ছিল সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য মাঠ পর্যায়ে কী ধণের কী প্রস্তুতি নিয়েছে। আর কি সহায়তা দরকার সেটা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ জেলা কী সমস্যা আছে তা বলেছে। পার্বত্য জেলায় হেলিকপ্টার দেওয়া হয়, সেখানে তিনদিনের পরিবর্তে পাঁচনের সম্মানি ভাতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কমিশন সেটাতে সম্মত হয়েছে। প্রতি ইউনিয়নের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়া প্রয়োজেন অতিরিক্ত জনবল দেবে।

তিনি আরও বলেন,পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, ভোটের দিন সকালে ব্যালট গেলে অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন হবে কমিশন সেটা বিবেচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। মূলত মাঠ প্রশাসন যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যানরা স্বপদে থেকে নির্বাচন করা যাবে আদালত এ নির্দেশনা দিয়েছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার আদেশের কপি এখনো পাইনি। পেলে আপিল করা হবে।

অতিরিক্ত ফোর্স কোন কোন জেলা থেকে চাওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জেলার কোর কমিটি মিটিং করে জানালে সে অনুযায়ী অতিরিক্ত ফোর্স দেওয়া হবে।

ইসি সচিব বলেন, তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারা যেভাবে নিরপেক্ষতা, সততা, নিষ্ঠার সাথে যে দায়িত্ব পালন করেছে, সেই ধারাবাহিকতা যেন অব্যাহত থাকে।

মাঠ প্রশাসন কোনো চ্যালেঞ্জের কথা বলেছে কি-না জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,তারা চ্যালেঞ্জের কথা বলে নাই। তারা যেটা বলেছে স্থানীয় নির্বাচনে যেহেতু প্রার্থীর সংখ্যা বেশি থাকে সেখানে প্রতিযোগিতাটা বেশি হবে এজন্য তারা আইন-শৃঙ্খলা সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে। সহিংসতার আশঙ্কা করে নাই। গোয়েন্দে রিপোর্টে সেটা থাকে। কোথাও কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী এমপিদের প্রভাব নিয়ে তিনি বলেন, আচরণ বিধি যাতে সবাই যথাযথভাবে প্রতিপালন করে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা অনুরোধ করেছে। কমিশনও সেটা আশ্বস্ত করেছে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন।

বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

;

বগুড়ায় ছেলের বাড়ি বেড়াতে এসে আগুনে পুড়ের মায়ের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় ছেলের বাড়ি বেড়াতে এসে রান্না করার সময় গ্যাসের চুলার আগুনে পুড়ে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বিসিক নগরীর আবাসিক এলাকাঢ এ ঘটনা ঘটে।

বগুড়া শহরে ফুলবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত বৃদ্ধা সোনাবান বিবি (৮০) জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার মদনচর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের স্ত্রী। নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলামের চাকরি সুবাদে গত চারমাস আগে তিনি বগুড়ায় বেড়াতে আসেন।

নিহতের ছেলে শফিকুল ইসলাম বলেন, চাকররির সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ার বিসিক এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাসায় প্রচণ্ড ধোঁয়া দেখে রান্না ঘরে ঢুকে দেখেন গ্যাসের আগুনে তার মা দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।

পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, সকাল ১০টার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

দেশে চার কোটি টন চাল উৎপাদন হয়: তাজুল ইসলাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের চাল আমদানি করতে হয়নি বলে জানিয়েছেন,

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) “১২তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৪” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এই মলা চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ) কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম।

তাজুল ইসলাম বলেন, কৃষি সকল দেশের জন্য আদিখ্যাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জিডিপির জন্য যেসব সেক্টরগুলো আমদের আছে প্রোডাক্টিভ সেক্টর, এগ্রিকালচার সেক্টর ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। এই সেক্টর গুলো না হলে সার্ভিস সেক্টর প্রমোট হবে না। মানুষের যেমন দুটি পা আছে ঠিক তেমনি জিডিপির দুটি পা হল এগ্রিকালচার ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টর। গোলবালি ম্যাজিক বর্তমানে হল সার্ভিস সেক্টরের কন্ট্রিবিউশনে জিডিপি যত বেশি হবে সে দেশ ততো বেশি উন্নত।

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা (আওয়ামী লীগ) যখন প্রথম সরকার গঠন করে তখন দেশে অনেক খাদ্য ঘাটতি ছিল। তখন ২০ মিলিয়নের নিচে খাদ্য উৎপাদন হতো। মানুষ খাদ্যের জন্য হাহাকার করত। তখন আমরা খাদ্য আমদানির উপর নির্ভর ছিলাম। সময়ের ব্যবধানে আমরা প্রায় চার কোটি টনের বেশি খাদ্য উৎপাদন করি। খাদ্য বলতে আমরা চাল উৎপাদন করছি। গত ১৫ বছরে আমাদের আমদানি করতে হয় নাই। ১৯৯৬ সালে তখন আমরা ৮০ টাকার সারকে ২০ টাকায় বিক্রি করছি। সে সময় সারের দাম ও কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের শুল্ক কমানো হয়। ১৯৯৬ সালে দেশে ১৬'শ মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো। আজকে দেশে ২৭ হাজার মেগাওয়াড বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। শহরের লোডশেডিং করেছি কিন্তু গ্রামে কৃষি কাজে জন্য লোডশেডিং মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়েছে। এর কারণে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি সম্পূর্ণ মুক্ত করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ সিনিয়র সচিব মোসাম্মৎ হামিদা বেগমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, লিমরা ট্রেড ফেয়ারস্ এন্ড এক্সিবিশনস্ (প্রাঃ) লিমিটেড চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন, পল্লী উন্নয়ন একাডেমী বগুড়া, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. খুরশীদ ইকবাল রেজভী প্রমুখ।

;

টাঙ্গাইল শাড়িসহ জিআই সনদ পেল আরও ১৪ পণ্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইল শাড়িসহ দেশের মোট ১৪টি ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সনদ প্রদান করেছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদফতার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সংশ্লিষ্টদের হাতে এ সনদ তুলে দেন।

জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া পণ্যগুলো হলো- গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশিকাঁথা। এ নিয়ে ডিপিডিটি কর্তৃক জিআই সনদপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্যের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩১টিতে।

এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি অমিত সম্ভাবনাময় দেশ। ষড়ঋতুর এ দেশকে প্রকৃতি যেমন দু'হাত ভরে তাঁর বৈচিত্র্যময় সম্পদ ঢেলে দিয়েছে, তেমনি এদেশের মেহনতি মানুষ তাদের আপন শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্যসাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব-দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বিশ্ববাজারে জিআই পণ্যের প্রচার ও প্রসারে আমাদের এখনই কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ নিতে হবে। বিদেশের বাংলাদেশ মিশনসমূহ, দেশের সকল আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কেন্দ্রীয়ভাবে এসব পণ্য প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করতে হবে। তাছাড়া দেশে-বিদেশে বিভিন্ন মেলায় জিআই পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ডিপিডিটি, বিসিক ও এসএমই ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এসব পণ্যের উন্নয়ন ও প্রসারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন কোনো খালি বাস্কেট নয়, এটি একটি পরিপূর্ণ ভরা বাস্কেট। আমাদের সম্পদের কোনো অভাব নেই, প্রয়োজন এর সদ্ব্যবহারের। প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতা, কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এসব সম্পদ ও পণ্যের প্রচার-প্রসার ঘটাতে হবে।

সিনিয়র শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পেতে পারে এমন ৫০০টি পণ্যের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করেছি। একটু দেরিতে হলেও আমরা এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা ২০১৩ সালে 'ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়ন করি এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করি। বিশেষ অতিথি বলেন, আমাদের জিআই পণ্যকে সুরক্ষা দিতে হবে এবং একইসঙ্গে এর পেটেন্ট দিতে হবে। জিআই পণ্যের প্রচার-প্রসারে বিভিন্ন উৎসব, পালাপার্বণ ও রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে এসব পণ্যকে আমরা উপহার হিসেবে প্রদান করতে পারি। তাছাড়া এসব পণ্য সম্পর্কে টিভিসি, ডকুমেন্টারি তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবস্থা প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।

ডিপিডিটি'র মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফরেন সার্ভিস একাডেমির রেক্টর রাষ্ট্রদূত মাশফী বিনতে শামস ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা।

;