বিসিসিতে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত শুরু



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ৩০টি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) তদন্তকারী দল।

তবে পূর্বে মোট ১৫টি ভোটকেন্দ্রের ফল স্থগিত এবং একটি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ থাকার পরেও প্রার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আরও ১৪টি কেন্দ্রের তদন্ত করা হবে। আর এ বিষয়টি জানিয়েছেন তদন্ত দলের আহ্বায়ক নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন ব্যবস্থাপনা-২ ) খোন্দকার মিজানুর রহমান।

শনিবার (১১ আগস্ট) নগরের কাশিপুরস্থ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে চারদিনব্যাপী তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথম দিন মোট ৭টি কেন্দ্রের দায়িত্বশীলদের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে এই সাক্ষ্যগ্রহণ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

তদন্তের বিষয়ে খোন্দকার মিজানুর রহমান বলেন,‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ফলাফল ও ভোটগ্রহণ স্থগিত, ওই সকল কেন্দ্রগুলোতে কী ঘটেছিল, যে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে সেই অনুযায়ী আগামী চারদিন আমরা মোট ৩০টি কেন্দ্রের তদন্ত করব। এখানে কী অনিয়ম হয়েছে, তার জন্য দায়ী কে ছিল সেটাও আমরা খতিয়ে দেখব।’

তিনি বলেন, ‘এসব অনিয়মের তদন্তে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার, ভোটকেন্দ্রের ইনচার্জসহ দায়িত্বরত সকল পুলিশ সদস্য ও আনসার প্লাটুন কমান্ডারদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ওই সকল কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টদের বক্তব্য আমরা গ্রহণ করব।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘আগামী ১৪ আগস্ট এই তদন্ত শেষে তা ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দিব। পরে এই তদন্তের উপর ভিত্তি করে এখানে পুনরায় ভোটগ্রহণ বা ফলাফল ঘোষণা করা হবে কিনা সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৩০টি কেন্দ্রের তদন্তের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের ডাকছি না। তবে প্রার্থীরা যদি কেউ কোনো বক্তব্য দিতে চান তাহলে সেটা আমরা নিচ্ছি। এরপরে কোনো প্রার্থী যদি লিখিত অভিযোগ দিতে চায় তাও আমরা গ্রহণ করছি।’

সাক্ষ্যগ্রহণ কালে উপস্থিত ছিলেন- তদন্ত কমিটির সদস্য কমিশনের উপসচিব (চলতি দায়িত্ব) মো. ফরহাদ হোসেন, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) সহিদ আব্দুস ছালাম, সিনিয়র সহকারী সচিব (সংস্থাপন- ২) মো. শাহ আলম। এছাড়াও সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

   

ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?

ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়াল, কবে বৃষ্টি?

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে চলছে তাপদাহ। প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে যশোরে ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও আজ শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলেও কমবে না তাপমাত্রা। বাতাসে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গরম বেশি অনুভূত হবে। মাস জুড়েই এ অবস্থা থাকবে।

এদিকে, সারা দেশে চলমান তাপপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে, সিলেটে ঝড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর। এ সময় উত্তর-পশ্চিম দিক দিয়ে বয়ে যাওয়া বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার।

এ এলাকার নদীবন্দরগুলোতে এক নম্বর সতর্ক সংকেত জারি রয়েছে।

সারা দেশের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ওঠানামা করতে পারে।

;

নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাঁধা দিতে না পারে এবং কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এই ম্যাসেজ গুলো আমরা দিয়েছি।

তিনি বলেন, অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কিন্তু আন-অফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে। এটি কোনো রাজনৈতিক নির্বাচন নয় এটা স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে কোনো রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রয়োজন নেই।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের হল রুমে হরিরামপুর ও সিংগাইর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ইসি বলেন, নির্বাচনটা অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে হতে হবে। কোনো প্রার্থীর প্রচারণায় বা ভোটারকে বাঁধা দিতে না পারে এবং কোনো ধরনের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না হয় এই ম্যাসেজ গুলো আমরা দিয়েছি। অনেক রাজনৈতিক দল অফিসিয়ালি সরাসরি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও কিন্তু আন-অফিসিয়ালি একটি পক্ষকে নির্বাচনে সমর্থন করছে।

নির্বাচন বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার সহযোগিতায় একটি উৎসব মুখর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে একটি নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হলো স্থানীয় সরকার নির্বাচন। এখানে আরও উৎসব মুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেহেনা আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞাসহ সরকারি আরও অনেক দপ্তরের কর্মকর্তা।

;

রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) জেলায় তাপমাত্রার পারদ উঠেছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা এই মৌসুমের সবোর্চ্চ তাপমাত্রা।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহীতে হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রখর রোদে সুস্থ থাকতে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে রাজশাহীতে চলমান তীব্র তাপদাহ জনজীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। শহরের মানুষজন মধ্যাহ্নভোজের পর থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘরের ভেতর অবস্থান করছেন, রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জনগণকে সচেতন করে তাপদাহ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। শিশু ও বয়স্কদের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সুস্থ থাকতে প্রচুর পানি পান করুন, হালকা ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা এবং সরাসরি সূর্যের আলো থেকে বাঁচার জন্য ছাতা বা টুপি ব্যবহার করা উচিত।

অস্বাভাবিক এই তাপমাত্রার পিছনে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন কারণ দেখছেন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এল নিনো ঘটনা এবং স্থানীয় পর্যায়ে বৃক্ষনিধন ও শহরায়ন প্রক্রিয়া এর জন্য দায়ী হতে পারে।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক এএসএম গাওসুজ্জামান বলেন, শনিবার রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সবনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ।

এর আগে, ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি ছিল দীর্ঘ ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

;

বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

  • Font increase
  • Font Decrease

জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশকে ৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।

ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইন্টিগ্রেটেড সাউথওয়েস্ট প্রজেক্ট ফর ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এডিবি এ ঋণ দেবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। 

শনিবার ( ২০ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। ঋণচুক্তি ও প্রকল্পচুক্তিটি ঢাকায় স্বাক্ষরিত হয় বলে জানা গেছে।

এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবির পক্ষে বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং উভয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির আবাসিক মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঋণটি এডিবির Ordinary Operations (Concessional) বা নমনীয় শর্তে পাওয়া গিয়েছে যার সুদের হার ২ শতাংশ এবং ৫ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ মোট ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। এছাড়া অন্য কোনো চার্জ নেই।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রকল্পটি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্তৃক বাস্তবায়িত হবে। আলোচ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন করে কৃষি ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, আনুষঙ্গিক উন্নয়নের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক অবস্থার পরিবর্তন আনয়ন, সমন্বিত পানি সম্পদ ও অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং উন্নত অবকাঠামো নির্মাণ ও সমন্বিত সহায়তার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন অর্জন সম্ভব হবে।

এছাড়া প্রকল্প থেকে প্রাপ্ত সুবিধাদির দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বজায় রাখার নিমিত্ত পানি ব্যবস্থাপনা সংঘ গঠন করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি ২০২৪ হতে ডিসেম্বর ২০২৮ পর্যন্ত।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে সদস্যলাভের পর থেকে এডিবি থেকে এর অর্থনীতির অগ্রাধিকারভুক্ত বিভিন্ন খাতসমূহে ধারাবাহিকভাবে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আসছে। এডিবি এ যাবত বাংলাদেশ সরকারকে ৩১ হাজার ৫৪৭.৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানিসম্পদ ও সুশাসনকে প্রাধান্য দেয়।

;